শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

কেরানীগঞ্জে চটপটি খাওয়ার কথা বলে ৫বছরের শিশুকে ধর্ষন, ধর্ষক আটক

কেরানীগঞ্জ (ঢাকা) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৬ জানুয়ারি, ২০২০, ৯:৪৯ পিএম

ঢাকার কেরানীগঞ্জে চটপটি খাওয়ার কথা বলে ৫বছরের শিশুকে ধর্ষনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ধর্ষনের অভিযোগে ধর্ষক চটপটি বিক্রেতা মনির হোসেন(৫৫) কে পুলিশ আটক করেছে। এই ধর্ষনের ঘটনাটি ঘটেছে আজ রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৫টায় মডেল থানার জিনজিরা ইউনিয়নের পুর্ববন্দ ডাকপাড়া এলাকায়।শিশুটির বাবা ইদ্রিস পরান পেশায় একজন রাজমিস্ত্রী। তাদের গ্রামের বাড়ি গোপালগঞ্জ জেলার সদর থানার ভজরগাতি গ্রামে।শিশুটি এবছর ওই এলাকায় আদর্শ কিন্ডার গার্টেন স্কুলের শিশু শ্রেনীতে ভর্তি হওয়া কথা রয়েছে।
কেরানীগঞ্জ মডেল থানার এসআই মোঃ রফিকুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান,শিশুটি তার বাবা-মায়ের সাথে পুর্ববন্দ ডাকপাড়া গ্রামে জনৈক আফছার উদ্দিনের বাড়িতে ভাড়া থাকে। বিকেলে শিশুটি খেলার জন্য বাসার বাহিরে যায়। এসময় পাশের জনৈক ফজলু মিয়ার বাড়ির ভাড়াটিয়ে চটপটি বিক্রেতা মনির হোসেন শিশুটিকে চটপটি খাওয়ার কথা বলে তার বাসায় ডেকে নিয়ে। কয়েকদিন আগে তার স্ত্রী ও সন্তানেরা দেশের বাড়িতে বেড়াতে যায়। এই সুযোগে সে শিশুটিকে প্রথমে ৫টাকা দিয়ে তাকে ধর্ষন করে। শিশুটি বাসায় না ফেরায় তার মা চম্পা বেগম শিশুটিকে খুঁজতে বের হয়ে দেখেন যে তার কন্যা ধর্ষক মনির হোসেনের বাসার পাশে কান্নাকাটি করছে এবং তার পরনের পায়জামাটি খোলা । পরে শিশুটি তার মায়ের কাছে কান্নাকাটি করা অবস্থায় ঘটনাটি খুলে বলে। এতে শিশুটির মা চম্পা বেগম বিষয়টি থানায় জানালে তারা দ্রুত রাত সাড়ে ছয়টার সময় ফজলু মিয়ার বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ধর্ষক মনির হোসেনকে তার ভাড়া বাসা থেকে আটক করা হয়। এই ঘটনায় চম্পা বেগম থানায় বাদী হয়ে রাতেই শিশু ও নারী নির্যাতন আইনে একটি মামলা দায়ের করেছেন। ধর্ষক মনির হোসেনের বাবার নাম মৃত করান মিয়া। তার গ্রামের বাড়ি টাঙ্গাইল জেলার মির্জাপুর থানার আটি মাহমুদপুর গ্রামে। সে কখনো চটপটি আবার কখনো ঝালমুড়ি বিক্রি করে বেড়াত।এব্যাপারে কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ওসি কাজী মাইনুল ইসলাম জানান,ধর্ষককে আটক করা হয়েছে। এই ঘটনায় ধর্ষক মনির হোসেনের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে এবং তার বিরুদ্ধে থানায় শিশু ও নারী নির্যাতন আইনে একটি নিয়মিত মামলা রজ্জু হয়েছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন