বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

বরিশালে ভুল প্রশ্নপত্রে অর্ধশতাধিক পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা গ্রহণ

বরিশাল ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ৭:৫৩ পিএম

বরিশাল মহানগরীর এসএসসি হালিমা খাতুন বালিকা বিদ্যালয় কেন্দ্রে অর্ধশতাধিক পরীক্ষার্থীকে ২০১৮ সালের প্রশ্নপত্রে পরিক্ষা গ্রহন করা হয়েছে। সোমবার এসএসসি পরিক্ষার প্রথম দিনের পরীক্ষা শেষ হবার পরে এ ভুল ধরা পড়ে। কেন্দ্রটির দুটি কক্ষে ভুল প্রশ্নপত্র বিতরন করা হয়েছিল পরীক্ষার্থীদের মধ্যে। 

এ দুটি কক্ষে নগরীর জগদীশ সারস্বত বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রীরা পরীক্ষা দেয়। ভুল প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা গ্রহণ করায় ভুক্তভোগী পরীক্ষার্থী ওতাদেও অভিভবাবকগন ফল বিপর্যয়ের আশংকা করছেন। পরীক্ষা শেষে এ খবর জানাজানি হলে বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. ইউনুস কেন্দ্র পরিদর্শন করে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের আশ্বাস দিয়েছেন।
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, পুরানো প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা গ্রহনের ঘটনায় কেন্দ্র সচিব সহ সংশ্লিষ্ট সকলের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। ঘটনার শিকার শিক্ষার্থীরা যাতে তাদের প্রাপ্য অধিকার থেকে বঞ্চিত না হন সে বিষয়টিও দেখবেন বোর্ড কর্তৃপক্ষ। এ ব্যপারে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করার কথা বলেছেন বোর্ড চেয়ারম্যান।
সোমবার শুরু হওয়া এসএসসি পরীক্ষার প্রথম দিনে বাংলা প্রথম পত্রের পরীক্ষায় হালিমা খাতুন বালিকা বিদ্যালয় কেন্দ্রের দুটি কক্ষে পুরানো সিলেবাসের প্রশ্ন পেয়ে বিভ্রান্ত হয়ে পড়ে পরীক্ষার্থীরা। পরীক্ষা শেষে অন্যান্য কক্ষের পরীক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রশ্ন মেলানো হলে ভুল প্রশ্নপত্র বিতরনের বিষয়টি ধরা পড়ে। এসময় কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে ওই দুটি কক্ষের শিক্ষার্থীরা। কয়েকজন অভিভাবক অভিযোগ করেন, শিক্ষকদের ভুলে তাদের সন্তানদের শিক্ষাজীবন হুমকিতে আছে। ওই কেন্দ্রের শিক্ষকদের গাফেলতির কারনেই এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। তারা অভিযুক্ত শিক্ষকদের কঠোর বিচার দাবি করেন।
সারস্বত স্কুল এন্ড কলেজের প্রিন্সিপাল মোঃ শাহে আলম জানান, হালিমা খাতুন বালিকা বিদ্যালয় কেন্দ্রের সচিব সহ সংশ্লিষ্টদের ভুলে তার প্রতিষ্ঠানের অর্ধশতাধিক পরীক্ষার্থী ২০২০ সালের সিলেবাস অনুযায়ী পরীক্ষা দিতে পারেনি। তাদেরকে ২০১৮ সালের অনিয়মত পরীক্ষার্থীদের সিলেবাসের প্রশ্নপত্র দেয়া হয়। এ কারনে ঐ সব ছাত্রীরা ক্ষতির মুখে পড়তে পাওে বলেও তিনি াভিযোগকরেন।
কেন্দ্র সচিব ও হালিমা খাতুন বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এস.এম ফখরুজ্জামান ভুলের দায় স্বীকার করে বলেন, ওই দুই কক্ষে পরিদর্শকের দায়িত্বে থাকা শিক্ষকদেরও গাফেলতি ছিল। পুরো বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানান তিনি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন