চট্টগ্রাম ব্যুরো : মূল হোতা কামরুল শিকদার ও নবীর পর এবার পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলার অন্যতম সন্দেহভাজন নুর ইসলাম ওরফে রাশেদকে ধরে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ করেছে তার পরিবার। ২৩ জুন সকালে বন্ধুর বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে গিয়ে এখন পুলিশ অস্বীকার করছে বলে অভিযোগ করেছেন তার বাবা আহাম্মদ হোসেন। গতকাল (শনিবার) দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে অভিযোগ করেন তিনি।
আহাম্মদ হোসেন বলেন, ‘আমার ছেলে বোয়ালখালী উপজেলার গোস্তারপাড় মিলিটারিপোল এলাকায় তার বন্ধু ইলিয়াছের বাড়িতে বেড়াতে যায়। ২৩ জুন সকাল ৬টা ২০ মিনিটে সেখান থেকে পুলিশ রাশেদকে ধরে নিয়ে যায় বলে তার বন্ধু ইলিয়াছ আমাকে ফোন করে জানায়। এসময় আমার ছেলের সঙ্গে নবীও ছিল। কিন্তু পুলিশ তাদের ধরে নিয়ে যায়নি বলে অস্বীকার করছে। এরপর ২৯ জুন আমার ছেলের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করে পুলিশ।
আহাম্মদ হোসেন আরো বলেন, গ্রেফতার হওয়া ওয়াসিমের স্ত্রী তার স্বামীর সঙ্গে আমার ছেলেকেও ডিবি অফিসে দেখেছে বলে আমাকে জানিয়েছে। কিন্তু পুলিশ রাশেদকে ধরে নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে কোনোভাবেই স্বীকার করছে না। আহম্মদ হোসেন বলেন, আমার ছেলে যদি সত্যি সত্যি দোষী হয় তাহলে তাকে আদালতে তোলা হোক। আর দোষী না হলে আমার ছেলেকে আমার বুকে ফিরিয়ে দেয়া হোক। প্রতিদিন পত্রপত্রিকায় ও টিভিতে গুম-খুনের দৃশ্য দেখে আমরা উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় থাকি। এর মধ্যে ছেলেকে এভাবে ধরে নিয়ে যাওয়ার পর তা পুলিশের পক্ষে অস্বীকার করায় সে উৎকণ্ঠা আরো বেড়েছে। সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন রাশেদের বোন রহিমা আক্তার, শামসুন নাহার ও ভাগনে মো: মাসুদ।
৫ জুন সকালে নগরীর জিইসি মোড়ের অদূরে ও আর নিজাম রোডে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে গিয়ে খুন হয় মিতু। এ ঘটনায় বাবুল আক্তার বাদি হয়ে পাঁচলাইশ থানায় মামলা করেন। পুলিশ জানিয়েছে, এই খুনের ঘটনায় মূল হোতা আবু মুছাসহ ৭ থেকে ৮ জন সরাসরি অংশ নেয়। মুছা তাদের ভাড়া করে, এরা সবাই ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসী। মুছার পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয় মুছাকে পুলিশ গত ২২ জুন বাসা থেকে তুলে নিয়ে গেছে। তবে পুলিশ তা অস্বীকার করে। এ খুনের ঘটনায় পুলিশ তিন দফায় ছয়জনকে গ্রেফতার করে কারাগারে প্রেরণ করেছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন