বাংলাদেশে সরকারী-বেসরকারীভাবে ২৪টি ডেন্টাল মেডিকেল কলেজ থাকলেও ডেন্টাল ইমপ্ল্যান্ট বা দাঁত প্রতিস্থাপন বিষয়ে কোন প্রতিষ্ঠানেই এ বিষয়ে পোষ্ট গ্রাজুয়েশনের সুযোগ নেই। ফলে সারাদেশে ১২ হাজার দাঁতের চিকিৎসক (ডেন্টিস্ট) থাকলেও মাত্র দুই থেকে তিন’শ চিকিৎসক দাঁতের ইমপ্ল্যান্ট (দাঁত প্রতিস্থাপন) করছেন। এরা মূলত ডেন্টাল অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ডিআইএবি) থেকে প্রশিক্ষণ বা বিদেশে ডিগ্রি নিয়ে এই সেবা দিচ্ছেন। এতে করে প্রান্তিক পর্যায়ের রোগীদের জন্য দাঁতের ইমপ্ল্যান্ট সেবাটি ছড়িয়ে দেয়া কঠিন হয়ে পড়ছে।
শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) রাজধানীর হোটেল র্যাডিসনে দন্ত প্রতিস্থাপন সেবা ছড়িয়ে দিতে ডিআইএবি’র উদ্যোগে দুই দিনব্যাপী শুরু হওয়া প্রথম আন্তর্জাতিক ডেন্টাল ইমপ্ল্যান্ট কংগ্রেস ও ডেন্টাল এক্সপো-২০২০ সম্মেলনে বিশেষজ্ঞরা এসব কথা বলেন।
সম্মেলনে বাংলাদেশের চিকিৎসকসহ যুক্তরাষ্ট্র, কোরিয়া, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া ও ভারতের প্রায় চার শতাধিক ডেন্টাল সার্জন অংশ নেন। পাশাপাশি চিকিৎসকরা ডেন্টাল ইমপ্ল্যান্ট বিষয়ে নিজেদের দক্ষতা বাড়াতে বিভিন্ন ধরনের বৈঠক, আলোচনা সভা ও হাতে কলমে শিক্ষার প্রশক্ষণ কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন।
সম্মেলনে দন্ত চিকিৎসা বিশেষজ্ঞরা বলেন, বাংলাদেশে ডিআইএবি সাধারণ ডেন্টাল সার্জনদের প্রশিক্ষণ দিয়ে ডেন্টাল ইমপ্ল্যান্টে দক্ষ করতে চেষ্টা করছে। ডিআইএবি’র প্রথম ব্যাচে ২০ জন চিকিৎসক প্রশিক্ষণ নিয়ে দক্ষতার সঙ্গে দাঁত প্রতিস্থাপনের কাজ করছে। তবে বাংলাদেশে ডেন্টাল সার্জারী বিডিএস কোর্সে ডেন্টাল ইমপ্ল্যান্ট অন্তর্ভ‚ক্ত ও একাধিক পোস্ট গ্রাজুয়েশন কোর্স চালু হলে দাঁতের রোগীরা ইমপ্ল্যান্ট সেবা বঞ্চিত হবেনা। এমনকি দেশে ডেন্টাল ইমপ্ল্যান্টের কলেবর বাড়লে মেডিকেল ট্যুরিজমের মাধ্যমে প্রতিবছর বিশাল অঙ্কের বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন সম্ভব হবে। কারণ ইতোমধ্যে সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড ও ভারতে ডেন্টাল ইমপ্ল্যান্ট সেবার মাধ্যমে সেসব দেশের মেডিকেল টুরিজম বিলিয়ন ডলার ইন্ড্রাষ্ট্রিতে পরিণত হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন