পদ্মা সেতু পদ্মা সেতু প্রকল্পে কর্মরত চীনা কর্মীদের মধ্যে যারা ছুটি কাটাতে চীনে গেছেন, আপাতত তাদের বাংলাদেশে ফেরা বন্ধ করা হয়েছে। আবার চীনা কর্মীদের মধ্যে যারা প্রকল্প এলাকায় রয়েছেন তাদের কেউ যেন চীনে যেতে না পারেন সে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার পদ্মা সেতু প্রকল্পের নির্বাহী প্রকৌশলী ও প্রকল্প ব্যবস্থাপক দেওয়ান আবদুল কাদের সাংবাদিকদের এ খবর নিশ্চিত করেছেন। পদ্মা সেতু প্রকল্পে অনেক চীনা প্রকৌশলী ও কর্মী রয়েছেন। তবে দেশি-বিদেশি কোনও কর্মী এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হননি বলে নিশ্চিত করেছেন পদ্মা সেতু প্রকল্পের সিনিয়র অক্যুপেশনাল অ্যান্ড হেলথ স্পেশালিস্ট মাহমুদ হোসেন ফারুক। তিনি জানান, করোনাভাইরাসে পদ্মা সেতু প্রকল্পের কোনও কর্মী আক্রান্ত নন। তবে এই ভাইরাসের যেহেতু কোনও ভ্যাকসিন নেই, তাই প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা যেগুলো নিতে হয়, সেগুলো নেয়া হচ্ছে। যেমন স্টাফদের নিয়ে পর্যায়ক্রমে সচেতনতামূলক প্রোগ্রাম করা, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও হাইজিন ব্যবস্থা ও মাস্ক পরিধান করা, সময়ে সময়ে আইইডিসিআর (ইনস্টিটিউট অব এপিডেমিওলজি ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড রিসার্চ) এর সঙ্গে যোগাযোগ রাখা। তারাও (আইইডিসিআর) বিষয়গুলো মনিটর করছে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, চীনা কর্মকর্তাদের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা আলাদা। যারা তাদের সার্ভ করেন তারা যেন সব সময় সেফটি ড্রেস (মাস্ক ও গøাভস) পরে থাকেন, সেগুলোতে জোর দেয়া হচ্ছে। চীনা কর্মীদের আলাদা ক্যাম্প আছে। অন্যদের সঙ্গে যেন অতিরিক্ত মেলামেশা না করেন, সে বিষয়গুলো দেখা হচ্ছে।
নির্বাহী প্রকৌশলী ও প্রকল্প ব্যবস্থাপক বলেন, করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত নই। তবে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। আমরা খুব সতর্ক অবস্থায় আছি যেন কোনও ঝামেলা না হয়। চীনারা যারা চীনে গেছে তাদের আসতে দেয়া হচ্ছে না। আর বাংলাদেশ থেকে কেউ যাচ্ছে না। তবে পদ্মা সেতু প্রকল্পের মোট ১১০০ জন চীনা কর্মীর মধ্যে কতজন বর্তমানে ছুটিতে চীনে আছেন, তা জানাতে পারেননি এই প্রকৌশলী।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন