বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

মহানগর

উত্তর সিটিতে কেন্দ্রভিত্তিক বিএনপির যত অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ৬:১৩ পিএম

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিভিন্ন কেন্দ্রে বিএনপির প্রার্থী, এজেন্ট ও কর্মী-সমর্থকদের ওপর হামলা এবং ভোট কারচুপির অভিযোগ করা হয়েছে। দিনভর ভোট গ্রহণের সময় ধানের শীষ প্রতীকের এজেন্টদের মারধর করে বের করে দেয়া, এজেন্টের স্ত্রীকে ধর্ষণের হুমকী প্রদান, প্রার্থীর ওপর হামলা, ভোটারদের কেন্দ্রে ঢুকতে বাঁধা দেয়া, জোর করে নৌকায় ভোট দিতে বাধ্য করা, বিএনপি নেতাকর্মীদের মারধর করাসহ নানা অভিযোগ করেছে বিএনপি

শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) ভোট গ্রহণ শেষে উত্তর সিটির নির্বাচনে কেন্দ্র ভিত্তিক এসব অভিযোগ তুলে ধরেন মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি জানান, উত্তর সিটির ৯নং ওয়ার্ডে আওয়ামী সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা পুলিশের সহযোগিতায় মিরপুর সিদ্ধান্ত হাইস্কুল, দোয়েল কিন্ডারগার্ডেন, শহীদ আ: মান্নান খান মডেল হাইস্কুল, জাহানাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, গোলারটেক মিরপুর ল্যাভরেটরী স্কুল, আসমা বিদ্যানিকেতন, পাঞ্জেরি কিন্ডারগার্ডেন, বাগবাড়ী শহীদ মডেল স্কুল, বাগবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বাগবাড়ী ল্যাবরেটরি হাইস্কুল কেন্দ্র থেকে ধানের শীষ প্রতীকের সকল এজেন্টদের মারধর করে বের করে দিয়েছে। সিদ্ধান্ত হাইস্কুল কেন্দ্রে ধানের শীষ প্রতীকের এজেন্ট মোঃ ইব্রাহিম মোল্লাকে মারধর করে মাঠের মাঝখানে কাপড়-চোপড় ছিঁড়ে দাঁড় করিয়ে রেখেছে। এছাড়া তার স্ত্রীকে একটি খালি কক্ষে আটকে রেখে ধর্ষণের হুমকি দিয়ে ১ঘন্টা পর কেন্দ্র থেকে বের করে দিয়েছে। হামলায় আহতদের মধ্যে বিএনপি সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী সাইদুল ইসলামের ভাই সাইফুল ইসলাম মিন্টু ও বিএনপি নেতা মোঃ রফিকের অবস্থা গুরুতর। ১নং ওয়ার্ডে অনন্য নগর আদর্শ বিদ্যালয় ও অনন্য নগর আইডিয়াল স্কুল ভোট কেন্দ্রে কাউকে ডুকতে দেয়া হয়নি,

১৮নং ওয়ার্ডে শাহজাদপুর বাঁশতলা কেন্দ্র ও নগর মাহমুদ স্কুল কেন্দ্র থেকে আওয়ামী লীগের সভাপতি নিজেই সকল ধানের শীষ এজেন্টদের বের করে দেন। ২৪নং ওয়ার্ডে প্রভাতি ভোট কেন্দ্র নয়াটোলা, আগারগাঁও আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়, শেখ মুজিব একাডেমি, শ্যামলী আইডিয়াল ও প্রিম রোজ কিন্ডারগার্ডেন ভোট কেন্দ্র থেকে ধানের শীষের সকল এজেন্টদের মারধর করে বের করে দেয়া হয়। ৪০নং ওয়ার্ডে ইউনিভার্সিটি অব ইনফরমেশন টেকনোলজি ভোট কেন্দ্রে কাউকে ঢুকতে দেয়া হয়নি, এছাড়াও ডুমনী উচ্চ বিদ্যালয় ও ডুমনী প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে সাধারণ ভোটারদেরও ঢুকতে বাঁধা দেয়া হয়। ৬নং ওয়ার্ডে এস আই মেহেদীর নেতৃত্বে রূপনগর থানার পুলিশ সকল কেন্দ্র থেকে ধানের শীষের এজেন্টদের বের করে দেয়। ১৬নং ওয়ার্ডে ধানের শীষের কাউন্সিলরের স্ত্রীসহ ৬ জনকে পুলিশ ও আওয়ামী সন্ত্রাসীরা বেদম মারধর করে এবং সকল এজেন্টদের বের করে দেয়।১৭নং ওয়ার্ডে কুর্মিটোলা সরকারি হাই স্কুল ও প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্র থেকে ধানের শীষের এজেন্ট ও সমর্থকদের মারধর করে বের করে দেয়। ১৯নং ওয়ার্ডে কেন্দ্রের বাইরে বিএনপি নেতাকর্মীদের উপর হামলা করা হয়। ২২নং ওয়ার্ডে সানশাইন মডার্ণ স্কুল, নিউ মডেল ইন্টারন্যাশনাল স্কুল, গ্রীণ গার্ডেন ল্যাব: স্কুল, দিদার আদর্শ কেজি স্কুল, পূর্ব রামপুরা ভোট কেন্দ্রে ধানের শীষের এজেন্টদের ঢুকতে দেয়নি। ২৩নং ওয়ার্ডে বনশ্রী আইডিয়াল কলেজে ধানের শীষের এজেন্টদের ঢুকতে দেয়নি। ২৪নং ওয়ার্ডে টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়, টেকনিক্যাল টিচার্স কলেজ, গ্লাস এন্ড সিরামিক ভোট কেন্দ্রসহ সকল ভোট কেন্দ্র নিজেদের দখলে নেয় ছাত্রলীগ। ২৬নং ওয়ার্ডে তেজগাঁও বালিকা বিদ্যালয়, সরকারি বিজ্ঞান কলেজ কেন্দ্র থেকে ধানের শীষের সকল এজেন্টদের মারধর করে দেয় এবং যুবদল নেতা জালালসহ বেশ কয়েকজন বিএনপি নেতাকর্মীকে মারধর করে। ৩৩নং ওয়ার্ডে গ্রাফিক্স আর্ট হাইস্কুল এবং বড় বাড়ী স্কুল ভোট কেন্দ্রে বিএনপি’র এজেন্টদের ঢুকতে দেয়নি। ৪৭নং ওয়ার্ডের ১ নং কেন্দ্র থেকে ধানের শীষের এজেন্টদের বের করে দেয়া হয়। ৫১নং ওয়ার্ডে উত্তরা ল্যাব: হাইস্কুল কেন্দ্রে জোর করে নৌকায় ভোট দেয়া হয়। বিএনপি’র এজেন্টরা প্রতিবাদ করলে তাদের মারধর করে বের করে দেয়া হয়।

১০নং ওয়ার্ডে আর্সি স্কুল কেন্দ্র আওয়ামীলীগ নেতা মিরাজের নেতৃত্বে বিএনপি নেতা মামুনের উপর হামলা করে ধানের শীষের সকল এজেন্টদের বের করে দেয়।কবি নজরুল স্কুল কেন্দ্রে জহিরুল ইসলাম জহিরের উপর হামলা করে ধানের শীষের এজেন্টদের বের করে দেয়। এছাড়াও দারুস সালাম স্কুল ভোট কেন্দ্র থেকে স্থানীয় এমপি’র লোকজন পুলিশের সহযোগিতায় ধানের শীষের এজেন্টদের বের করে দেয়। লালকুটি কেন্দ্রে ধানের শীষের এজেন্ট লুৎফর রহমান বিজয়কে টয়লেটে আটকে রেখে মারধর করে গুরুতর আহত করে। তার অবস্থা সংকটাপন্ন। এছাড়া ওয়ার্ডের সকল কেন্দ্রে হামলা চালিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের আহত করেছে। জুবেলিন কেয়ার স্কুল ভোট কেন্দ্র, বাংলাদেশ ভোট কোরিয়া ভোট কেন্দ্র , এফ এম স্কুল কেন্দ্র ও দারুস সালাম ভোট কেন্দ্র থেকে এস আই আলমগীরসহ ধানের শীষের সকল এজেন্ট ও ভোটারদের ঢুকতে দেয়া হয়নি।

২নং ওয়ার্ডে পল্লবী মহিলা ডিগ্রি কলেজ, লিটল ফ্লালাওয়ার স্কুল এবং উত্তরা মডেল কেন্দ্র থেকে ধানের শীষের সকল এজেন্টদের বের করে দেয়, এজেন্টরা পুনরায় ঢুকতে গেলে পুলিশের সামনে আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা পল্লবী থানা যুবদল সভাপতি পিন্টুকে রড দিয়ে পেটায় এবং দা দিয়ে মাথায় কোপ দিলে হাত দিয়ে ঠেকাতে গেলে হাত কেটে যায়। ৩নং ওয়ার্ডে শাহ আলী গার্লস স্কুল কেন্দ্র থেকে ধানের শীষের সকল এজেন্টদের বের করে দেয়। ৭নং ওয়ার্ডে ইসলামি আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়, শেখ ফজিলাতুন্নেছা মহিলা কলেজ কেন্দ্র থেকে ধানের শীষের সকল এজেন্টদের বের করে দেয়। ৮নং ওয়ার্ডে দরগা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, হযরত শাহ আলী উচ্চ বিদ্যায়, মনিকানন উচ্চ বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে ছাত্রলীগের নেতৃতে হামলা ও কেন্দ্র থেকে ধানের শীষের সকল এজেন্টদের বের করে দেয়, আওয়ামীলীগের সহযোগিতায় সহকারী প্রিজাইডিং অফিসারগণ সাধারণ ভোটারদের আঙ্গুলের ছাপ নিয়ে নৌকায় চাপ দিতে বাধ্য করছে। ১১নং ওয়ার্ডের সকল কেন্দ্রে হামলা চালিয়ে বিএনপি’র অসংখ্য নেতাকর্মী ও এজেন্টদের আহত করেছে। ১২নং ওয়ার্ডে সকল কেন্দ্র থেকে পুলিশ ও প্রিজাইডিং অফিসারের সহযোগিতায় মিরপুর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি হানিফের নেতৃত্বে সন্ত্রাসী কর্মকা- চালিয়ে এজেন্টদের মারধর করে বের করে দেয়। ১৬নং ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের হামলায় বিএনপি’র কাউন্সিলর প্রার্থী হাবিবুর রহমান রাব্বিসহ মোট ১৬ জন আহত। ১৭নং ওয়ার্ডে ক্যামব্রিয়ান কলেজ কেন্দ্রে ধানের শীষের কোন এজেন্টদের ঢুকতে দেয়নি। ১৫নং ওয়ার্ডে ঢাকা কেয়ার কলেজ, শিশু মঙ্গল প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাটিকাটা কেন্দ্র ও ধামাল কোর্ট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ধানের শীষের সকল এজেন্টদের বের করে দেয়। এছাড়াও আওয়ামী সন্ত্রাসীরা তাসলিমা আজাদীর বাসায় হামলা চালিয়ে বাসার আসবাবপত্র ভাংচুর ও পরিবারের সদস্যদের ভয়ভীতি দেখায়।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন