শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

মহানগর

নানা সংস্কারের বেড়াজালে বিঘ্নিত হচ্ছে মরণোত্তর অঙ্গপ্রত্যঙ্গ দান

মতবিনিময় সভায় বক্তারা

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৩০ জানুয়ারি, ২০২০, ৭:০৮ পিএম

মানবদেহে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সংযোজন আইন- ১৯৯৯ সংশোধন করা হয় ২০১৮ সালে। এই আইনে অঙ্গপ্রত্যঙ্গ দান ও গ্রহণের ক্ষেত্রে আত্মীয়ের পরিধি কিছুটা বেড়েছে। এছাড়া মৃত ব্যক্তির অঙ্গপ্রত্যঙ্গ অন্যের শরীরে সংযোজনের সুযোগও রাখা হয়েছে। আইনে অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বলতে কিডনি, হৃৎপি-, ফুসফুস, অন্ত্র, যকৃৎ, অগ্ন্যাশয়, অস্থি, অস্থিমজ্জা, চোখ, চর্ম, টিস্যুসহ মানবদেহে সংযোজনযোগ্য যে কোনো অঙ্গপ্রত্যঙ্গকে বোঝানো হয়েছে। আগের আইনটি সংশোধনের পর অনেকটা আধুনিক হলেও এখনো সামাজিক ও ধর্মীয় নানা সংস্কারের বেড়াজালে বাংলাদেশে বিঘিœত হচ্ছে মরণোত্তর দেহ বা অঙ্গপ্রত্যঙ্গদানের ক্ষেত্রটি।

মানবদেহে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সংযোজন (সংশোধন) আইন ২০১৮ নিয়ে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) ক্যাডাভেরিক জাতীয় কমিটি আয়োজিত এই সভা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) এ ব্লকের ডেন্টাল ক্লাসরুমে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ও ক্যাডাভেরিক জাতীয় কমিটির সভাপতি প্রফেসর ডা. কনক কান্তি বড়–য়া।

বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি ও ক্যাডাভেরিক জাতীয় কমিটির সদস্য প্রফেসর ডা. মুহাম্মদ রফিকুল আলম, কমিটির সদস্য সচিব ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব আবদুল ওহাব খান, বিশ্ববিদ্যালয়ের ইউরোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ডা. একেএম খুরশিদুল আলম, নেফ্রোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ডা. আছিয়া খানম, ইউরোলজি বিভাগের প্রফেসর ডা. মো. হাবিবুর রহমান দুলাল, ন্যাশানাল ইনস্টিটিউট অব কিডনী ডিজিজ এন্ড ইউরোলজির প্রফেসর ডা.কাজী রফিকুল আবেদীন প্রমুখ।

ডা. কনক কান্তি বড়–য়া বলেন, মানব দেহের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সংযোজনের জন্য মরণোত্তর অঙ্গপ্রত্যঙ্গদান বিষয়টিকে আমাদের উৎসাহিত করতে হবে। এ জন্য ব্যাপক জনমত তৈরি করতে হবে। এক্ষেত্রে সাংবাদিকসহ গণমাধ্যমগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারেন। এছাড়া মসজিদের ইমাম, মন্দিরের পুরোহিত, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকেরা সচেতনতা তৈরির কাজ করতে পারেন।

ডা. মুহাম্মদ রফিকুল আলম বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে কোনো ব্যক্তি বা রোগীকে ব্রেন ডেথ ঘোষণা করা হলে তাকে মৃত বলা যায় এবং তার নিকট আত্মীয়-স্বজনরা চাইলে ওই ব্যক্তির অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ রোগীদের কল্যাণ ও চিকিৎসার জন্য দান করতে পারেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন