বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের তৃতীয় স্মৃতি কথামূলক গ্রন্থ ‘আমার দেখা নয়াচীন’-এর মোড়ক উন্মোচন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রোববার বিকালে অমর একুশে গ্রন্থমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি বইটির মোড়ক উন্মোচন করেন। বাংলা একাডেমীর সভাপতি ও জাতীয় অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সূচনা বক্তব্য রাখেন বাংলা একাডেমীর মহাপরিচালক কবি হাবীবুল্লাহ সিরাজী।
উন্মোচন শেষে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কারাগারে খাতা সেন্সর করে দেওয়া হতো। সেই সেন্সরের সিল থেকে আমরা জানতে পারি ১৯৫৪ সালে লেখা। মলাটটি অনেকটা চীনা অক্ষরের মতো করে লেখা। মনোগ্রামটি পিকাসোর তৈরি করা।
মোড়ক উন্মোচনকালে অনুষ্ঠানের সঞ্চালক রামেন্দ্র মজুমদার বলেন, বঙ্গবন্ধুকে লেখালেখিতে সবসময় উদ্বুদ্ধ করেছেন বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেসা মুজিব। বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগে ইতোমধ্যে জাতি হাতে পেয়েছে অসমাপ্ত আত্মজীবনী ও কারাগারের রোজনামচা। আমার দেখা নয়াচীন তাঁর তৃতীয় স্মৃতি কথা।
১৯৫২ সালে পিকিংয়ে শান্তি সম্মেলন পাকিস্তান প্রতিনিধি দলের সদস্য হিসেবে পূর্ববঙ্গ থেকে আমন্ত্রিত প্রতিনিধি দলের সদস্য হিসেবে শান্তি সম্মলনে অংশ নেন। সেখানে যাবার পথটি, কীভাবে গিয়েছেন তার বিস্তারিত বর্ণনা আছে বইটিতে। বিশেষভাবে লক্ষণীয়, এই বইতেই লেখা আছে তিনি শান্তি সম্মেলনে বাংলা ভাষায় বক্তৃতা দিয়েছিলেন। মনোজ বসু তার বইতে একথা লিখেছেন। এসবই এই বইতে পাওয়া যাবে। স্মৃতিনির্ভর নয়াচীন কাহিনি ১৯৫৪ সালে কারাগারে থাকাকালীন লেখেন। বইটিতে অসাম্প্রদায়িক ভাবাদর্শ, বাঙালি জাতীয়তাবাদী চেতনার প্রকাশ। নিজ দেশকে গড়ার সংগ্রামী প্রত্যয় ফুটে উঠেছে।
এরআগে মাসব্যাপী অমর একুশে বইমেলার উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অনুষ্ঠানের শুরুতেই জাতীয় সঙ্গীত ও সূচনা সঙ্গীত পরিবেশন করা হয়। মহান ভাষা আন্দোলনে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। অনুষ্ঠানে ১০ জনের হাতে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী। এবার পুরস্কারের অর্থমূল্য বাড়িয়ে করা হয়েছে তিন লাখ টাকা।
প্রধানমন্ত্রী স্মৃতিচারণ করে বলেন, ছাত্র জীবনে অমর একুশে গ্রন্থমেলায় নিয়মিত আসতেন তিনি। বর্তমানে সরকার প্রধান হওয়াতে সেটি আর হয়ে উঠতে পারেনা। তিনি বলেন, তখন দিনের পর দিন, ঘন্টার পর ঘন্টা এখানে কাটতাম। এখন আগের সেই স্বাধীনতা আর নেই। এই একটা দুঃখ এখনও থেকে যাচ্ছে। তাই এখনও এই মেলায় আসতে ভালো লাগে। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে রাখেন সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন