আজ ভিন্নধারার ব্যান্ড নকশীকাঁথার ১৩ বছর পূর্ণ হয়েছে। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের লোকগান বিশে^র দরবারে এবং বিশে^র নানান দেশের লোকগান এ দেশের দর্শক-শ্রোতাদের কাছে পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্য নিয়ে ২০০৭ সালের ২৫ জানুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মপ্রকাশ করে নকশীকাঁথা। প্রতিষ্ঠার পর থেকে দেশের প্রায় সব অঞ্চলের বহু লোক গান সংগ্রহ করে সেগুলো এ সময়ের উপযোগী করে মঞ্চ ও টেলিভিশনে পরিবেশন করছেন এই ব্যান্ডের সদস্যরা। ২০১৮ সালের নভেম্বরে রাজধানীর আর্মি স্টেডিয়ামে ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ফোক ফেস্টে গান পরিবেশন করে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করে নকশীকাঁথা ব্যান্ড। এই ব্যান্ডের ভোকাল সাজেদ ফাতেমী দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের লোকগান নিয়ে গত প্রায় ১৫ বছর থেকে গবেষণা করছেন। দীর্ঘ ২২ বছর দেশের প্রথম সারির ছয়টি পত্রিকায় সাংবাদিকতা করেছেন। ২০১৮ সালের নভেম্বরে তিনি রাজধানীর ধানমন্ডিতে অবস্থিত ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির পাবলিক রিলেশন্স ডিরেক্টর হিসেবে যোগদান করেন। চাকরি ও গানে সমান মনোযোগ তার। ব্যান্ডের প্রথম অ্যালবাম ‘নজর রাখিস’ প্রকাশিত হয় ২০০৮ সালে। ওই অ্যালবামের ‘ভোরের শিশির’, হাটের গোলমাল, নজর রাখিস, ভালোবাসার গান ও একশ’ বছর শিরোনামে গানগুলো বেশ জনপ্রিয়তা পায়। ২০১৬ সালে প্রকাশিত হয় দ্বিতীয় অ্যালবাম ‘নকশীকাঁথার গান’। এই অ্যালবামের নয়া বাড়ি, চোর, সাত আসমান, তুকে লিয়ে শিরোনামে গানগুলো দারুণ দর্শকপ্রিয়তা পেয়েছে। এরপর আরও অন্তত ২০টি নতুন গান কম্পোজিশন করেছে নকশীকাঁথা। রোহিঙ্গা সংকট, সীমান্ত উত্তেজনা, ফেলানী হত্যা, সড়ক দুর্ঘটনাসহ বেশ কিছু সংকট নিয়েও গান তৈরি করেছেন ব্যান্ডের ভোকাল সাজেদ ফাতেমী। উল্লেখযোগ্য গানগুলো হলো- ভালোবাসার মালা, প্রেমনদীতে তুফান ভারী, বাংলা ভাষার দুর্গতি ইত্যাদি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন