ইরানের সংলাপের প্রস্তাবে সাড়া দিয়ে সউদি আরব জানিয়েছে, তারা শর্তসাপেক্ষে আলোচনায় রাজি। বুধবার বিশ্ব অর্থনৈতিক সম্মেলনে সউদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহান এ কথা জানান। তিনি বলেন, তারা আলোচনার জন্য প্রস্তুত। কিন্তু সেটা নির্ভর করছে ইরানের ওপর।
মধ্যপ্রাচ্যের দুই পরাশক্তি সউদি আরব ও ইরান। ধর্মীয় ও রাজনৈতিক বিভেদের কারণে প্রায়ই মুখোমুখি অবস্থানে থাকে দেশ দু’টি। সিরিয়া থেকে শুরু করে ইয়েমেন পর্যন্ত ছায়াযুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে তারা। সম্প্রতি ইরানি জেনারেল কাসেম সোলাইমানিকে হত্যার প্রতিশোধ নিতে মার্কিন ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান। এতে মধ্যপ্রাচ্যের উত্তেজনা নতুন মাত্রা পায়। মধ্যপ্রাচ্যের সাম্প্রতিক উত্তেজনার পর এ দুই দেশের শত্রুতা এখন ভয়ানক রূপ নিয়েছে। কেউ কারো ছায়া পর্যন্ত দেখতে চায় না। এ ছাড়া ২০১৬ সালের জানুয়ারিতে তেহরানের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছেদ করেছে রিয়াদ। আর এর মধ্যেই ইরানের পক্ষ থেকে এমন আমন্ত্রণ পেল রিয়াদ।
বুধবার উত্তেজনা নিরসনে সউদি আরবকে আলোচনায় বসার আহ্বান জানায় ইরান। দেশটির প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানির চিফ অব স্টাফ মাহমুদ ভায়েজি বলেন, ‘ইরান ও তার প্রতিবেশী সউদি আরবের মধ্যে সম্পর্ক তেহরান আর ওয়াশিংটনের সম্পর্কের মতো হওয়া উচিত নয়। নিজেদের সমস্যা সমাধানে রিয়াদ ও তেহরানের যৌথভাবে কাজ করা উচিত।’ সউদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, ‘যেকোনো আলোচনার আগে ইরানকে আসলে তাদের আঞ্চলিক প্রভাব বিস্তার বন্ধ করতে হবে। তবেই আমরা আলোচনায় বসব।’
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন