বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

‘চলন্ত রাস্তা’র পাইলটিং বাস্তবায়নে হাইকোর্টের রুল

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১২:০২ এএম

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী রাজধানীর গুলশান পার্কে ‘চলন্ত রাস্তা’র পাইলটিং বাস্তবায়নে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না-এই মর্মে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে পাইলটিং বাস্তবায়নে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তাকে কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না-এই মর্মেও রুল জারি করা হয়েছে। এক রিট পিটিশনের পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল (মঙ্গলবার) বিচারপতি এম.ইনায়েতুর রহিম এবং বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের ডিভিশন বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম।

রুল জারির পর তিনি জানান, গত ৬ জানুয়ারি দেশের একটি জাতীয় দৈনিকে ‘চলন্ত রাস্তার সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে গতি নেই’ শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশ হয় একটি জাতীয় দৈনিকে। প্রতিবেদনটি যুক্ত করে গত ২৯ জানুয়ারি অ্যাডভোকেট আইনুন্নাহার সিদ্দিকা রিট করেন। তাতে বলা হয়, গত ১৮ আগস্ট ঢাকা শহরের যানজট নিরসনে চলচ্চিত্র নির্মাতা ও উদ্ভাবক আবু সাইয়ীদ কর্তৃক উদ্ভাবিত পদ্ধতি বাস্তবায়নে উত্তর সিটি করপোরেশনকে নির্দেশনা দেয়া হয়। তবে দীর্ঘদিনেও সে বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। আবু সাইয়ীদের এই উদ্ভাবন কবে মাঠে গড়াবে সে ব্যাপারে নিশ্চিত নয় ডিএনসিসির প্রকৌশল বিভাগ। রাজধানীর যানজট হ্রাস এবং কর্মঘণ্টার অপচয় রোধ করতে ‘চলন্ত রাস্তা’র ধারণা উদ্ভাবন করেন আবু সাইয়ীদ। এই ধারণাটি বাস্তবায়ন করা গেলে পরিবহন খরচ ও পরিবেশ দূষণ অনেকাংশে কমে আসবে বলে মনে করেন এই উদ্ভাবক। তার মতে, ৫০০ মিটার চলন্ত রাস্তা নির্মাণে সাড়ে ৭ কোটি টাকার মতো খরচ হবে। চলন্ত রাস্তার ধারণাটি পাওয়ার পর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে এর সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের জন্য ডিএনসিসিকে চিঠি দেয়া হয় গত বছরের ১৮ আগস্ট। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক আবুল কালাম আজাদের সই করা চিঠিতে গুলশান পার্কে প্রকল্পটির পাইলটিং করার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছিল। এর পর এটির কোনো অগ্রগতি সম্পর্কে জানা যায়নি।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন