একদলীয় শাসনকে চিরস্থায়ীত্ব দেয়ার জন্যই বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় অন্যায়ভাবে বন্দী করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, আওয়ামী সরকারের বন্দীশালা ভেঙ্গে দেশনেত্রীকে মুক্ত করে আনতে জনগণ এখন ঐক্যবদ্ধ। গণতন্ত্রের প্রতীক দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে কারামুক্ত করে দেশের মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বর্তমান মিডনাইট সরকারের পতন ঘটাতে হবে, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠায় সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) বেলা আড়াইটায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার নি:শর্ত মুক্তি এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা ও সাজা প্রত্যাহারের দাবিতে এক বিক্ষোভ মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মিছিলটি উত্তরা-আবদুল্লাহপুর থেকে শুরু হয়ে মাসকাট প্লাজার নিকট গিয়ে শেষ হয়। বিক্ষোভ মিছিলে নেতৃত্ব দেন বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। মিছিলে স্থানীয় বিএনপি এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী অংশগ্রহণ করেন।
মিছিল শেষে এক পথসভায় সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে রুহুল কবির রিজভী বলেন, দেশ ও জনগণ এখন ফ্যাসিবাদী শাসনের চরম কষাঘাতে জর্জরিত। বাধাহীনভাবে জাল-জালিয়াতি ও ভোট ডাকাতির মাধ্যমে ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচন আগের রাতেই সমাপ্ত করতে আপোষহীন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে বানোয়াট মামলায় অন্যায়ভাবে কারাগারে আটকে রাখার মাস্টারপ্ল্যান করেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আর এই মাস্টারপ্ল্যানের অংশ হিসেবে বেগম জিয়াকে কারাবন্দী রেখে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী দিয়ে দেশের মানুষের সোচ্চার কন্ঠকে স্তব্ধ করে আজীবন দুঃশাসন চলমান রাখতেই দেশনেত্রীকে মুক্তি দেয়া হচ্ছে না, তাঁকে যথাযথ সুচিকিৎসা থেকেও বঞ্চিত করা হচ্ছে। দেশনেত্রীর শারীরিক অবস্থা এখন অত্যন্ত সংকটাপন্ন। কিন্তু সরকার ও সরকারপ্রধান দেশনেত্রীর মুক্তি ও সুচিকিৎসা নিয়ে নির্বিকার।
রিজভী অবিলম্বে বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি এবং তাঁকে তাঁর পছন্দের হাসপাতালে সুচিকিৎসার সুযোগ দানের দাবি জানান এবং কারাবন্দী সকল নেতাকর্মীরও নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন