মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

বনানীর টিঅ্যান্ডটি কলোনি বস্তিতে আগুন

পাঁচশ’ ঘর পুড়ে ছাই তদন্ত কমিটি গঠন

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১২:০২ এএম

রাজধানীর বানানীর টিঅ্যান্ডটি কলোনি বস্তিতে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। গত শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে তিনটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। পরে ফায়ার সার্ভিসের ২২টি ইউনিট কাজ করে গতকাল ভোর ৫টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে এর আগেই পাঁচশত ঘর পুড়ে ছাই হয়ে যায়। কিন্তু গতকাল রাত ৭টা পর্যন্ত আগুন লাগার কারণ বা ক্ষয়ক্ষতির পরিমান জানা যায়নি। তবে এটা জানাতে ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

ফায়ার সার্ভিসের ডিউটি অফিসার লিমা খানম ইনকিলাবকে জানান, গত শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে তিনটার দিকে আগুনের সূত্রপাত হয়। আগুন লাগার পর ফায়ার সার্ভিসের ২২টি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুনে নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে আগুন লাগার কারণ বা ক্ষতির পরিমান জানতে চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তারা ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিবেন।

তবে সংশ্লিষ্টদের ধারনা, গ্যাস লাইন লিকেজ বা ইলেকট্রিক শটসার্কিট থেকে এ অগ্নিকান্ড ঘটতে পারে। ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স অধিদফতরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাজ্জাদ হোসেন জানান, পানির স্বল্পতা আর সরু রাস্তার কারণে আগুন নেভাতে বেশ বেগ পেতে হয়। পানির গাড়িগুলো ঠিকমতো বস্তির ভেতরে প্রবেশ করতে পারেনি। আগুনে কোনো হতাহত কিংবা নিখোঁজের খবর পাওয়া যায়নি।

তবে বস্তিবাসীর অভিযোগ, আগুন লেগেছিল মুলত পাশের গোডাউন বস্তি থেকে। সেখান থেকে বাতাসের কারণে দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ে পাশের বেদেরঘাট বস্তিতে। আগুনে প্রায় পাঁচ শতাধিক ঘর পুড়ে গেছে।

ক্ষতিগ্রস্তরা জানান, বস্তিতে কয়েকটি গাছ ছাড়া সব পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। তবে গাছগুলো ডালপালা-পাতাও পুড়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্থরা পুড়ে যাওয়া ঘরে বসে কান্না করছেন। আর আগুনে গৃহহারা মানুষগুলো আশ্রয় নিয়েছেন টিঅ্যান্ডটি কলোনির মাঠে খোলা আকাশের নিচে।

এদিকে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা আগুন নেভানোর আগেই বস্তির প্রায় ৫শত ঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে বলে জানান স্থানীয়রা। তবে অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্থ ৪৫০টি পরিবারের তালিকা করেছে ত্রাণ ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয়। তাদের প্রত্যেককে প্রাথমিকভাবে ৩০ কেজি চাল ও নগদ দুই হাজার টাকা করে দেওয়া হবে। গতকাল ঘটনাস্থল পরিদর্শনে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম এ তথ্য জানান।

এছাড়াও আগুন লাগার পর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন জনপ্রতিনিধিরাও। গতকাল বস্তি পরিদর্শন শেষে মহাখালী ২০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোহাম্মদ নাছির সাংবাদিকদের জানান, বস্তিতে ক্ষতিগ্রস্তদের খাওয়ার জন্য খিচুরি-শুকনো খাবার সরবরাহ করা হয়েছে। থাকার জন্য স্থানীয় স্কুল ও কলোনির মাঠে ব্যবস্থা করা হয়েছে। দ্রুতই তাদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হবে। সে জন্য স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়, ঢাকা জেলা প্রশাসন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন ও এনজিও দাতা সংস্থাগুলোর সাথে সমন্বয় করা হচ্ছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন