শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

শিক্ষাঙ্গন

জাবির আন্দোলনকারীদের গণসংযোগ, বিক্ষোভ ও ঝাড়ু মিছিলের কর্মসূচী

জাবি সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ৬:০৩ পিএম

কিছুদিন বিরতি দিয়ে ফের মাঠে নেমেছে ভিসি অপসারণের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সংগঠন ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর’।
বুধবার সাড়ে ৩টার দিকে তারা বিশ^বিদ্যালয়ের কলা ও মানবিক অনুষদের শিক্ষক লাউঞ্জে এক সংবাদ সম্মেলন করে নতুন কর্মসূচীর ঘোষণা করেন।
সংবাদ সম্মেলন থেকে তারা জানিয়েছেন, দাবি আদায়ের লক্ষে ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ৯ ফেব্রুয়ারি গণসংযোগ, ৬ ফেব্রুয়ারি বিক্ষোভ মিছিল, ১০ ফেব্রুয়ারি ঝাড়– মিছিল ও ১২ ফেব্রুয়ারি বিক্ষোভ সমাবেশ করবেন তারা।

সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট জাবি শাখার আহ্বায়ক শোভন রহমানের উপস্থাপনায় সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ছাত্র ইউনিয় জাবি সংসদের সভাপতি মিখা পিরেগু।
এতে তিনি বলেন, ‘আন্দোলনে নতজানু হয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আমাদের ৩টি দাবির মধ্যে ২টি দাবি মেনে নিলেও সাম্প্রতিককালে দাবিগুলো বাস্তবায়নের নাম করে ভিসি ‘ড্রইং ডিজাইন প্রণয়নে সাহায্যকারী এবং নির্ধারতি সময়ে কাজ শেষ করার তদারকি কমিটি’ নাম দিয়ে মাস্টারপ্ল্যানে উল্লেখিত ভবনগুলো নির্মাণ ও কিছু ভবনের ঊর্ধ্বমুখি সম্প্রসারণের জন্য ৩ সদস্য বিশিষ্ট ১৫ টি কমিটি করার অপচেষ্টা চালিয়েছেন। এসব কমিটি সর্বদলীয় শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের নিয়ে গঠন করার কথা থাকলেও ভিসি তার অনুগত শিক্ষক-শিক্ষার্থী-কর্মকর্তা-কর্মচারীদেগরকে এসব কমিটিতে স্থান দেয়ার চেষ্টা করেছেন। যাদের অনেকেই গত ৫ নভেম্বর আন্দোলনকারী শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের উপর হামলার ইন্ধন দিয়েছিল।’

লিখিত বক্তব্যে তারা সরকারকে তদন্তের ব্যাপারে উদ্যোগী হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘জাহাঙ্গীরনগরের মেগাপ্রজেক্টকে ঘিরে দুর্নীতির খবর প্রচার হওয়ার পর থেকেই আমরা একটা নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়ে আসছি। পরে আন্দোলন তুঙ্গে উঠলে সরকারের উচ্চমহল থেকে বারবার তদন্তের কথা বলা হলেও এখন পর্যন্ত কোন তা আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়নি। সরকারের এমন নির্লিপ্ততা আমাদের কেবল ব্যাথিতই করেনি, ক্ষুদ্ধও করেছে। আমরা সরকারকে এই নির্লিপ্ততা ভেঙে উদ্যেগী হবার জোড় আহ্বান জানাচ্ছি।’

সংবাদ সম্মেলনে তারা ক্যাম্পাসে বর্তমান অবস্থা তুলে ধরে বলেন , ‘এই ভিসির সময় বহুবার ক্যাম্পাসে অস্ত্রের মহড়া হওয়ার পরও তিনি কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি। এমন অবস্থায় ক্ষমতাসীন ছাত্র সংগঠনের অন্তঃকোন্দলে ক্যাম্পাসে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা করছি।’

এই সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক জামাল উদ্দিন রুনু, নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সাঈদ ফেরদৌস, বাংলা বিভাগের অধ্যাপক তারেক রেজা, ছাত্র ইউনিয়ন জাবি সংসদের সাধারন সম্পাদক রাকিবুল রনি, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট (মার্কসবাদী) জাবি শাখা সভাপতি মাহাথীর মোহাম্মদ, সমাজতান্ত্রি ছাত্রফ্রন্ট জাবি শাখার সাধারন সম্পদক আবু সাঈদ, সাধারন ছাত্র অধিকার পরিষদ জাবি শাখার আহ্বায়ক শাকিল উজ্জামান প্রমুখ।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন