টঙ্গীর হিমারদিঘি এলাকায় পার্কিং করা ট্রাকের ওপর উঠিয়ে এক কিশোরীকে জোরপূর্বক গণধর্ষণ করেছে চার বখাটে। গত শুক্রবার রাতে জনৈক রিকশা চালক টঙ্গী পূর্ব থানা পুলিশকে বিষয়টি জানালে টহল পুলিশ ঘটনাস্থলে অভিযান চালিয়ে ধর্ষিতাকে উদ্ধারের পর চার ধর্ষককে আটক করতে সক্ষম হয়। ধর্ষিতা কিশোরীর বয়স ১৫ বছর। সে টঙ্গী চেরাগ আলী মার্কেটে একটি বিউটি পার্লারে কাজ করতো। এ ব্যাপারে ধর্ষিতার পিতা বাদী হয়ে টঙ্গী পূর্ব থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
আটকরা হচ্ছে- মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর থানার সদরামপুর গ্রামের মৃত খোরশেদ আলমের ছেলে নয়ন (১৮), বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জ থানার বাবুগঞ্জ গ্রামের মৃত আকরাম হোসেনের ছেলে শাহাব উদ্দিন (২০), জামালপুরের বকশিগঞ্জ থানার জিন্নাবাজার এলাকার মৃত বিল্লাল মন্ডলের ছেলে বাবু মন্ডল (২০), ময়মনসিংহের গৌরীপুর থানার কান্দাপাড়া গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে তোফাজ্জল হোসেন (১৯)। মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, বিউটি পার্লারে কাজ শেষে চেরাগআলী মার্কেট থেকে রিকশাযোগে কিশোরী আরিচপুর বাসার উদ্দেশে রওনা দেয়। গত শুক্রবার রাত ১১টায় টঙ্গী পূর্ব থানার হিমারধীঘিস্থ নিটল টাটা মটরসের সামনে পৌঁছলে নয়ন, শাহাবুদ্দিন, বাবু মন্ডল ও তোফাজ্জল হোসেন রিকশা থামিয়ে জোরপূর্বক রাস্তার পাশে থাকা একটি খালি ট্রাকের ওপর নিয়ে জোরপূর্বক গণর্ধষণ করে। পরবর্তীতে রিকশা চালক টঙ্গী পূর্ব থানায় খবর দিলে টহল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযান চালিয়ে ধর্ষণকারী ৪ জনকে আটক করে। টঙ্গীর পূর্ব থানার তদন্ত কর্মকর্তা জাহিদ বলেন, শুক্রবার রাতে রিকশা চালক এসে থানায় মৌখিকভাবে বললে পুলিশ অভিযান চালিয়ে চার ধর্ষককে আটক ও ধর্ষণের শিকার ভিকটিমকে উদ্ধার করে। আটকদের বিরুদ্ধে নারী নির্যাতন মামলা দিয়ে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। ভিকটিমকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন