কোনো মানুষ যে, রাতারাতি জনপ্রিয়তার চরম শিখরে উঠে যেতে পারে, তা হয়ত রাণু মন্ডলকে না দেখলে কেউ বিশ্বাস করতে পারত না। রানাঘাট স্টেশনে বসে গান শুনিয়ে ভিক্ষা করা রাণু ম-ল আজ বলিউডের প্লে-ব্যাক সিঙ্গার। শুধু তাই নয়, আজ তিনি পশ্চিমবঙ্গের লতা মঙ্গেশকর নামে খ্যাত। একটা ভিডিও রাণুকে নিয়ে যায় উন্নতির শিখরে, রাতারাতি স্টার হয়ে উঠেছেন তিনি। তার কণ্ঠস্বর শুনে অবাক হন সেলিব্রেটিরাও। হিমেশ রেশমিয়া তার ফিল্ম ‘হ্যাপ্পি হার্ডি এন্ড হিরো’-তে গান প্লেব্যাক সিঙ্গার হিসাবে গান গাওয়ার সুযোগ করে দেন তাঁকে। রাতারাতি সেলিব্রেটি হয়ে যান তিনি, যদিও জনপ্রিয়তার বিড়ম্বনা বলেও একটা কথা আছে, আর হাত থেকে রেহাই পাইনি রাণুও। বহুবার বিভিন্ন ভাবে তাকে সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে। কখনও মেকআপ নিয়ে তো কখনও ব্যবহারের জন্য বারংবার সমালোচনার মুখে পড়তে হয়ে তাকে।
শেষ পর্যন্ত সঙ্গীত পরিচালক হিমেশ রেশমিয়া এই বিষয়ে মুখ খুললেন। কেন রাণু ম-লকে নিয়ে এত সমালোচনা? সেই বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে ‘টাইমস অফ ইন্ডিয়া’-কে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন,‘আমি যখন ওনাকে সুযোগ দিই, তখন আমার মনে একটাই ইচ্ছা ছিল, আমি লতাজী-র গলা পেতে চেয়েছিলাম। ওনার সাথে প্রথম গাওয়া গান হল ‘তেরি মেরি কাহানী...’, গানটা হিট হয়, তা সর্বত্র ছড়িয়ে পরে। আমার মনে হয়, উনি ওনার এক ভক্তের সাথে সেলফি তুলতে অস্বীকার করার পর থেকেই ওনাকে সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে।’
হিমেশ আরও বলেছেন, ‘আমি বিগত ঘটনা কিছুই জানি না, তাই এই সময় সেই বিষয়ে কোনও কথা বলা ঠিক হবে না। তবে আমার মনে হয়, যখন আপনি স্টার হয়ে উঠবেন, তখন অনেক রকম সমালোচনা সহ্য করতে হয়। একদিকে আপনি যেমন অন্যদের ভালোবাসা পাবেন, অন্যদিকে আপনাকে সহ্য করতে হবে কিছু মানুষের সমালোচনা। তার অতীত সম্পর্কে যতটা জানি, তাতে তিনি এই সমস্ত কিছুর জন্য তৈরি ছিলেন কিনা, সে বিষয়ে আমি নিশ্চিত নই। এখন উনি স্টার, ওনার সাথে এই ধরনের বিড়ম্বনা হবে, সেটাই স্বাভাবিক।’
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন