শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

কাশ্মীরিদের অগ্রাহ্য করে চলছে দিল্লি

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৫ জানুয়ারি, ২০২০, ১২:০১ এএম

কাশ্মীরকে স্তব্ধ করে দেয়ার পাঁচ মাসেরও বেশি সময় পরে কাশ্মীরিদের সাথে কথা বলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। হাজার হাজার কাশ্মীরি এখনও ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় রয়েছে, উপত্যকার বেশ কিছু রাজনৈতিক নেতা এখনও গ্রেফতার আছেন এবং বিরোধী নেতাদেরকে এখনও সেখানে যাওয়ার অনুমতি দেয়া হয়নি। ৫ আগস্টের পর এই কাশ্মীরিদের ‘কাছাকাছি’ যাওয়ার জন্য প্রথমবারের মতো কিছু মন্ত্রীদেরকে কাশ্মীরে পাঠিয়েছে। এই পদক্ষেপের অংশ হিসেবে ২১ জানুয়ারি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মুখতার আব্বাস নাকভি, রবি শঙ্কর প্রাসাদ, নিত্যানন্দ রায় এবং জি কে রেড্ডিকে প্রথম ব্যাচে কাশ্মীরে মোতায়েন করা হয়। বিগত কয়েক মাস ধরে যে সব প্রতিশ্রুতির বুলি আওড়ানো হয়েছে, তালিকা ধরে সেই একই বুলি আওড়েছেন এই মন্ত্রীরা: উন্নয়ন, কর্মসংস্থান, আদিবাসী সম্প্রদায়গুলোর জন্য উন্নত প্রতিশ্রুতি, দায়বদ্ধতা নিশ্চিত করা এবং দুর্নীতি নির্ম‚ল করা। বর্তমান পরিস্থিতিতে অধিকাংশ দাবিগুলোই অযৌক্তিক শোনায়: যে সরকার নাগরিকদের অবরুদ্ধ করে রেখে একতরফা সিদ্ধান্ত তাদের উপর চাপিয়ে দেয়, তাদের কাছে থেকে দায়বদ্ধতার প্রতিশ্রুতি হাস্যকর। ৫ আগস্ট থেকে কাশ্মীরের অর্থনীতির যেখানে ১৮,০০০ কোটি রুপি ক্ষতি হয়েছে, সেখানে উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি অর্থহীন। আর যেখানে নিয়মিত লেনদেনই বহু মাস ধরে বন্ধ হয়ে আছে, সেখানে দুর্নীতি দ‚র করারই বা কি আছে। এটা দেখার বিষয় যে আদিবাসী সম্প্রদায়গুলোর জন্য আগের সরকারগুলোর চেয়ে ভালো ব্যবস্থা করার যে প্রতিশ্রুতি দেয়া হচ্ছে, সেটা আদৌ কেন্দ্রীয় সরকার রাখতে পারে কি না। হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ জম্মুতে গুজ্জার আর বাকেরওয়াল উপজাতির মুসলিমরা বিগত কয়েক বছর ধরে অব্যাহতভাবে হয়রানির শিকার হয়ে আসছে। এবং এর সাথে অধিকাংশ সময় স্থানীয় ভারতীয় জনতা পার্টির নেতারা যুক্ত থাকে। এখন বিজেপির নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকার কি এই অসহায় সংখ্যালঘুদের অধিকার রক্ষা করবে? সার্বিক বিবেচনায় নাকভির বক্তৃতাকে আমলাতান্ত্রিক বলা যায়, রাজনৈতিক নয়। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা কাশ্মীরিদের ‘কাছে পৌঁছানোর’ যে কথা বলেছেন, সেটাকে জম্মু ও কাশ্মীরের গত বছরের ‘ব্যাক টু ভিলেজ’ কর্মসূচির মতো শোনাচ্ছে। আশা করা হয়েছিল আমলারা গ্রামগুলোতে যাবে, সেখানে কিছু সময় কাটাবে, স্থানীয় পঞ্চায়েৎ সদস্যদের সাথে কথা বলে উদ্বেগগুলোর নিরসন করবে। কেন্দ্রী মন্ত্রীদেরকে প্রধানমন্ত্রী অনেকটা এগুলোই করতে বলেছেন: উন্নয়ন নিয়ে কথা বলতে বলেছেন, রাজনীতির প্রসঙ্গে যেতে নিষেধ করেছেন, বিশেষ করে ৩৭০ অনুচ্ছেদের দিকে যেতে নিষেধ করেছেন। এটা করতে গিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার এটা বুঝতে ব্যার্থ হয়েছে যে কাশ্মীরি জনগণ কিছু বস্তুগত চাহিদার চেয়েও অধিকার, স্বাধীনতা, বিশ্বাস ও আকাক্সক্ষার বিষয়গুলো নিয়ে যে রাজনৈতিক পরিচয়ে তারা গড়ে উঠেছে, সেটাকে এখনও অস্বীকার করে যাচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার। সূত্র : স্ক্রল.ইন

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
jack ali ২৫ জানুয়ারি, ২০২০, ১২:১৫ পিএম says : 0
O' Allah help the oppressed kishmiri muslims from the hand of Indian goverment and destroy indian government. Ameen
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন