কতিপয় প্রভাবশালী ব্যক্তি, ইউপি সদস্য ও দলীয় ক্ষমতার অপব্যবহার করে অবৈধভাবে ঝিনাই নদী থেকে অবাধে বালু উত্তোলন করছে। এ নিয়ে এলাকাবাসী বার বার প্রশাসনের দরজায় কড়া নাড়লেও বন্ধ হচ্ছে না বালু উত্তোলন। এভাবে নদী থেকে বালু উত্তোলন অব্যাহত থাকলে নদীর পাশেই মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ নদী পারের মানুষদের থাকার মত কোন জায়গা থাকবে না বলে অভিযোগ করেন এলাকাবাসী।
জানা যায়, টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলার কাশিল ইউনিয়নের নথখোলা এলাকা দিয়ে বয়ে গেছে ঝিনাই নদী। এ নদীর উপর নির্মিত একটি সেতু এবং তার দু’পাশে রয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও মুক্তিযুদ্ধের স্বরণে স্মৃতিস্তম্ভ। আর এ নদীর দু’পাড়ে রয়েছে বসতবাড়ি ও ফসলি জমি। এ বছরও শুরু হয়েছে অবাধে বালু উত্তোলন। অবৈধভাবে এ বালু উত্তোলন করায় ঝিনাই নদীর উপর নির্মিত সেতুটি ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। বালু উত্তোলনের ফলে ধুলাবালির কারণে সড়ক দিয়ে চলাচলেও সমস্যা দেখা দিয়েছে সাধারণ মানুষের। এ নিয়ে প্রতিবাদ করেও কোন ফল পাচ্ছে না এলাকাবাসী।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, নথখোলা ঝিনাই নদী থেকে ভেকু দিয়ে অবাধে বালু উত্তোলন করে প্রতিদিন প্রায় শত শত ট্রাক ও মাহিন্দ্র ট্রাক্টর দিয়ে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। এ নদী থেকে বিগত দিনে বালু উত্তোলনের ফলে নদীর পাড়ে একটি শহীদ মিনার নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। শহীদ মিনারের সাথেই একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়। যার একাংশ ভেঙে গেছে। নদীর অপর পাশে রয়েছে আরো কিছু স্থাপনা। প্রায় সারা বছরই কোন না কোন প্রভাবশালী মহল এ নদী থেকে প্রতিনিয়ত বালু উত্তোলন করে আসছে। ফলে নদী ভাঙনসহ বিভিন্ন স্থাপনা নদীগর্ভে বিলীন হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। বর্ষার পানি আসতে শুরু করলেই যে কোন মুহূর্তে দেখা দিতে পারে এই ভাঙন।
এ বিষয়ে বালু ব্যবসায়ীদের একজন আলমগীর ও তার সহযোগীদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা কথা বলতে রাজি হয়নি।
টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সিরাজুল ইসলাম বলেন, ঝিনাই নদীতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কোন অনুমতি কিংবা নদী খনন প্রকল্প নেই। যারা এ নদী থেকে বালু উত্তোলন করছে তা সম্পূর্ণ অবৈধ। আমি এ বিষয়ে টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসনের সাথে কথা বলেছি। তারা আমাকে বলেছেন দ্রæত এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন