মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

শিগগিরই সিঙ্গাপুর মালয়েশিয়াকে পেছনে ফেলব

ঢাবিতে অ্যালামনাইয়ে অর্থমন্ত্রী

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৫ জানুয়ারি, ২০২০, ১২:০০ এএম

বাংলাদেশের অর্থনীতির অগ্রগতির চিত্র তুলে ধরে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, বিশ্বের যেসব দেশ খুব দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে, বাংলাদেশ সেসব দেশের তালিকায় প্রথম সারিতে। দশ বছর আগে আমাদের (বাংলাদেশ) অর্থনীতির আকার ছিল বিশ্বে ৫৮তম। বর্তমানে আমরা ২৯তম। শিগগিরই আমরা সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, তাইওয়ানের মতো দেশকে পেছনে ফেলবো। গতকাল শুক্রবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের খেলার মাঠে বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন্স সিস্টেমস (এআইএস) বিভাগের অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের ২৫ বছর ও এআইএস’র ৫০ বছর পূর্তি অনুষ্ঠানে তিনি এই আশাবাদের কথা বলেন। একইসঙ্গে অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের বৃত্তি তহবিলে নিজ উদ্যোগে অর্থ সহায়তার প্রতিশ্রুতি দেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী হিসেবে সাফল্যের কারণে আ হ ম মুস্তাফা কামালকে আজীবন সম্মাননা দেওয়া হয়।
বর্তমান বিশ্ব চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে মন্তব্য করে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তাফা কামাল বলেন, বিশ্বব্যাংক চলতি বছর যেসব দেশ বিশ্ব অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে এমন ২০টি দেশের তালিকা করেছে। বাংলাদেশ সেই তালিকার অন্যতম। বর্তমানে দেশের মোট জনসংখ্যার ৬১ শতাংশই কর্মক্ষম। বিশ্বের আর কোনো দেশ জনমিতিক লভ্যাংশের ক্ষেত্রে এমন সুবিধাজনক অবস্থানে নেই। চতুর্থ শিল্পবিপবের সুযোগ কাজে লাগাতে আমাদের এই তরুণ জনগোষ্ঠীকে দক্ষ করে গড়ে তুলতে হবে। এজন্য দেশের সব মানুষের সহযোগিতা প্রয়োজন।
নিজের শিক্ষা জীবন ও কর্মময় জীবনের চিত্র তুলে ধরে অর্থমন্ত্রী বলেন, সকলের ভালোবাসায় আমি এ পর্যন্ত আসতে পেরেছি। আমার শিক্ষকরা ছিলেন অনেক উদার। তারা আমাকে নানাভাবে সহযোগিতা করেছেন। তাদের অনেকেই আজ আমাদের মাঝে নেই। আমি তাদের রুহের মাগফিরাত কামনা করছি। আমার শিক্ষাজীবনের প্রথম দিকে অর্থাভাবে পড়ালেখা করা অনেক কষ্টসাধ্য ছিল। সময়মতো স্কুলের বেতন পরিশোধ করতে না পারায় কয়েকবার স্কুল থেকে নাম কাটা গেছে। আমার গ্রামের মানুষ অর্থসহায়তা দিয়ে আমাকে এ পর্যন্ত আসার সুযোগ করে দিয়েছেন। আমি তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালনকালে আমি গ্রামের মানুষের জন্য যেসব প্রকল্প নেওয়া হতো সেগুলোকে অগ্রাধিকার দিতাম। কারণ গ্রামের উন্নয়ন না হলে দেশের সার্বিক উন্নয়ন করা সম্ভব হবে না। তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমার (অর্থমন্ত্রী) প্রতি আস্থা রেখেছেন। তবে এ দায়িত্বে আমি কতটা সফল হয়েছি, তা মূল্যায়নের সময় এখনো আসেনি। আর এক-দেড় বছর পর মূল্যায়ন করা যাবে, আমি দেশের জন্য কতটা ভূমিকা রাখতে পারলাম। তবে আমি এখানেও ব্যর্থ হবো না ইনশাআল্লাহ।

ক্রীড়া সংগঠক হিসেবে নিজের ভূমিকার কথা উল্লেখ করে মুস্তাফা কামাল বলেন, কলেজের ছাত্র থাকা অবস্থায় আমি ক্রিকেট খেলতাম। কিন্তু একবার ব্যথা পাওয়ার পর আর খেলা হয়নি। তবে ক্রীড়া সংগঠক হিসেবে কাজ করার বিষয়ে প্রতিজ্ঞা ছিল তখন থেকেই। এর ধারাবাহিকতায় পরবর্তীকালে আবাহনীর ক্রিকেট শাখার দায়িত্ব গ্রহণ করি। ২৫ থেকে ৩০ বছর আমি সে দায়িত্বে ছিলাম। পরবর্তী ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি হিসেবেও ক্রীড়াঙ্গনের উন্নয়নে ভূমিকা রাখার সুযোগ হয়েছিল। একপর্যায়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের সভাপতির দায়িত্ব পেলাম। কিন্তু সেখানে কিছু নীতিবিরুদ্ধ কাজ আমি মেনে নিতে পারিনি। ক্রিকেটের তথাকথিত মোড়লরা কিছু সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছিলেন, যা আমার দেশের ক্রিকেটের স্বার্থবিরোধী। এ সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারিনি, তাই দেশের সম্মান রক্ষায় পদত্যাগ করেছি। আইসিসির ইতিহাসে আমিই প্রথম অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে গিয়ে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তিনি বলেন, আমি এদেশের সন্তান, মানুষের জন্যই কাজ করে যাব।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন