শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

খেলাধুলা

অসহায় আত্মসমর্পনে সিরিজ খোয়াল বাংলাদেশ

স্পোর্টস রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৫ জানুয়ারি, ২০২০, ৬:১১ পিএম | আপডেট : ৬:২৬ পিএম, ২৫ জানুয়ারি, ২০২০

প্রথম ম্যাচে ৫ উইকেটে হারের পর দ্বিতীয় ম্যাচে ৯ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারল বাংলাদেশ দল। ১৩৭ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই উইকেটের পতণ ঘটলেও হাফিজ ও বাবরের দৃঢ়তায় ২০ বল হাতে রেখেই জয় তুলে নেয় স্বাগতিকরা। এই জয়ে তিন ম্যাচ সিরিজে ২-০তে এগিয়ে গেল তারা। বাংলাদেশের জন্য শেষ ম্যাচটি হয়ে দাঁড়াল কেবল আনুষ্ঠানিকতার।

সংক্ষিপ্ত স্কোর :

বাংলাদেশ : ২০ ওভারে ১৩৬/৬ (তামিম ৬৫, নাঈম ০, মেহেদী ৯, লিটন ৮, আফিফ ২১, মাহমুদউল্লাহ ১২, সৌম্য ৫*, আমিনুল ৮*; ইমাদ ০/১৬, আফ্রিদি ১/২২, হাসানাইন ২/২০, হাসান ১/২৭, শাদাব ১/২৮, মালিক ০/৯, ইফতেখার ০/১২)।

পাকিস্তান : ১৬.৪ ওভারে ১৩৭/১ (বাবর ৬৬*, আহসান ০, হাফিজ ৬৭*; মেহেদী ০/২৮, শফিউল ১/২৭, আল আমিন ০/১৭, মুস্তাফিজ ০/২৯, আমিনুল ০/১৬, আফিফ ০/১৬, মাহমুদউল্লাহ ০/৩)।

ফল : পাকিস্তান ৯ উইকেটে জয়ী।

সিরিজ : তিন ম্যাচ সিরিজে পাকিস্তান ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে।

ম্যাচসেরা : বাবর আজম।

বাবর-হাফিজের দৃঢ়তা

দলীয় ৬ রানেই আহসানের বিদায়ের পর বাবর-হাফিজের দৃঢ়তায় এগিয়ে যাচ্ছে পাকিস্তান। ছোট লক্ষ্য সামনে রেখে কোন ঝুঁকি না নিয়েই খেলছেন এই দুই ব্যাটসম্যান। তাদের জুটিও ছাড়িয়েছে পঞ্চাশ রানে। বাবর ৩৭ রানে ও হাফিজ ২১ রানে ব্যাট করছেন।

৯ ওভার শেষে দলীয় সংগ্রহ ১ উইকেটে ৬০ রান। জয়ের জন্য আরও প্রয়োজন ৭৭ রান। হাতে আছে ৯ উইকেট ও ১১ ওভার।

প্রথমেই শফিউলের আঘাত

অল্প রানের পুঁজি নিয়ে মাহমুদউল্লাহ প্রথম ওভারে বল তুলে দেন মেহেদী হাসানের হাতে। প্রথম বলে বাবর আজম রান নিয়ে স্ট্রাইক দেন আহসান আলীর কাছে। পরের পাঁচটি বল ডট। পরের ওভারে আসেন শফিউল। শফিউলের বলে উড়িয়ে মারতে গিয়ে শূণ্য রানেই ফিরে যান তিনি। প্রথম ম্যাচের মতো দ্বিতীয় ম্যাচেও শুরুতেই উইকেট লাভ করেন এই পেসার। বাবর ৬ ও হাফিজ ০ রানে খেলছেন।

দলীয় সংগ্রহ ২ ওভারে ১ উইকেটে ৭ রান।

সিরিজ বাঁচানোর ম্যাচে বাংলাদেশের ছোট পুঁজি

প্রথম ম্যাচে ৫ উইকেটে হারের পর দ্বিতীয় ম্যাচটি ছিল সিরিজ বাঁচানোর। কিন্তু টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে একমাত্র তামিমের ৬৫ রানের ইনিংস ছাড়া কেউই করতে পারেননি বড় সংগ্রহ। তাই শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৩৬ রানেই আটকে যায় বাংলাদেশের ইনিংস।

সংক্ষিপ্ত স্কোর :

বাংলাদেশ : ২০ ওভারে ১৩৬/৬ (তামিম ৬৫, নাঈম ০, মেহেদী ৯, লিটন ৮, আফিফ ২১, মাহমুদউল্লাহ ১২, সৌম্য ৫*, আমিনুল ৮*; ইমাদ ০/১৬, আফ্রিদি ১/২২, হাসানাইন ২/২০, হাসান ১/২৭, শাদাব ১/২৮, মালিক ০/৯, ইফতেখার ০/১২)।

তামিম-আফিফের প্রতিরোধ ভাঙলেন হাসনাইন

দ্রুত ৩ উইকেট হারানোর পর ৪৫ রানের একটি জুটি গড়েছিরেন তামিম-আফিফ। কিন্তু হাসনাইনের বলে ক্যাচ আউট হয়ে ফিরে গিয়ে জুটির বিসর্জন দেন আফিফ। ব্যক্তিগত ২১ রানে ফেরেন তিনি। তামিম ৪৫ রানে অপরাজিত আছেন।

দলীয় সংগ্রহ ১৪.৪ ওভারে ৮৬/৪।

রিভিউতেও রক্ষা হলনা লিটনের, চাপে বাংলাদেশ

দ্রুত দুই উইকেট হারিয়ে আগেই চাপে ছিল বাংলাদেশ। এবার সেই চাপ আরেকটু বাড়িয়ে গেলেন লিটন। ব্যক্তিগত ৮ রানে শাদাব খানের বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পরেন এই ডানহাতি। আম্পায়ার প্রথমে আউটের কল দিলে রিভিউ নেন লিটন। কিন্তু দেখা যায়, বলটি একেবারে লেগ স্ট্যাম্পের শেষপ্রান্তে আঘাত হেনেছে। আম্পায়ার কলের কারনে সিদ্ধান্ত বহাল থাকে। যদিও রিভিউ ফেরত পেয়েছে বাংলাদেশ। তামিম ২৩ রানে ও আফিফ হোসেন ০ রানে অপরাজিত আছেন।

দলীয় সংগ্রহ ৮ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ৪১ রান।

পাওয়ার প্লেতে ফিরে গেলেন মেহেদীও

দলে জায়গা পাওয়াটাই ছিল রীতিমতো বিস্ময়ের। চ্যালেঞ্জ ছিল ঘরে রাখার। কিন্তু পরীক্ষাতে পাস করতে পারলেন না ঢাকা প্লাটুনের অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান। মোহাম্মদ হাসনাইনের বাউন্সারে শর্ট খেলতে গিয়ে উইকেটরক্ষক রিজওয়ানের হাতে ধরা পরেন তিনি। ফেরার আগে ৯ রানই করতে পেরেছিলেন তিনি। তার বিদায়ে পাওয়া প্লেতে ২ উইকেট হারিয়ে চাপে বাংলাদেশ। তামিম ১৭ ও লিটন দাস ৬ রানে অপরাজিত আছেন।

দলীয় সংগ্রহ ৬ ওভার শেষে ২ উেইকেট হারিয়ে ৩৩ রান।

‘গোল্ডেন ডাক’ নাঈমের

প্রত্যাশার পারদটা ছিল ছিল স্বভাবতই বেশি। সম্প্রতি বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) দুর্দান্ত খেলার পর সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতেও করেছিলেন ৪৩ রান। কিন্তু আজ শুরুই করতে পারলেন না মোহাম্মদ নাঈম। শাহীন শাহ আফ্রিদির প্রথম বল মোকাবেলায় ফিরে গেছেন তিনি। তামিম ইকবাল ৪ ও মেহেদী হাসান ১ রানে অপরাজিত আছেন।

দলীয় সংগ্রহ ২ ওভারে ১ উইকেটে ৬ রান।

সিরিজ বাঁচানোর ম্যাচে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ

গতকালই পাকিস্তানে চলমান তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথমটিতে টস জিতে ব্যাটিং নিয়েও লড়াই করার পুঁজি পায়নি বাংলাদেশ। আজ শনিবারও টস জিতে ফের ব্যাটিং বেছে নিয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।

লাহোরের সেই গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে ম্যাচটি শুরু হয়েছে বাংলাদেশ সময় বেলা ৩ টায়।

মিঠুনের জায়গায় মেহেদি

একটি পরিবর্তন নিয়ে সিরিজের টিকে থাকার লড়াইয়ে নেমেছে বাংলাদেশ। বোলিংয়ে বাড়িয়েছে শক্তি। মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ মিঠুনের জায়গায় অফ স্পিনিং অলরাউন্ডার মেহেদি হাসানকে একাদশে ফিরিয়েছে সফরকারীরা।

২০১৮ সালে একটি টি-টোয়েন্টি খেলেছিলেন মেহেদি। এরপর থেকে দলের বাইরে থাকা তরুণ অলরাউন্ডার দলে ফিরেছেন বিপিএলের দারুণ পারফরম্যান্সে। এবার এলেন একাদশেও।

বাংলাদেশ : মাহমুদউল্লাহ, তামিম ইকবাল, সৌম্য সরকার, মোহাম্মদ নাঈম শেখ, লিটন দাস, মেহেদি হাসান, আফিফ হোসেন, আমিনুল ইসলাম বিপ্লব, মুস্তাফিজুর রহমান, শফিউল ইসলাম, আল আমিন হোসেন।

অপরিবর্তিত পাকিস্তান

জয় দিয়ে সিরিজ শুরু করা পাকিস্তান কোনো পরিবর্তন আনেনি, খেলছে একই একাদশ নিয়ে।

পাকিস্তান : বাবর আজম, এহসান আলি, হারিস রউফ, ইফতিখার আহমেদ, ইমাদ ওয়াসিম, মোহাম্মদ হাফিজ, মোহাম্মদ হাসনাইন, মোহাম্মদ রিজওয়ান, শাদাব খান, শাহিন শাহ আফ্রিদি, শোয়েব মালিক।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন