পৈত্রিক সম্পত্তি ফিরে পেতে ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আমরণ অনশনে নেমেছেন জাহাঙ্গীর আলম নামের এক মুক্তিযোদ্ধা। তিনি ঝালকাঠি সদর উপজেলার ৪ নম্বর কেওরা ইউনিয়নের পিপলিতা গ্রামের মৃত হোসেন আলীর ছেলে।
আজ মঙ্গলবার সকাল ৮ থেকে পরিবারসহ মুক্তিযোদ্ধা জাহাঙ্গীর আলম আমরণ অনশনে বসেন।
মুক্তিযোদ্ধা জাহাঙ্গীর আলম খান বলেন, দলিলপত্র- রেকর্ড মূল ভোগ দখলীয় ১৫ শতাংশ বৈধ সম্পত্তি গ্রাস করতে তিন দফা মামলায় আদালতের ন্যায় বিচারে পরাজিত হয়ে ষড়যন্ত্রমূলক চাঁদাবাজি মামলায় জড়িয়ে হয়রানি ও নির্যাতন শুরু করেছে একই গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল খালেক ডাকুয়াসহ অন্যান্যরা। মিথ্যা চাঁদাবাজি মামলা মাথায় নিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন তারা।
গত ১১ জানুয়ারি রাত ১২টার দিকে ভূমিদস্যু আ. খালেক ডাকুয়া ও তার শ্বশুর চাঁন্দু হাওলাদার, পুত্র রিয়াজ, বাদল, লিটনসহ একাধিক লোকজন জমিতে অবৈধভাবে প্রবেশ করে ঘর নির্মাণ করেন এবং ওই রাতেই ঝালকাঠি সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের এএসপি এম এম মাহমুদ হাসানের সহযোগিতায় জাহাঙ্গীর আলম খানকে প্রধান আসামি করে চাঁদাবাজি মামলা দায়ের করেন।
পরে তার ছোট ভাই প্রবাসী দুলাল খান ও চাচাতো ভাই জাহিদ হাওলাদারকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এ মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারসহ ভূমিলোভী চক্রের বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, ঝালকাঠির সদর ২ আসনের এমপি ও সাবেক শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু এবং পুলিশের মহাপরিদর্শকের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
মুক্তিযোদ্ধা জাহাঙ্গীর আলম আরো বলেন, আমার ঘনিষ্ট আত্বীয় সৈয়দ হাদিসুর রহমানি মিলন ঝালকাঠি জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও বর্তমানে যুবলীগের সদস্য আমাদের বিপদের পাশে দাঁড়িয়ে গত ১৪ জানুয়ারী বিকাল ৫ টায় বরিশাল প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে কথা বলায় সেদিন রাতেই সৈয়দ মিলনের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে নতুন একটি চাঁদাবাজি মামলা সাজিয়ে তার বাসার দরজা ভেঙ্গে তাকে গ্রেফতার করে এবং তার পরের দিন মিলনের নামে ৩ টি মিথ্যা মামলা দায়ের করে। পুলিশের হাতে গ্রেফতারসহ হয়রানী এড়েতে পরিবার পরিজন নিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন বলেও অভিযোগ করেছেন মুক্তিযোদ্ধা জাহাঙ্গির আলম খান।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন