বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

সীমান্তে চলছে বিএসএফ’র বর্বরোচিত হত্যাকান্ড

সরকার নতজানু : বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১২:০২ এএম

বাংলাদেশ বিপ্লবী ওয়ার্কাস পার্টি বলেছে, সরকারের নতজানু ভূমিকার কারণেই সীমান্তে বিএসএফ বাংলাদেশীদের বর্বরোচিত হত্যা চালিয়ে যাচ্ছে। দলটি সীমান্তে বিএসএফের বাংলাদেশীদের ধারাবাহিক হত্যাকান্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায়। সেই সাথে অনতিবিলম্বে এই হত্যাকান্ড বন্ধে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পর্যায়ে ভূমিকা গ্রহণের আহবান জানিয়েছে।

গতকাল দলটির সেগুনবাগিচায় কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক সভায় এ প্রস্তাব গৃহীত হয়। পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির দুই দিনব্যাপী সভা শেষে গতকাল এ প্রস্তাব গৃহীত হয়। সভায় নেয়া অন্য প্রস্তাবে ঢাকা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে আরেকটি ৩০ ডিসেম্বর মঞ্চস্থ না করতে সরকার ও নির্বাচন কমিশনের প্রতি আহবান জানানো হয়।
সভায় বলা হয়, সিটি কর্পোরেশনের এই নির্বাচনও যদি ব্যর্থ হয় মানুষের ভোটের অধিকার আবার যদি অস্বীকৃত হয় তাহলে দেশ সংকটের আরো গভীর খাদেই নিপতিত হবে। প্রস্তাবে বলা হয় প্রশাসনের ছত্রছায়ায় সন্ত্রাসী- পেশীবাজরা যদি ভোটকেন্দ্রের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় তাহলে নির্বাচনের নামে আরেকটি গণতামাশা দেখা যাবে।
প্রস্তাবে উল্লেখ করা হয় ঢাকা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন বর্তমান নির্বাচন কমিশন ও ভেঙ্গে পড়া নির্বাচনী ব্যবস্থার প্রতি খানিকটা আস্থা ফিরিয়ে আনার সুযোগ। নির্বাচন কমিশন আবারও এই সুযোগ নষ্ট করলে তাদেরকে বিচারের জন্য আইনের আওতায় আনা ছাড়া আর কোন পথ থাকবে না।

প্রস্তাবে বলা হয়, স্থানীয় সরকারের এই নির্বাচনেও নির্বাচন কমিশন তার মেরুদন্ডের পরিচয় দিতে পারেনি। বেশুমার অর্থব্যয়সহ নির্বাচন আচরণ বিধির বেপরোয়া লংঘনের শত শত অভিযোগ তারা আমলেই নেয়নি।
পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য বহ্নিশিখা জামালীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই সভায় বক্তব্য রাখেন পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, কেন্দ্রীয় নেতা আকবর খান, আবু হাসান টিপু, আনছার আলী দুলাল, রাশিদা বেগম, এ্যাপোলো জামালী, সজীব সরকার রতন, ফিরোজ আহমেদ, সিন্ধা সুলতানা ইভা, মোজাম্মেল হক, কেন্দ্রীয় সংগঠক রহিমা বেগম প্রমুখ।

সভায় গৃহীত আরেক প্রস্তাবে স্থলভাগ ও বঙ্গোপসাগর থেকে গ্যাস উত্তোলনে রাশিয়ার উত্তোলনকারী প্রতিষ্ঠান গাজপ্রম এর সাথে সরকারের সমঝোতা স্মারক জাতীয় স্বার্থের পরিপন্থী হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে। সভায় বলা হয়েছে দায়মুক্তি আইনের সুযোগ নিয়ে বিনা টেন্ডারে গাজপ্রমের সাথে এই চুক্তি একদিকে অস্বচ্ছ ও অন্যদিকে জাতীয় সম্পদের উপর বিদেশী সংস্থার কর্তৃত্বকে আরো জোরদার করবে। জাতীয় সংস্থা বাপেক্সকে এড়িয়ে এই চুক্তি জাতীয় সংস্থাকেও আরো দুর্বল করবে। প্রস্তাবে অনতিবিলম্বে গাজপ্রমের সাথে চুক্তি বাতিলের দাবি জানানো হয়।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন