মেঘনা আড়িয়াল খাঁ বিধৌত রায়পুরার বালুয়াকান্দিতে কালের স্বাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে ইসলামের এক আলোকবর্তিকা আল জামিয়াতুল উলুম মাদরাসা। শত বছর ধরে চারদিকে ইসলামের আলো ছড়াচ্ছে এই দ্বীনি প্রতিষ্ঠানটি। এই মাদরাসা থেকে শিক্ষা নিয়েছেন দেশের প্রখ্যাত ইসলামী চিন্তাবিদ, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমীর শাইখুল হাদিস আল্লামা ইসমাঈল নুরপুরী। চলতি বছর প্রতিষ্ঠানটির শতবর্ষপূর্তি উদযাপন করছে মাদরাসা কর্তৃপক্ষ।
জানা গেছে, ১৯২০ সালে মাদরাসাটি রায়পুরা উপজেলার আমিরগঞ্জ ইউনিয়নের বালুয়াকান্দি গ্রামে প্রতিষ্ঠা লাভ করে। গ্রামের কয়েকজন ধর্মপ্রাণ ব্যক্তি মাদরাসাটি প্রতিষ্ঠা করেন। সেই থেকে গত ১০০ বছরে এই মাদরাসা থেকে ইসলামী শিক্ষা নিয়েছে শত শত আলেম-ওলামা ও হাফেজে কুরআন। এ মাদরাসা থেকে শিক্ষা নিয়ে বহু কোরআনে হাফেজ এবং আলেম-ওলামা দিনরাত ইসলাম প্রসারে কাজ করছেন।
বর্তমানে কমিটির সভাপতি পদে রয়েছেন শিল্পপতি আলহাজ্ব মুন্সি শওকত আলী। মোট ২৬ জন শিক্ষকের মধ্যে মুহতামিমের দায়িত্ব পালন করছেন মুফতি মহিউদ্দিন। আর এদেরই নেতৃত্বে প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে শতবর্ষ উদযাপনের। এ উপলক্ষে আগামী ১২ ও ১৩ ফেব্রুয়ারি জামিয়া ঈদগাহে আয়োজন করা হয়েছে আন্তর্জাতিক ইসলামী মহাসম্মেলন। প্রথম দিন প্রধান মেহমান থাকবেন আল্লামা মুফতি আবুল কাসেম নোমানী। প্রধান অতিথি থাকবেন আল্লামা মুফতি সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী। বিশেষ মেহমান থাকবেন হাফেজ জুনায়েদ বাবুনগরী এবং হাফেজ মাওলানা মুফতি আব্দুল হান্নান।
দ্বিতীয় দিন প্রধান মেহমান থাকবেন আল্লামা শাহ আহমদ শফী। প্রধান অতিথি থাকবেন রায়পুরার এমপি রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজু। বিশেষ মেহমান থাকবেন শায়খ আবু ইয়ালা আহমদ সিদকী এবং আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী। প্রথম দিন সভাপতিত্ব করবেন বালুয়াকান্দি ইসলামিক কমপ্লেক্স পরিচালনা কমিটির সভাপতি আলহাজ্ব মুন্সী শওকত আলী আর দ্বিতীয় দিন সভাপতিত্ব করবেন আশ-শামস প্রাক্তন ছাত্র পরিষদ সভাপতি আল্লামা ইসমাঈল নুরপুরী।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন