শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

বিক্রি নয়, জমেছে আড্ডা

অমর একুশে বইমেলা

নুর হোসেন ইমন | প্রকাশের সময় : ৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১২:০২ এএম

দেশের বইপ্রেমী কবি সাহিত্যিক, প্রকাশক ও পাঠকের প্রাণের মেলা বাংলা একাডেমীর অমর একুশে গ্রন্থমেলা দ্বিতীয় দিন পার করলেও পুরো দমে বিক্রি শুরু হয়নি। মেলা শুরু হয়ে গেলেও কোথাও কোথাও নির্মাণ কাজ চলতে দেখা গেছে। গতকাল সোমবার সরজমিনে মেলাপ্রাঙ্গণ পদক্ষিণ করে দেখা যায় বই কেনার পরবর্তে এক দোকান থেকে অন্য দোকানে ঘুরে ঘুরে নতুন বইয়ের মলাট উল্টেপাল্টে দেখছেন দর্শনার্থীরা।
মুজিব বর্ষ উপলক্ষে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় বই মেলার সোহরাওয়ার্দি অংশকে লেকের পশ্চিম অংশের দিকে বাড়ানো হয়েছে। ফলে লেকের পাশে বসার জায়গাগুলো মেলার ভেতরেই পড়েছে। মেলায় বই কেনার দৃশ্য কদাচিৎ চোখে পড়লেও তিল ধারণের ঠাঁই ছিলো না লেকের পাশে এসব বসায় জায়গায়। পরিবার নিয়ে ঘুরতে আসা কর্মজীবীদের পাশাপাশি এদিন বেশি দেখা গেছে স্কুল-কলেজ পড়–য়া শিক্ষার্থীদের। চোখ কেড়েছে মেলার ভেতরে লেকের পাশে জোড়া কবুতরের মত বসে থাকা কপোত-কপোতী। মাগরিবের আজান দিতেই তরুণরা ছুটছেন মেলায় স্থাপিত মসজিদে নামাজ আদায় করতে।
বিগত বছরগুলো তুলনায় এবার প্রশস্ত করা হয়েছে মেলার চলাচলের জায়গা। পুরোদমে শুরু না হওয়ায় দর্শনাথীও কম। ফলে খুব স্বাচ্ছন্দে হাঁটা চলা ঘুরাফেরা করা যাচ্ছে। এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে প্রিয় মানুষকে সাথে নিয়ে মেলা অঙ্গণে কিছু সময় কাটাতে ভূল করছেন না নগরবাসী। ফলে বলা চলে মেলায় পুরোদমে বিক্রি শুরু না হলেও জমে উঠেছে আড্ডা ঘোরাঘুরি।
মেলা দ্বিতীয় দিনে গতকালও নির্মাণ কাজ চলতে দেখা গেছে। মেলাপ্রাঙ্গণ ঘুরে দেখা যায় সোহরাওয়ার্দী অংশের ভেতরে অনুপম প্রকাশনীর স্টলের বাইরে ইটের ¯øাভ নির্মাণ কাজ চলছে। এখন বিক্রি শুরু করতে পারেনি ৬০৪ নাম্বার স্টল মডার্ণ প্রকাশনী।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) মাস্টার্সের শিক্ষার্থী ফিদেল তানভির বলেন, বিশ^বিদ্যালয়ের হলে থাকায় মেলা প্রঙ্গন আমাদের জন্য খুবই কাছে। তাই প্রায় প্রতিদিনই আসা হচ্ছে। মেলার শুরুর দিকে বই কেনা থেকেও ঘুরাঘুরি হয় বেশি। তবে ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের মাস্টর্সেও শিক্ষার্থী মাসুদ রানা মনে করছেন অন্য বছরের তুলনায় দ্বিতীয় দিনে এবার বেশিই বিক্রি হচ্ছে। তিনি বলেন, দ্বিতীয় দিন মেলায় এসেই মনে হচ্ছে এবারের মেলা আগের বছরগুলোর তুলনায় আরও ভালো হবে। এবারে মেলার পরিসর বড় হয়েছে, দোকানগুলো সুবিন্যস্ত পরিবেশও সুন্দর। শুরু থেকেই অনেক স্টলে নতুন বই চলে এসেছে। শুরুর দিকে সময় নিয়ে বই কেনা যায় তাই এখনই পছন্দের বই কিনে ফেলতে চান তিনি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন