২০১৯ সালে ১৪ হাজার ৩৭০ কোটি টাকা রাজস্ব আয় করেছে গ্রামীণফোন। যা আগের বছরের তুলনায় ৮ দশমিক ১ শতাংশ বেশি। ২০১৯ সালে ইন্টারনেট সেবা খাত থেকে আয় বেড়েছে ১৭ শতাংশ। একই সময়ে ভয়েস থেকে আয় বেড়েছে ৮ দশমিক ৫ শতাংশ। ২০১৯ সালের শেষ প্রান্তিকে অপারেটরটির মোট রাজস্ব দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৬২০ কোটি টাকা। যা আগের বছর একই সময়ের তুলনায় ৪ দশমিক ২ শতাংশ বেশি। চতুর্থ প্রান্তিকে ৭ লাখ নতুন গ্রাহক গ্রামীণফোন নেটওয়ার্কে যোগ দিয়েছে। মোট গ্রাহক দাঁড়িয়েছে ৭ কোটি ৬৫ লাখ। এসব গ্রাহকের মধ্যে ৪ কোটি ৬ লাখ গ্রামীণফোনের ইন্টারনেট সেবা ব্যবহারকারী। মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) গণমাধ্যমে পাঠানো প্রতিষ্ঠানটির এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
গ্রামীণফোনের সিইও মাইকেল প্যাট্রিক ফোলি বলেন, রেগুলেটরি দৃষ্টিকোণ থেকে ২০১৯ সাল গ্রামীণফোন একটি কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে পার করেছে। নানা ধরনের বিধিনিষেধ আমাদের দৈনন্দিন কার্যক্রম ব্যহত করেছে। তবে চমৎকারভাবে বাজার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন এবং নেটওয়ার্কে আমাদের শক্তিশালী অবস্থান ধরে রাখার মাধ্যমে আমরা ব্যবসায়িক সাফল্য অজর্ন করতে সক্ষম হয়েছি। পরিকল্পিত লক্ষ্য অনুযায়ী চতুর্থ প্রান্তিকে ফোরজি সাইটের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১০ হাজার। বছর শেষে আমাদের নেটওয়ার্কে ফোরজি গ্রাহকের সংখ্যা ১ কোটি ১৯ লাখে উন্নীত করতে সক্ষম হয়েছি।
আর্থিক প্রতিবেদনে দেখা যায়, ২৫ দশমিক ৪শতাংশ মার্জিনসহ ২০১৯ সালের চতুর্থ প্রান্তিকে মোট মুনাফার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৯২০ কোটি টাকা। শেষ প্রান্তিকে শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৬ দশমিক ৮১ টাকা। গ্রামীণফোনের সিএফও ইয়েন্স বেকার বলেন, শক্তিশালী মার্জিন নিয়ে গ্রামীণফোন ২০১৯ সালে ব্যবসায়িক সাফল্য অজর্ন করেছে। চতুর্থ প্রান্তিকে আমরা তীব্র প্রতিযোগিতা ও বৈরি আবহাওয়া সত্ত্বেও ইন্টারনেট সেবা খাতে শক্তিশালী প্রবৃদ্ধি অর্জনে সফল হয়েছি। শেয়ারহোল্ডারদের জন্য পরিচালনা পর্ষদ প্রতি শেয়ারে ১৩ টাকা লভ্যাংশের প্রস্তাব করেছেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন