রাজধানীর কাফরুল ও আশুলিয়ায় গার্মেন্টস শ্রমিক ধর্ষণকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি এবং শ্রমজীবী নারীর ওপর কর্মক্ষেত্রে, যানবাহন, আবাসস্থলে যৌন হয়রানি ও ধর্ষণ প্রতিরোধের দাবিতে মানববন্ধন করেছে বাংলাদেশ শ্রম অধিকার ফোরাম। গতকাল শুক্রবার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
গত কয়েক বছরে নারী নির্যাতনের চিত্র তুলে ধরে বলেন, আমাদের দেশের নারী ও শিশুরা প্রতিনিয়ত শারীরিক, মানসিক নির্যাতন ও যৌন নিপীড়নের শিকার হচ্ছে।
এদের মধ্যে শ্রমজীবী নারীর সংখ্যা বেশি। ২০১৯ সালে গণধর্ষণের শিকার হয়েছে ১৪১৩ জন নারী। এর আগের বছর ২০১৮ সালে ৭৩২ জন নারী গণধর্ষণের শিকার হয়েছে। কর্মক্ষেত্রে গার্মেন্টসের নারী শ্রমিক ৩৯ শতাংশ, যানবাহনে ৭৭ শতাংশ এবং আবাস স্থলে ১৪ শতাংশ নারীরা প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে শারীরিক ও মানসিক যৌন হয়রানির শিকার হচ্ছেন।
বাংলাদেশ বস্ত্র ও পোশাক শিল্প শ্রমিক লীগের সহ-সভাপতি মরিয়ম আক্তার বলেন, কাফরুল ও আশুলিয়া এলাকায় গার্মেন্টস শ্রমিক ধর্ষণ, কুর্মিটোলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী এবং আরও দুই শিশু ধর্ষণের চেষ্টা করাসহ অসংখ্য নারী নির্যাতনের ঘটনা প্রতিদিন বাংলাদেশ বিভিন্ন এলাকায় ঘটছে। যারা এসব ঘটনার সঙ্গে জড়িত তাদের সামাজিক, পারিবারিক এবং রাষ্ট্রীয়ভাবে বর্জন করে যৌন নিপীড়নের বিরুদ্ধে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। বাংলাদেশ বস্ত্র ও পোশাক শিল্প শ্রমিক লীগের সহ-সভাপতি মরিয়ম আক্তার, বাংলাদেশ গার্মেন্টস টেক্সটাইল ফেডারেশনের সভাপতি আবুল হোসেন, বাংলাদেশ কৃৃষক ফেডারেশনের সভাপতি বদরুল আলম ও মজিবর রহমান প্রমুখ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন