এবারের ইসলামী গবেষণায় জন্য একুশে পদক পাচ্ছেন মীরসররাই উপজেলার সূর্য সন্তান হাফেজ ক্বারী আল্লামা সৈয়দ মোহাম্মদ ছাইফুর রহমান নিজামী শাহ্। এবার একুশে পদকের জন্য ২০ জনকে মনোনীত করা হয়েছে। বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিসরূপ তাদের এ পদকে ভূষিত করা হচ্ছে। বুধবার সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।
আল্লামা সৈয়দ মোহাম্মদ ছাইফুর রহমান নিজামী শাহ্ পবিত্র কোরআনুল কারীমের তাফসির "তাফসিরে মাশাহেদুল ঈমান" প্রণয়ন করেন, এবং সহীহ বোখারী শরীফের ব্যাখ্যা গ্রন্থ "তাফহিমুল বোখারী শরীফ" প্রণয়ন করেন। এছাড়া ইসালামে প্রকৃত ধারা আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের উপর গবেষণায় বিভিন্ন বিষয়ে প্রায় ১০০টির উপর বই রচনা করেন। ইসলামী গবেষণায় ও বিভিন্ন গ্রন্থের অবদান রাখেন আল্লামা সৈয়দ মোহাম্মদ ছাইফুর রহমান নিজামী শাহ।
ইসলামী গবেষণায় একুশে পদকে মনোনিত হওয়ার পর গতকাল সকাল সাড়ে ১০টায় আল্লামা সৈয়দ মোহাম্মদ ছাইফুর রহমান নিজামী শাহ বলেন, আমার খুবই ভালো লাগছে, ‘আমি এ পুরস্কারের জন্য আল্লাহ তায়ালার ও রাসুল (সাঃ) কাছে শুকরিয়া আদায় করছি। এ বিশেষ গৌরবময় পুরস্কার আল্লাহ রাসুলের রহমত ছাড়া কিছুতেই সম্ভব ছিল না। আর এই জন্য কতৃপক্ষকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি।
আল্লামা সৈয়দ মোহাম্মদ ছাইফুর রহমান নিজামী শাহ মীরসরাই উপজেলার ৬নং ইছাখালী ইউনিয়নের উত্তর ইছাখালী গ্রামের এক সম্ভান্তÍ অলি পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা পীরে কামেল আলহাজ্ব হাফেজ ক্বারী সৈয়দ শাহ গোলাম রহমান এছমতী (রহঃ) প্রকাশ বড় হাফেজ কেবলা প্রখ্যাত কামেল অলি ছিলেন।
জানা যায়, তিনি প্রাথমিক শিক্ষা নেন তার বাবার নিকট থেকে, তিনি মাত্র ৭বছর বয়সেই কোরআনে হাফেজ ছিলেন এবং তিনি তার বাবার নিকট থেকে এলমে ক্বেরাত, ছরফ, নাহু, বালাগাত, আরবী, ফার্সি উর্দ্দু এমনকি তফসীর, ফিকাহ, হাদীস, হাকিমী বিদ্যা ও রিমিয়া বিদ্যাও পড়েন এবং সাথে সাথে তিনি প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাও অর্জন করেন।
ভাষা আন্দোলনের শহীদদের স্মরণে ১৯৭৬ সাল থেকে প্রতিবছর বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে এ পুরস্কার দিয়ে আসছে সরকার।
আগামী ২০ ফেব্রæয়ারি সকাল সাড়ে ১০টায় রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আনুষ্ঠানিকভাবে ২০২০ সালের একুশে পদকে মনোনীতদের হাতে পুরস্কার তুলে দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন