শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

পুলিশ ইমিগ্রেশনে ভারত গমনাগমনকারী পাসপোর্ট যাত্রীদের কাছ থেকে উৎকোচ আদায়ের জন্য বহিরাগত দালাল নিয়োগ

বেনাপোল আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট

বেনাপোল অফিস | প্রকাশের সময় : ২৯ জানুয়ারি, ২০২০, ৫:৩৫ পিএম

বেনাপোল আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট পুলিশ ইমিগ্রেশনে ভারত গমনাগমনকারী পাসপোর্ট যাত্রীদের কাছ থেকে উৎকোচ আদায়ের জন্য বেশ ক’জন বহিরাগত দালাল নিয়োগ দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। পুলিশ ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট অফিসের মধ্যে চিহ্নিত দালালদের নিয়োগ দিয়ে অবৈধ টাকা আদায়ের জন্য তৈরী করা হয়েছে একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট। কারণে অকারণে পাসপোর্ট যাত্রীদের বিভিন্ন ভাবে ফাঁদে ফেলে দালালরা ওসির নামে টাকা আদায় করছে প্রকাশ্যে। প্রতিদিন যাত্রীদের কাছ থেকে ১ থেকে ২ লাখ টাকা আদায় করা হচ্ছে অবৈধভাবে।

বাংলাদেশে যে সমস্ত দেশের দূতাবাস নাই পাশের দেশ ভারত থেকে সে সব দেশের ভিসার জন্য বাংলাদেশীরা ভারতে যায়। তাদেরকে বিদেশ পার্টি হিসাবে আখ্যায়িত করে পাসপোর্ট প্রতি ২ থেকে ৩ হাজার টাকা করে অর্থ আদায় করা হচ্ছে। এ কাজে ওসিকে সহযোগিতা করে এসআই হামিদ,কনস্টেবল হাসিব ও কম্পিউটার ইনজিনিয়ার আমিনুল।

বেনাপোল ইমিগ্রেশন ইন্টিগ্রেটেড চেকপোষ্ট হওয়ায় এই চেকপোষ্ট দিয়ে প্ভারতিনিধি ৮ হাজার পাসপোর্ট যাত্রী যাতায়াত করে থাকেন। ওসি খোরশেদ আলম পাসপোর্ট যাত্রীদের ভিসায় অন্য চেকপোষ্টের নাম থাকলে তাদের ইমিগ্রেশন সিল না দিয়ে ফেরত পাঠান। পরবর্তীতে ওসির নিয়োগকৃত দালালের মাধ্যমে ৩ থেকে ৫ হাজার টাকা আদায় করে তাদের পাসপোর্টে সিল দিয়ে ভারতে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়।

১ বছরের ভিসা থাকলেও পাসপোর্টের মেয়াদ ৩ মাস থাকলে তাদের কে ভারতে যেতে দেয়া হয়না। দালাল রা ওসির নামে ২ থেকে ৩ হাজার টাকা আদায় করে এক্সিট সীল মেরে দিচ্ছেন। যাত্রীর পাসপোর্টে উলেখ কৃত পেশার প্রত্যায়ন পত্র দেখাতে না পারলে ২ হাজার টাকা দিতে হয় ওসিকে। যাত্রীদের পাসপোর্টে ডলার ইনর্ডোসমেন্ট না থাকলে ডেস্ক থেকে সরাসরি যাত্রীদের ওসির রুমে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।

সেখান থেকে ওসির সিন্ডিকেট সদস্য কনস্টবল হাসিব দালাল সোহেল,তালেব,দেলোয়ার ও কবিরদের সাথে দফারফা করলেই সব ঠিক হয়ে যায়। ইমিগ্রেশনের ওসির নিয়োগকৃত দালালদের চিহ্নত করতে সিসি টিভির ক্যামেরার ফুটেজ চেক করলেই দেখা যাবে। ভারতীয় পাসপোর্টে বিজনেস ভিসা থাকলে ইমিগ্রেশন সিল লাগাতে হলে ওসির নির্দেশে প্রতি পাসপোর্ট যাত্রীকে ২ শ টাকা ঘুষ দিতে হয়। ১৫ জন লোক নিয়োগ রয়েছে ইমিগ্রেশন অফিসের ভিতরে কাস্টসম সাইডে ল্যাগেজ পার্টির মালামাল কাস্টম চেকিং ছাড়া ছাড় করানোর কাজ করে প্রতিদিন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক দালাল বলেন ওসি খোরশেদ স্যার আমাদের সবার কাছ থেকে প্রতিদিন ১ হাজার টাকা হারে আদায় করেন। সে আরো বলে ইমিগ্রেশন ভবনের সঙ্গে সংযুক্ত কাস্টমস অফিসের পাশে থাকতে হলে এ টাকা ওসি স্যার কে দিতে হবে।

যাত্রী হয়রানী নমুনা হিসাবে বিনা কারনে শত শত যাত্রীকে রোধ বৃষ্টি মধ্যে বাহিরে দাড় করিয়ে রাখা হয়।ভিতরে অল্প কয়েকজন যাত্রীকে ঢুকিয়ে দরজা বন্ধ করে দেয়া হয়।ওসির খাস লোক দালাল সোহেল নিজেকে এসবির নিয়োগকৃত লোক বলে পরিচয় দিয়ে ওসির নামে এসব অর্থ আদায় করে থাকে।
ওসি খোরশেদ আলম যাত্রীদের সাথে সব সময় অসৌজন্য মূলক আচরণ করেন।তিনি অফিস টাইমে পুলিশের নির্ধারিত পোষক না পড়ে সব সময় হাফ হাতা প্রিন্টের গ্যাঞ্জি পড়ে দালালদের সাথে মিশে থাকেন। অপর দিকে সাংবাদিক যাতে সরাসরি ইমিগ্রেশন অফিসে ঢুকতে না পারে সে জন্য খাতায় নাম এন্ট্রির ব্যবস্থা চালু করেছেন।
কোন সাংবাদিক ইমিগ্রেশনে ঢুকতে গেলে মাঝ পথে একজন কনস্টেবল তাকে থামিয়ে খাতায় না এন্ট্রি করতে বলে এ সুযোগে সে ওসিকে ফোন করে।ততক্ষনে ওসি তার অপকর্ম বন্ধ করে ফেলে ।

ওসি খোরশেদ আলমের সাথে মোবাইল ফোনে কথা হলে তিনি সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন আমাদের অফিসের সমস্ত কাজ ঢাকা হেড অফিস থেকে মনিটরিং করা হয়। সে জন্য মাঝে মধ্যে যাত্রীদের শৃংখলা ফেরাতে ইমিগ্রেশনে প্রবেশের ব্যাপারে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়। বিষয়টি এসবির উর্ধতন পুলিশ কর্মকর্তাদের সরেজমিনে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জোড় দাবী জানিয়েছে ভোক্তভোগী পাসপোর্ট যাত্রীরা।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন