রাজধানীর দুই সিটি নির্বাচনী প্রচারণায় দক্ষিণাঞ্চলের বেশিরভাগ উপজেলা চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান ছাড়াও বেশিরভাগ পৌরসভাগুলোর মেয়ররা গত বেশ কিছুদিন ধরে ঢাকায় অবস্থান করছেন। এমনকি এসব চেয়ারম্যান ও মেয়র, ভাইস চেয়ারম্যান বা প্যানেল মেয়রদের কাছে অন্তবর্তীকালীন দায়িত্ব প্রদান না করায় উপজেলা পরিষদ ও পৌরসভাগুলোর প্রশাসনিক ও উন্নয়ন কাজ যথেষ্ট বাধাগ্রস্থ হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
সিটি নির্বাচনী প্রচারণায় এমপি ও মন্ত্রীদের অংশগ্রহণে বিধিনিষেধ থাকলেও অন্য নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের বিষয়ে সুস্পষ্ট কিছু উল্লেখ না থাকার সুবাদে দক্ষিণাঞ্চলের উপজেলা ও পৌরসভাগুলোর জনপ্রতিধিরা সে সুযোগকে কাজে লাগাচ্ছেন। তারা তাদের রাজনৈতিক অভিভাবকদের সন্তুষ্ট করতেই ঢাকা সিটি নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিচ্ছেন। ঢাকা মহানগরীতে দক্ষিণাঞ্চলের বিপুল সংখ্যক মানুষ স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন। এদের কেউ চাকরির সুবাদে, আবার কেউ ব্যাবসা-বাণিজ্যের কারণে পরিবার পরিজন নিয়ে দীর্ঘদিন যাবতই ঢাকায় অবস্থান করছেন। ফলে ঢাকা সিটির ভোটারদের একটি বড় অংশই দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ। এমনকি ঢাকা মহানগরীর কোন কোন এলাকায় দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের শক্তিশালী অবস্থানও রয়েছে। দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের ভোট ক্ষমতাসীন দলের মেয়র প্রার্থীদের পক্ষে নেয়ার লক্ষে কাজ করছেন এ অঞ্চলের অনেক জনপ্রতিনিধি। তবে বরিশাল সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ নির্বাচনী প্রচারণা শুরুর আগে ঢাকায় গিয়ে দক্ষিণে সরকারি দলের প্রার্থী, আপন ফুপাত ভাই শেখ ফজলে নূর তাপসের সাথে দেখা করে এসেছেন। তবে তিনি কোন আনুষ্ঠানিক প্রচারণায় অংশ নেননি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন