বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সম্পাদকীয়

প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষাভাবনা বনাম প্রাইভেট শিক্ষার্থীদের নিয়মিত ভর্তি বাতিল

কাযী আবুল বয়ান হাশেমী | প্রকাশের সময় : ২৭ জানুয়ারি, ২০২০, ১২:০১ এএম

প্রাইভেট শিক্ষার্থীরা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পরবর্তী ধাপে উচ্চ শ্রেণিতে নিয়মিত ছাত্র হিসেবে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পেত। এ রেওয়াজ দীর্ঘদিন চালু ছিল স্কুল-কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়-মাদরাসাসহ কারিগরি প্রতিষ্ঠানসমূহে। প্রাইভেটে ইন্টার শেষ করে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্স কোর্সেও ভর্তি হওয়ার সুযোগ ছিল এতোদিন। স¤প্রতি শিক্ষা মন্ত্রণালয় এক প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে প্রাইভেট শিক্ষার্থীদের স্ব স্ব শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হওয়ার পরবর্তী উচ্চ শ্রেণিতে নিয়মিত ছাত্র হিসেবে ভর্তির সুযোগ বাতিল করে দিয়েছে। অর্থাৎ প্রাইভেট শিক্ষার্থীদের পরবর্তী প্রতিটি শ্রেণিতে প্রাইভেট ছাত্র হিসেবেই ভর্তি এবং পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে। মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড ১৮ বছরের ঊর্ধ্বের শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন করার সুযোগ দিচ্ছে না। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এহেন সিদ্ধান্তের ফলে প্রাইভেট শিক্ষার্থীরা পড়েছে চরম মানসিক বিপাকে। ইতোমধ্যে বিভিন্ন মহল প্রাইভেট শিক্ষার্থীদের জন্য জারিকৃত বৈষম্যমূলক এই প্রজ্ঞাপন বাতিল করার জন্য শিক্ষামন্ত্রীর প্রতি আহবান জানিয়েছেন।
বলার অপেক্ষা রাখে না, পারিবারিক টানাপোড়ন, পারিপার্শ্বিকতা, ব্যক্তিগত কারণে প্রবল ইচ্ছা থাকা সত্তে¡ও অনেক শিক্ষার্থী নিয়মিত ছাত্র হিসেবে লেখাপড়া চালিয়ে যেতে পারে না। এসব শিক্ষার্থীর উচ্চতর ডিগ্রি অর্জনে পথ সুগম করতে সরকার যুগযুগ ধরে প্রাইভেট ভর্তি ও পরীক্ষা পদ্ধতি চালু রাখে। অনেক প্রাইভেট শিক্ষার্থী কৃতিত্বের সাথে ইন্টার পাস করে স্নাতক এবং অনার্স কোর্সে নিয়মিত ছাত্র হিসেবে ভর্তি হয়ে কৃতিত্বের সাথে উচ্চতর ডিগ্রি অর্জন করার পর সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলেন এবং আছেন। সরকারি এবং বেসরকারি ক্ষেত্রে নিম্ন শ্রেণির সার্টিফিকেট নিয়ে অনেকে চাকরিতে যোগদান করে পরবর্তীতে প্রাইভেট পরীক্ষা পদ্ধতির সুযোগ গ্রহন করে উচ্চতর ডিগ্রি অর্জন শেষে যোগ্যতাবলে ক্রমান্বয়ে পদোন্নতি লাভ করে বড় বড় পদে আসীন হওয়ার সুযোগ লাভ করেন। অতএব, সুনির্দিষ্ট কোন কারণ না দেখিয়ে প্রাইভেট শিক্ষার্থীদের স্ব স্ব শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হওয়ার পর তৎপরবর্তী উচ্চ শ্রেণিতে নিয়মিত ছাত্র হিসেবে স্নাতক ও অনার্স কোর্সে ভর্তির সুযোগ বাতিলের প্রজ্ঞাপন জারি কাদের স্বার্থে করা হয়েছে, তা আজ সচেতন মহলের কাছে প্রশ্ন।

প্রসঙ্গক্রমে এখানে মাদরাসা আর সাধারণ শিক্ষার্থীদের মাঝে একটি বৈষম্যের কথা তুলে না ধরলেই নয়; সেটা হলো- উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের মাধ্যমে দীর্ঘদিন অষ্টম শ্রেণি থেকে স্নাতকোত্তর পর্যন্ত প্রাইভেট শিক্ষার্থীদের আদলে কর্মজীবী ও নানা পারিপার্শ্বিকতার কারণে ঝরেপড়া শিক্ষার্থীদের জন্য উচ্চতর ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ সুযোগ সৃষ্টি করা হলেও মাদরাসা শিক্ষার্থীদের জন্য উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের আদলে কোনো প্রতিষ্ঠান দাঁড় করানো হয়নি, কিংবা উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়েও মাদরাসা পড়ুয়াদের জন্য পৃথক কোন সেল গঠন করা হয়নি। ইতিপূর্বে বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে আলিম, ফাযিল ও কামিল শ্রেণিতে প্রাইভেট পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ থাকলেও ২০০৮ সালের পর আলীয়া নেসাবের মাদরাসার ফাযিল ও কামিল শ্রেণিকে যথাক্রমে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সমান মান দেওয়ার নিমিত্তে প্রথমে কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় এবং পরবর্তীতে ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর মাদরাসার ফাযিল কামিলের পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণের ভার ঐ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে চলে যাওয়ার পর মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে আছে কেবল আলিম শ্রেণি পর্যন্ত। মাদরাসা বোর্ডের অধীনে আলিম শ্রেণিতে প্রাইভেট পরীক্ষায় অংশ গ্রহণের সুযোগ থাকলেও অষ্টম ও দাখিল শ্রেণিতে প্রাইভেট পরীক্ষার কোনো সুযোগ রাখা হয়নি, যেটা উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের মাধ্যমে সাধারণ শিক্ষার্থীদের জন্য রাখা হয়েছে। শুধু তাই নয়, মাদরাসার অষ্টম শ্রেণীর জেডিসি পরীক্ষা ও দাখিল পরীক্ষায় অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে বয়সের সীমারেখা নির্ধারণ করে দেওয়ার মাধ্যমে প্রকারান্তরে মাদরাসা পড়ুয়াদের উচ্চ শিক্ষা লাভের সুযোগ সংকুচিত করা হয়েছে। জেডিসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য ১২ থেকে ১৪ এবং দাখিল পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য ১৮ বছর বয়সসীমা নির্ধারণ করে দিয়েছে শিক্ষামন্ত্রণালয়। পক্ষান্তরে উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির জেএসসি পরীক্ষায় বয়সের সীমারেখা নির্ধারণ করা হয়নি। প্রাইমারি কিংবা সপ্তম শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়া শেষে যেকোন কারণে ঝরে পড়া শিক্ষার্থীদের পরবর্তীতে উচ্চশিক্ষা/উচ্চ সনদ লাভের সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে যেকোন বয়সের শিক্ষার্থীর অষ্টম শ্রেণির জেএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ করে রয়েছে। মাদরাসা শিক্ষার্থীদের জন্য মাদরাসা বোর্ডে কোন সেল বা বিভাগ নেই, এমনকি উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়েও এরকম কোন সুযোগ রাখা হয়নি। শিক্ষামন্ত্রালয় মাদরাসা পড়ুয়াদের প্রতি আন্তরিক থাকলে অবশ্যই মাদরাসা শিক্ষার্থীদর জন্য অন্ততঃ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে আলাদা একটি সেল গঠন করতে পারতো। বলার অপেক্ষা রাখে না, প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা যেখানে সাধারণ শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি মাদরাসা শিক্ষার্থীদেরও সমান সুযোগ সৃষ্টির পক্ষে সেখানে আলীয়া মাদরাসা তথা ওলামা-মাশায়েখ বিদ্বেষী এক শ্রেণির রাজনীতিক ও আমলার যোগসাজশে বারবার মাদরাসা পড়ুয়াদের সুযোগ-সুবিধা সংকুচনের মাধ্যমে জাতির জনকের নীতি ও আদর্শের বিপরীতে অবস্থান নিতে দেখা যায়। অবিভক্ত বাংলার তদানীন্তন প্রধানমন্ত্রী শেরে বাংলা একে ফজলুর হক ১৯৩৭ সালে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (আলীয়া নেসাবের মাদরাসাসহ) শিক্ষকদের জন্য ভাতা চালুর যে যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন স্বাধীন বাংলাদেশে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা সেই অনুদান শতভাগে উন্নীত করে জাতীয় গ্রেডভুক্ত করেছেন এবং পৃথক মাদরাসা অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি ভৌত অবকাঠামো ক্ষেত্রে অভাবনীয় উন্নয়ন করে যাচ্ছেন।

জননেত্রী শেখ হাসিনা মাদরাসা শিক্ষা এবং আরবিকে কতো ভালোবেসেন তা বুঝানোর জন্য একটি উদাহরণই যথেষ্ট। ঢাকাস্থ ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের সময় তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদসহ আমলারা এফিলিয়েটিং ক্ষমতাসম্পন্ন ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পক্ষে ছিলেন, কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় স্থলে ‘ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়’ নামকরণ হয়ে এটি এফলিয়েটিংসহ পরিপূর্ণ বিশ্ববিদ্যালয়ের মর্যাদা লাভ করে। জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মাদরাসা শিক্ষাব্যবস্থাকে কতো ভালোবাসতেন তার জ্বলন্ত নজির স্বাধীনতা পরবর্তী ১৯৭২ সালের শেষের দিকে মাদরাসা শিক্ষাবোর্ড পুনঃগঠন এবং এ শিক্ষাবোর্ডের প্রথম চেয়ারম্যান নিয়োগ দেন বঙ্গবন্ধুর বিশ্বস্থ সহচর মাওলানা আব্দুর রশিদ তর্কবাগীশকে। আলীয়া নেসাবের মাদরাসা পড়ুয়াদের প্রতি যারা বিদ্বেষ পোষণ করেন তাদের উদ্দেশ্য বলতে চাই, আধুনিক ও দ্বীনি শিক্ষার সমন্বয়ে এই শিক্ষা ব্যবস্থা অত্যন্ত যুগোপযোগী শিক্ষা ব্যবস্থা হিসেবে জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থার অপরিহার্য অংশে পরিগণিত হয়েছে। মাদরাসা পড়ুয়ারা সাধারণ শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি দেশের প্রতিটি সেক্টরে মেধা ও যোগ্যতার স্বাক্ষর রাখছে যুগের পর যুগ। মাদরাসা শিক্ষার্থী ও ইসলামী লেবাস ধারণ করে ইতোমধ্যে যারা রাষ্ট্রদ্রোহী ও সরকার বিরোধী কর্মকান্ড জড়িত ছিল তাদের কেউ-ই আলীয়া মাদরাসার শিক্ষার্থী ছিল না। এমন প্রমাণ কোনো গোয়েন্দা সংস্থা দিতে পারেনি। শাপলা চত্বর বলেন, গুলশানের আর্টিজন রেস্টুরেন্ট বলেন এসব স্থানে নাশকতামূলক কর্মকান্ড ঘটিয়ে সরকারকে সাময়িক বেকাদায় ফেলার কোনো অপকর্মে আলীয়া নেসাবের কোনো ওলামা-মাশায়েখের অংশগ্রহণ যে ছিল না- সেটা আজ প্রমাণিত সত্য। তারপরও মাদরাসা পড়ুয়াদের প্রতি কেন অবহেলা সেটা আজ ইসলাম প্রিয় দেশপ্রেমিক সচেতন মহলের প্রশ্ন। বৈচিত্র্যময় পৃথিবীতে জন্ম নিয়ে অনেক শিশুর পক্ষে ন্যূনতম শিক্ষাটুকুন লাভ করার সুযোগ হয় না। বয়স-বুদ্ধি বাড়ার পর অনেকের জীবনের ভাগ্যের মোড় ঘুরে যায়। বিত্তবৈভব, যশখ্যাতি লাভের পাশাপাশি অনেকের কাছে শিক্ষকতা যোগ্যতা তীব্রভাবে অনুভূত হলে স্বেচ্ছা প্রণোদিত হয়ে লেখাপড়া শুরু করে দেয়। বয়স্ক অবস্থায় পারিপার্শ্বিকতার কারণে নিয়মিতের পরিবর্তে প্রাইভেট ছাত্র হিসেবে ডিগ্রি অর্জন সহজতর বিধায় সরকার বিষয়টি গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করে প্রাইভেট পরীক্ষা পদ্ধতি চালু করে। এ শিক্ষা পদ্ধতি পৃথিবীর অনেক দেশে চলমান। সুতরাং উচ্চ শিক্ষা অর্জনের ক্ষেত্রে বয়সের সীমারেখা নির্ধারণ কোনভাবেই কাম্য হতে পারে না। যুগেযুগে বিভিন্ন মনীষী পরিণত বয়সে শিক্ষা অর্জন করে যশ খ্যাতি লাভ করে চির স্মরণীয়-বরণীয় হয়ে আছেন। ইসলামে ইমাম চতুষ্টয়ের মাঝে হযরত ইমাম আহমদ বিন হাম্বল (রাহ.) প্রখ্যাত সুফি দরবেশ ও জ্ঞান তাপস হযরত বিশির আল হাফি (রহ.)-এর কাছে তাঁর অত্যন্ত পরিণত বয়সে জ্ঞান অর্জন করে জগদ্বিখ্যাত ইসলামী আইনশাস্ত্রবিদ হিসেবে মুসলিম জাহানে স্বীকৃতি লাভ করেছেন। পরিণত বয়সে শিক্ষালাভ করে স্ব স্ব ক্ষেত্রে বিশেষ খ্যাতি অর্জনের নজির আধুনিক কালেও কম না।

৫১ বছর বয়সে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে ‘পড়ালেখার কোন বয়স নেই’, এই কথাটি সত্যে পরিণত করেছেন নোকিয়া করপোরেশনের চেয়ারম্যান রিসটো সিলাসমা। ২০১৫ সালে এই প্রযুক্তি ব্যবসায়ী রীতিমতো বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে পড়ালেখা শুরু করেছেন। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা-আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্স বিষয়ে স্টাডি করতে স্টাম্পোর্ট বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালিত এ.আই প্রোগ্রামিং-বিষয়ক কয়েকটি অনলাইন কোর্সে ভর্তি হন তিনি। বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে পাঠানো এক ই-মেইলে রিসটো জানান, এআই নিয়ে আমার খুব গভীর জানাশোনা নেই, এটা বুঝতে পারছি। তাই ৩০ বছর পর আবার প্রোগ্রামিং নিয়ে পড়াশোনা শুরু করতে যাচ্ছি। অতএব, প্রাইভেট শিক্ষার্থীদের নিয়মিত এবং অনার্স কোর্সে ভর্তির সুযোগ বন্ধের প্রজ্ঞাপন স্থগিত রাখার পাশাপাশি মাদরাসার অষ্টম শ্রেণির জেডিসি এবং দাখিল পরীক্ষায় অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে বয়সের সীমারেখা বাতিলের অনুরোধ জানিয়ে বলতে চাই, উপরোক্ত বিষয়ে সদয় বিবেচনাপূর্বক যেকোনো বয়সের শিক্ষার্থীদের উচ্চতর ডিগ্রি অর্জনের অবারিত সুযোগ সৃষ্টি করা হোক। সঙ্গতকারণে এসব ডিগ্রিধারীর সরকারি চাকরির সুযোগ না হলেও অন্তত উচ্চশিক্ষার হার তো বাড়বে। এর ফলে প্রধানমন্ত্রীর মিশন-ভিশন অভিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছবে।
লেখক: অধ্যক্ষ, আহছানুল উলুম জামেয়া গাউছিয়া কামিল (এম.এ) মাদরাসা, চট্টগ্রাম।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (7)
শর্মিলি তালুকদার ৯ মে, ২০২০, ১:১৬ এএম says : 0
আমি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় হতে বাংলায় অনার্স পাশ করি শিক্ষাবর্ষ ২০১৩।জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষাবর্ষ নির্ধারিত করার ফলে আমি মাস্টার্স প্রাইভেটে ভর্তি হতে পারছি ।
Total Reply(0)
মোহাম্মদ হাসান ১৩ অক্টোবর, ২০২০, ১২:৫২ এএম says : 0
এ বিষয়টি খবই গুরুত্বপূর্ণ মাননীয়প্রধানমন্ত্রীর কাছে এ সুযোগটা করে দেওয়ার আকুল আবেদ।
Total Reply(0)
মোহাম্মদ হাসান ১৩ অক্টোবর, ২০২০, ১২:৫৩ এএম says : 0
এ বিষয়টি খবই গুরুত্বপূর্ণ মাননীয়প্রধানমন্ত্রীর কাছে এ সুযোগটা করে দেওয়ার আকুল আবেদ।
Total Reply(0)
মোহাম্মদ হাসান ১৩ অক্টোবর, ২০২০, ১২:৫৭ এএম says : 0
আমি কামিল ২০১৩ সালে করেছি কিন্তু এখন একটা অনার্স করতে বড় শখ সময় নির্ধারনের কারনে করতে পারছি না।
Total Reply(0)
জিহাদ ১৪ আগস্ট, ২০২১, ১১:৪৪ পিএম says : 0
আমি ২০২০ সালের এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ ৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছি, কিন্তু আমি এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছিলাম ২০১৫ সালে, এর দরুণ আমি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করতে পারছি না। জাতির কাছে অভিযোগ রইলো, শুধু মাত্র তিন বছরের শিক্ষা বিরতির দরুণ আমার শিক্ষাজীবন আজ চরম অনিশ্চিয়তার মধ্যে কাটছে। নিজের জীবনটাকে কেন যেন আজ অভিশপ্ত মনে হচ্ছে।
Total Reply(0)
চঞ্চল দাস ৯ জানুয়ারি, ২০২২, ১০:৩৪ এএম says : 0
আপনার সাথে আমি একমত
Total Reply(0)
কেয়া রানী সাহা ১০ জানুয়ারি, ২০২২, ১২:৫৮ পিএম says : 0
দয়া করে এ নিয়ম বাদ দিন
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন