মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের উপদেষ্টা ও জামাতা জ্যারেড কুশনারের ‘শান্তি থেকে সমৃদ্ধি’ পরিকল্পনার অনেক কিছু নিজেই হয়ত লিখতেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনজামিন নেতানিয়াহু। পুরো পরিকল্পনাকে নেতানিয়াহুর বড় ধরনের সাফল্য হিসেবে পড়ে ফেলা যায়। কিন্তু এর মানে এই নয় যে, তিনি চান এটি সফল হোক।
১৯৪৭ সালের নভেম্বরে জাতিসংঘে পৃথক ইহুদি ও আরব রাষ্ট্রের পরিকল্পনার ঐতিহাসিক ভোটাভুটি নিয়ে মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউ ইয়র্ক টাইমসে একটি প‚র্ণ পৃষ্ঠার বিজ্ঞাপন ছাপা হয়েছিল। ওই বিজ্ঞাপনের শিরোনাম ছিল, বিভাজন ফিলিস্তিনি সংকটের সমাধান করবে না!
ইউনাইটে জায়োনিস্ট-রেভিশিওনিস্ট অব আমেরিকার পক্ষ থেকে ওই বিজ্ঞাপনটি প্রচার করা হয়েছিল। সংগঠনটির পক্ষ থেকে ওই পরিকল্পনার সমালোচনা করে দাবি করা হয়েছিল, এতে করে ইহুদিদের ঐতিহাসিক মাতৃভ‚মি কেড়ে নেবে। সংগঠনটির একজন নির্বাহী পরিচালক ছিলেন এবং যিনি বিজ্ঞাপনের খসড়া তৈরি করেছিলেন তিনি হলেন ড. বি. নেতানিয়াহু।
৭২ বছর পর আরেক বি. নেতানিয়াহু যুক্তরাষ্ট্রে হাজির হন আরেকটি নতুন পরিকল্পনার কথা তুলে ধরতে। বেনজিয়ন নেতানিয়াহু যে বিভাজন পরিকল্পনার সমালোচনা করেছিলেন এবং তার ছেলে বেনিয়ামিনসেম্প্রতি যে পরিকল্পনাকে সমর্থন করেছেন, সেগুলোর মধ্যে কয়েকটি গুরুত্বপ‚র্ণ পার্থক্য রয়েছে।
১৯৪৭ সালে যে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের প্রস্তাব করা হয়েছিল তাতে পুরো ভ‚খন্ডের ৪৩ শতাংশ ছিল। ২০২০ সালের পরিকল্পনায় পুরো ফিলিস্তিন টুকরো টুকরো খন্ডাংশ। ৭২ বছরে আগের পরিকল্পনায় জেরুজালেম ছিল আন্তর্জাতিক শহর, কিন্তু ২০২০ সালে তা পুরোপুরি ইসরায়েলি নিয়ন্ত্রণে। তবে ইসরায়েলি ডানপন্থীদের আশঙ্কা, উভয় পরিকল্পনার নীতি একই রয়েছে।
এমনকি ডোনাল্ড ট্রাম্পের শান্তি পরিকল্পনা পুরোপুরি ইসরায়েলের পক্ষ ঘেঁষা এবং আত্মসম্মানবোধ সম্পন্ন কোনও ফিলিস্তিনি নেতাই তা গ্রহণ না করলেও, তাতে গুরুত্বপ‚র্ণ ইহুদি ভূখন্ড জুডিয়া ও সামারিয়া (পশ্চিম তীর) অন্য রাষ্ট্রের অধীনে দেওয়া হয়েছে। সূত্র : হারেৎজ ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন