শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

নতুন নির্বাচনের দাবি বিএনপির

ভোটে অনিয়মের তথ্য তুলে ধরলেন তাবিথ-ইশরাক

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১২:০১ এএম

সদ্য সমাপ্ত ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন আতিকুল ইসলাম ও শেখ ফজলে নূর তাপস। এই নির্বাচনে ৭-৯ ভাগ ভোট পড়েছে দাবি করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আমলগীর নির্বাচিত মেয়রদের আইনগত যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। গতকাল সকালে গুলশানে ইমানুয়্যেল ব্যাংকুয়েট হলে বিএনপি সমর্থিত দুই প্রার্থীর নির্বাচন পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে বিএনপি সমর্থিত দুই প্রার্থী ভিডিও, আলোকচিত্রের মাধ্যমে ভোটের নানা অনিয়মের চিত্র তুলে ধরেন।

সিটি করপোরেশন নির্বাচনে জনগণের মতামতের প্রতিফল ঘটেনি মন্তব্য করে তিনি বলেন, এই নির্বাচনে জনগণের মতামতের কোন প্রতিফলন ঘটেনি। জনগণ ভোট দিতে পারেননি। সুতরাং এই নির্বাচনের ফলাফল বাতিল করতে হবে। বিএনপি মহাসচিব নতুন করে সিটি করপোরেশন নির্বাচনের দাবি জানিয়ে বলেন, গত ১০ বছর ধরে প্রমাণিত হয়ে গেছে আওয়ামী লীগের অধীনে কখনো কোন নির্বাচন সুষ্ঠু হয় না।
এদিকে সংবাদ সম্মেলনে সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রার্থীদের ওপর হামলা, ভোট কেন্দ্র দখল, ভোটারদের কেন্দ্রে যেতে বাধা, গোপন কক্ষে ঢুকে নৌকা প্রতীকে ভোট দিতে বাধ্য করাসহ নানা অনিয়মের তথ্য তুলে ধরেছেন তাবিথ আউয়াল ও ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন।

ইসিকে নির্বাচনের কার্যক্রম বন্ধ রাখার দাবি জানিয়ে তাবিথ আউয়াল বলেন, ১ ফেব্রুয়ারি নির্বাচনের দিনটিই শুরু হয়েছিল হামলার মাধ্যমে, কেন্দ্রে কেন্দ্রে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীদের এজেন্ট ও কর্মী-সমর্থকদের ওপর হামলা করা হয়েছে। হামলায় গণমাধ্যম কর্মীও আহত হয়েছে। পুলিশকে মারার অভিযোগে যদি কাউকে গ্রেফতার করা হয়, তাহলে সাংবাদিকদের ওপর হামলাকারীদের কেন গ্রেফতার করা হবে না? এটা কোন সভ্য ও গণতান্ত্রিক দেশে মেনে নেয়া যায় না।

তাবিথ বলেন, পোলিং বুথের ভেতর থেকে আমাদের এজেন্টদের বের করে দেয়া হয়, নিয়ম হলো একটি বুথে একজন প্রার্থীর একজনই পোলিং এজেন্ট থাকবেন কিন্তু দেখা যায় একই বুথে আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের একাধিক এজেন্ট ছিল। ফলে যখন ভোটাররা সব বাঁধা অতিক্রম করে বুথে ঢুকেছেন তখন বুথে গিয়ে দেখেছেন সেখানে একজন সাথে থেকে প্রভাবিত করার জন্য ছিল, ভোটাররা যখন গোপন স্থানে ভোট দিতে ঢুকে তাদের সাথে ঢুকে সরকারদলীয় কর্মীরা তাদের প্রার্থীর প্রতীকে জোর করে ভোট দিতে বাধ্য করেছেন, কারো কারোটা তারা নিজেরাই দিয়ে দিয়েছেন। আমাদের এজেন্ট না থাকলেও ভোটররা নিজেরাই পোলিং অফিসার, প্রিজাইডিং অফিসারের কাছে এসব বিষয়ে অভিযোগ করেছেন কিন্তু তারা এর বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেননি।

ইশরাক হোসেন বলেন, নির্বাচনী প্রচারণায় ভোটারদের কাছে প্রতিজ্ঞা করেছিলাম ১ ফেব্রুয়ারি তাদের নির্বিঘেœ ভোট কেন্দ্রে যাওয়া, ভোট দেয়া এবং নিরাপদে বাড়ি ফেরার ব্যবস্থা করবো। আমি কথা দিয়েছিলাম জনগণের অধিকার জনগণকে ফিরিয়ে দেবো এবং তাদের ভোটের মাধ্যমে জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত করার সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরি করবো। আমি তাদের দেয়া কথা রাখতে পারিনি, ব্যর্থ হয়েছি। কিন্তু কোন বাধাকেই আমি বাধা মনে করিনি। প্রচারণায় যত দিন গেছে আমাদের প্রতি জনগণের ভালোবাসা পেয়েছি, ধানের শীষের পক্ষে গণজোয়ার দেখেছি।
তিনি বলেন, ইভিএম পুরোপুরি ব্যর্থ প্রমাণিত হয়েছে। ফিঙ্গার প্রিন্ট দেয়ার সাথে সাথে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা বুথের ভেতরে ঢুকে ভোট দিয়ে দেয়, অথবা আগে থেকেই তারা সেখানে অবস্থান নিয়ে থাকে, ফিঙ্গার প্রিন্ট কনফার্ম হওয়ার পর তারা ভোটটি দেয়। প্রত্যেকটি কেন্দ্রে অনেকগুলো মেশিনে ধানের শীষ প্রতীকই রাখা হয়নি।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির নজরুল ইসলাম খান, বেগম সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, বরকত উল্লাহ বুলু, মোহাম্মদ শাহজাহান, আব্দুল আউয়াল মিন্টু, আব্দুস সালাম, হবিবুর রহমান হাবিব, আবুল খায়ের ভ‚ঁইয়া, আতাউর রহমান ঢালী, এমরান সালেহ প্রিন্স, শ্যামা ওবায়েদ, সেলিমুজ্জামান সেলিম, মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল প্রমুখ।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন