শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

নতুন আইন পাস হলেও এটি একটি ‘কালো আইন’

সাংবাদিকদের মির্জা ফখরুল

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১২:২৬ এএম

বিভিন্ন স্বায়েত্বশাসিত সংস্থার উদ্ধৃত্ত অর্থ সরকারি কোষাগারে জমা প্রদানে সংসদে যে আইন পাস হয়েছে তাকে ‘কালো আইন’ বলেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ডেফিনেটি এটি একটি কালো আইন। এই আইনটা করে তাদের (সরকার) যে দুরভিসন্ধি এটাকে লিগালাইজ করছে। দুরভিসন্ধিটা হচ্ছে তারা তো অর্থনীতিকে একেবারে ব্যানক্রাফট করে ফেলেছে। 

সংসদে পাস হওয়া আইনের ওপর প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, গত কয়েকদিনের পত্র-পত্রিকাগুলোতে আমরা দেখতে পাবো যে, ব্যাংকের খাত থেকে সরকার ঋণ নিচ্ছে প্রায় ৪৯ হাজার কোটি টাকা এবং পত্র-পত্রিকায় যা বেরিয়ে তাতে করে অর্থনীতির নেগেটিভ চিত্র ছাড়া পজেটিভ চিত্র কোথাও দেখা যায়নি। এই আইন থেকে এটাই প্রমাণিত হলো সরকার সবখান থেকে টাকা নেয়া শুরু করেছে। এটা দুর্নীতির একটা অংশ বলতে পারেন। কারণ এই অর্থগুলো ব্যবহার করবে কুইক রেন্টাল পাওয়ার প্ল্যান্টের ক্ষেত্রে, মেগা প্রজেক্টের ক্ষেত্রে যেখানে মেগা দুর্নীতি হচ্ছে।
মির্জা ফখরুল বলেন, স্বায়েত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে সরকার কখনোই টাকা নেয়নি। প্রত্যেক অটোনমাস বডিজ তার নিজস্ব ফান্ড তৈরি হয়েছে, সেই ফান্ডের আরো উন্নতি হয়েছে, ওইসব সংস্থার বিভিন্ন প্রজেক্টগুলো তারা বাস্তবায়িত করার চেষ্টা করেছে এবং একই সঙ্গে আরো বিস্তার লাভ করেছে। আজকে যেসব স্বায়েত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানগুলো তারা কিছুটা প্রফিট করে অর্থ জমা করেছে সেখান থেকে যদি সরকারি কোষাগারে নিয়ে যাওয়া হয় এবং সেখান থেকে মেগা প্রজেক্টে খরচ করা হয় সেখানে দুর্নীতিকে আরো প্রশস্ত করা হচ্ছে।
দেশের অর্থনীতির দুরাবস্থা তুলে ধরে বিএনপি মহাসচিব বলেন, একমাত্র প্রবাসীদের আয় রেমিটেন্স ডলারের হিসেবে কিছুটা পিজেটিভনেস দেখা গেছে। তাছাড়া বাকী সবগুলো খাতের সূচকগুলো নেগেটিভ। বিশেষ করে সবচেয়ে বড় সমস্যা রপ্তানি আয় কমে গেছে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে যে গার্মেন্টস খাত যার ওপর আমাদের সবচেয়ে বেশি নির্ভর করতে হয় সেখানকার অবস্থা খুব খারাপ।
তিনি বলেন, একজন বেশ বড় গার্মেন্টস উদ্যোক্তা আমাকে বলেছেন, তারা খুব কষ্টের মধ্যে, আতংকের মধ্যে শিল্প পরিচালনা করছেন। বিদ্যুতের দাম, গ্যাসের দাম যেভাবে বাড়ানো হয়েছে, সেই সাথে আন্তর্জাতিক যে নেগেটিভ অবস্থা তৈরি হয়েছে, সেই অবস্থায় ইন্ডাস্ট্রিগুলো বাঁচিয়ে রাখাই হচ্ছে তাদের বড় সমস্যা। এটা আস্তে আস্তে নিচের দিকেই নামছে। এটা অর্থনীতির জন্য বড় অশনি সংকেত। অর্থনীতিতে একটা আশংকা আছে যে, যেকোনো সময়ে ধস নেমে যেতে পারে।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ভোট তো তারা চুরি করে নিয়ে গেছে, ডাকাতি করে নিয়ে গেছে ইভিএম দিয়ে। এর প্রমাণ আমরা একেবারে মেশিন দেখিয়ে দিয়ে দিয়েছি। এখন আপনি দেখবেন যে, নির্বাচনী কেন্দ্রগুলো থেকে যে রিসিপ্ট পেপার পাওয়ার কথা সেই রিসিপ্ট পেপার এখনো কেউ পাইনি। দেখবেন যে সেগুলোতে এতো গরমিল যে এটা ইভিএমে চিন্তাই করা যায় না। ভোটের গণণার ফলাফল দিতে লাগলো ৮ ঘন্টা। অথচ নির্বাচন কমিশন তার পরিপত্রে বলেছে একঘন্টার মধ্যে ফলাফল হয়ে যাওয়ার কথা। পরিপত্র বলা আছে, সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে ফলাফল দেয়ার কথা। যেহেতু মিলাতে পারেনি, বহু জায়গায় গরমিল রয়েছে সেজন্য ৮ ঘন্টা সময় নিয়ে ফলাফল বিকৃত করেছে।###

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন