ভরা মৌসুমেও চড়া দাম শীতকালীন শাকসবজির। বাজারে হরেক সবজির সমাহার। তবে দাম কমছে না। ক্রেতারা বলছেন, অন্যবারের তুলনায় এবার সবজির দাম এখনও বেশি। সপ্তাহের ব্যবধানে ডিম, গরুর গোশত এবং মাছের দামও বেড়েছে। স্বস্তি শুধু ফার্মের মুরগিতে। গতকাল শুক্রবার বন্দরনগরীর কয়েকটি কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা যায়, ৩০ থেকে ৩৫ টাকার নিচে শীতকালীন কোন সবজি মিলছে না। তবে শাকসবজিসহ বাজারভেদে সব ধরনের পণ্যের দামেও তারতম্য রয়েছে। প্রতিকেজি মুলা ৩৫-৪০ টাকা, ফুলকপি ৪০-৪৫ টাকা, বাঁধাকপি ৩০-৩৫ টাকা, লাউ প্রতিকেজি ২৫-৩০ টাকা, বেগুন মানভেদে ৪০-৬০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৪০ টাকা, আলু ৩০-৪০ টাকা এবং দেশি আলু প্রতিকেজি ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

শিম ৪০-৬০ টাকা, শিমের বিচি ৮০-১২০ টাকা, টমেটো ৪০-৫০ টাকা, শালগম ৩০-৩৫ টাকা, শসা ৩৫-৪০ টাকা, গাজর ৩০-৪০ টাকা, কচুর লতি ৪০-৬০ টাকা, বরবটি ৭০-৮০ টাকা, তিতা করলা ৭৫-৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কাঁচা মরিচ প্রতিকেজি ৫০-৬০ টাকা, পেঁয়াজ পাতা ৩০-৪০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে।

বাজারে সামুদ্রিক মাছের পাশাপাশি পুকুর, খাল, নদী ও হাওরের মাছও আছে। তবে দাম কিছুটা চড়া। প্রতিকেজি রুই ১৮০-২০০ টাকা, কোরাল ৪৫০-৬০০ টাকা, পাবদা ৪০০-৫০০ টাকা, চিংড়ি আকারভেদে ৪০০-৬০০ টাকা, পোয়া মাছ ২৮০-৩৫০ টাকা, রূপচাঁদা ৭০০-৮০০ টাকা, ইলিশ আকারভেদে ৫০০-১২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কৈ মাছ প্রতিকেজি ৫০০-৬০০ টাকা, শিং ৫৫০-৬০০ টাকা, তেলাপিয়া ১২০-২২০ টাকা, টেংরা ৩৫০-৪০০ টাকা, বাটা মাছ ৩০০-৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

ফার্মের মুরগির দাম স্থিতিশীল রয়েছে। প্রতিকেজি মুরগি ১১০-১১৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সোনালিকা ২২০-২৩০ টাকা এবং দেশি মুরগি ৪০০-৪৫০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। মুরগির ডিম প্রতি ডজন ৯৫-১০০ টাকা এবং হাঁসের ডিম ১৫০-১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গরুর গোশত হাড়সহ ৫৫০-৬০০ এবং হাড়ছাড়া ৬৫০-৭০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। খাসির গোশত প্রতিকেজি ৭৫০-৮০০ টাকা।

পেঁয়াজের দাম এখনও ঊর্ধ্বমুখী। ভালমানের পেঁয়াজ ১১০-১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মিশর, তুরস্ক এবং চীন থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ ৫০-৬০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। রসুন ১৪০-১৬০ টাকা এবং আদা প্রতিকেজি ১৬০-১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ব্যবসায়ীরা জানান, গত কয়েকদিনে চাল, ডালসহ বেশ কয়েকটি ভোগ্যপণ্যের দাম প্রতিকেজিতে দ্ইু থেকে তিন টাকা করে বেড়েছে।