বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

রাজশাহী দলিল লেখক সমিতির সদস্যদের অনুদানের চেক বিতরণ

রাজশাহী ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ২৯ জানুয়ারি, ২০২০, ১২:৩৮ এএম

রাজশাহী সদর দলিল লেখক সমিতির উদ্যোগে মৃত সদস্যগণের পরিবারকে অনুদানের অর্থ ও কন্যা বিবাহের অনুদান প্রদান অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে সমিতির হলরুমে আয়োজিত অনুষ্ঠানে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে অনুদানের অর্থ প্রদান করেন। মৃত সদস্যগণের ছয় পরিবারের প্রত্যেকে চার লাখ টাকা অনুদান এবং কন্যা বিবাহের জন্য চার জনকে প্রত্যেকে পঞ্চাশ হাজার টাকা অনুদান প্রদান করা হয়। 

অনুষ্ঠানে মেয়র প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র বলেন, ভূমি নিবন্ধন পদ্ধতি, খতিয়ান, নামজারি খতিয়ানসহ এ সংক্রান্ত সব কিছু ডিজিটালাইজেশন উদ্যোগ হাতে নিয়েছে সরকার। আগামী ভূমি সংক্রান্ত সবকিছু ডিজিটালাইজেশনের আওতায় আসবে। এতে অর্থ ও সময় বাঁচবে।
মেয়র বলেন, নাগরিক সুবিধা সুনিশ্চিত করতে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের আয়তন বাড়ানো হচ্ছে। বর্তমানের চেয়ে প্রায় তিনগুন আয়তন বৃদ্ধির প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। এটি অনুমোদন হলে নগরীর আয়তন বাড়বে।
রাজশাহী সদর দলিল লেখক সমিতির সভাপতি আলহাজ¦ মোঃ মহিদুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সদর সাব-রেজিষ্ট্রার (খন্ডকালীন) বাদল কৃষ্ণ বিশ^াস। আরো বক্তব্য দেন সদর দলিল লেখক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শেখ জাকাতুল্লাহ, সাধারণ সদস্য আব্দুর রহমান, নুরুল ইসলাম, আল মামুন। অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা করেন সমিতির দপ্তর সম্পাদক আতিকুল ইসলাম তপন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (2)
a barique ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ১:৫৩ পিএম says : 0
২১/৪/১৯৭৫সালের দলিলের নকল তুলিতে চাই
Total Reply(0)
Md. Momtazul Islam Sumon ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ১১:৩৫ এএম says : 0
যে কোন দলিল যেমন জমির খোলা বাইনা, রেজিষ্ট্রেশন বাইনা, জমির রেজিষ্ট্রেশন, জমির আমমোক্তার নিয়োগে, ব্যাবসায় অংশিদার অথবা যে কোন আর্থিক লেনদেনে দলিল লেখকরা মূল ভুমিকা পালন করেন, আজকাল জায়গা -জমি সংক্রান্ত মামলা মোকমদ্দমা হানাহানি খুনাখুনি, হয়রানির শিকা্‌র, ক্ষয়ক্ষতি হতে হচ্ছে। এর পিছনে ৯০% দায়ী দলিল লেখক। দলিল লেখকের অজ্ঞতা, দলিল লেখক-জমির মালিকের পারস্পরিক চাতুরীর জন্য, অজ্ঞ জমি ক্রেতাকে ক্ষয়ক্ষতি ও হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে। জমির মালিক জমি বিক্রয় করে দায়সারা বা জমির ক্রেতাকে ফাদে ফেলা, জমি ক্রেতা জমি ক্রয়ের নামে জমির মালিক কে ফাদে ফেলা, আম-মোক্তার/ল্যান্ড ডেভেলপার /ল্যান্ড কোম্পানি সেজে জমির মালিক-জমির ক্রেতাকে ধোকাদেওয়া বা নিজেই ক্ষতিগ্রস্থ হওয়া ইত্যাদি ঘটনা ঘটছে। জমির মালিক -ক্রেতা-আমমোত্তার-ল্যান্ড ডেভেলপার -ল্যান্ড কোম্পানি কেউই যেন নিজেকে দায়মুক্ত বা অন্যের ক্ষতিসাধন, না করতে পারে ও জমি বিক্রেতা, জমিক্রেতা, আমমোত্তার বা দলিল লেখক ক্ষয়ক্ষতির দায়ভার কেউই যেন, না এড়াতে পারে এর জন্য নিবন্ধিত দলিল লেখকদের প্রশিক্ষণ ও মান উন্নয়ন একান্ত প্রয়োজন হয়ে পরেছে। কারণ দলিলে কিছু কিছু শর্ত বাধ্যতামূলক উল্লেখ থাকে না, যার কারনে আইনের ফাকফোকড়ে অনেক ক্ষেত্রে জমি বিক্রেতা-ল্যান্ড ডেভেলপার -ল্যান্ড কোম্পানি, আম মোক্তার বা জমি ক্রেতা উভয়ই ক্ষয়ক্ষতি ও হয়রানির শিকার হচ্ছে. যেমন... ১)জমি ক্রেতা /বিক্রেতা/আমমোক্তার /ল্যান্ড ডেভেলপার/ল্যান্ড কোম্পানি উভয়ই এর ব্যাংক একাউন্ট নং ও ব্যাংক একাউন্টের “ব্যাংক সার্টিফিকেট " বাধ্যতামূলক যুক্ত করা। ২)সকল আর্থিক লেনদেনের ক্ষেত্রে ব্যাংক একাউন্টে অর্থ জমাদান ও রশিদ সংরক্ষণ/প্রদর্শন বাধ্যতামূলক করা। এতে লেনদেনের স্বচ্ছতা, হয়রানী ও সরকার কে রাজস্ব ফাকি দেওয়ার আর সুজগ থাকে না। ৩)জমি ক্রেতা মেয়াদ কালিন সময়ে অর্থ পরিশোধে ব্যর্থ হলে, দলিল পুনঃ নবায়ন এর জন্য ক্ষতিপূরনের হার ও সময় সীমা উল্লেখ বাধ্যতামূলক করা। আর্থিক নিরাপত্তার জন্য, জমির ক্রেতাকে কয়েক জন আর্থিক গ্রান্টর(যেমন পিতা-মাতা/ভাই-বোন /প্রতিবেশী -সহকর্মি/মধ্যস্তাকারি দালাল ইত্যাদি) যুক্ত অথবা ব্যাংক গ্যারান্টি দাখিল বাধ্যতামূলক করা । ৪) জমির মালিক জমির মালিকানা প্রমাণে, জমির দখল বুঝিয়াদিতে, রেজিষ্ট্রেশন করিয়াদিতে ব্যর্থ হলে বা ভূমি রেজিষ্ট্রেশন পরবর্তী জমির মালিকানা প্রমাণে, জমির দখল বুঝিয়াদিতে , ভোগদখল, ভুমি উন্নয়ন, খাজনা খারিজ, খাজনা প্রদান ইত্যাদি কোন ঝামেলা সৃষ্টি হলে, জমির মালিক/আমমোক্তার /ল্যান্ড কোম্পানি /ল্যান্ড ডেভেলপার কে দায়ভার নিতে হবে, ক্ষতিপূরনের হার ও অর্থ ফেরতের সময় সীমা উল্লেখ সহ সমুদয় অর্থ ফেরতের বিধান বাধ্যতামূলক করা। আর্থিক নিরাপত্তার জন্য জমি বিক্রতা/আমমোক্তার/ল্যান্ড ডেভেলপার /ল্যান্ড কোম্পানি (পিতা-মাতা/ভাই-বোন /প্রতিবেশী -সহকর্মি/মধ্যস্তাকারি দালাল ইত্যাদি) কয়েক জনকে আর্থিক গ্রান্টর যুক্তকরা অথবা ব্যাংক গ্যারান্টি দাখিল বাধ্যতামূলক করা। ৫)জমির মুল মালিক/ নিযুক্ত আমমোক্ততারের মৃত্যু হলে অসমাপ্ত কাজ সম্পাদন জমির মুল মালিক/আমমোক্তার সম্পাদন করিতে পারিবেন অথবা জমিক্রেতা সকলকে পাশকাটিয়ে আদালতের মাধ্যমে নিজ বা মনোনীত ব্যাক্তির অনুকুলে ডিক্রী জারি করিতে পারিবেন, জমির ক্রেতার মৃত্যু হলে মনোনীত ব্যাক্তিরা বকেয়া পরিশোধ বা অর্থ ফেরত বা নিজ অনুকুলে ভূমি রেজিস্ট্রেশন করিতে পারিবেন বা আদালতের আশ্রয় নিতে পারিবেন , ল্যান্ড ডেভেলপার /ল্যান্ড কোম্পানির দেউলিয়া বা সরকারি বা বেসরকারি মামলা মোকদ্দমা বা বাজেয়াপ্ত হলে কি কি করনিয় দলিলে স্পষ্ট উল্লেখ বাধ্যতামূলক করা। ৬) প্রয়োজনীয় সকল কাগজ পত্রের বাধ্যতামূলক সার্টিফাইড কপি যেমন হালনাগাদ দাগের মৌজা ম্যাপ/খতিয়ান/দাগের ভুমি তল্লাশী রিপোর্ট/দলিল/NID ইত্যাদি সাংযুক্তি ও প্রদান সাপেক্ষে দলিল লিখন। ৭) ভুমি তল্লাশি ব্যাবস্থা বা ভুমি রেজিষ্ট্রেশন ডিজিটালাইজ করা হোক, এতে কত জন অংশিদার, কতটি রেজিষ্ট্রেশন দলিল, কতটি বাইনা দলিল করা হয়েছে মেয়াদ কত, কতজন আমমোক্তার আছে। ফি সাপেক্ষে অনুসন্ধানের ব্যাবস্থা করা হোক এতে হয়রানি ও মামলা মোকদ্দমা কমবে, সময় সাস্রয় হবে, তল্লাশী বাবদ সরকারের আয় বাড়বে। ৮)জমি ক্রেতা /বিক্রেতা/আমমোক্তার /ল্যান্ড ডেভেলপার/ল্যান্ড কোম্পানি ইত্যাদির কারণে কেউ ক্ষতিগ্রস্ত হলে আইনি খরচ সহ সকল ক্ষতিপুরন বাধ্যতামূলক করা। ৯)দলিলে শুধু মাত্র ভুমি মালিক বা আমমোক্তারের স্বাক্ষর থাকে, ভুমির মুল মালিক, আমমোক্তার, ভুমি ক্রেতা, গ্রান্টোর, প্রতিনিধি ও উপস্থিত স্বাক্ষীগন সহ প্রত্যেকের মোবাইল নং, NID ও সহি-স্বাক্ষর বাধ্যতামূলক করা।
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন