বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

শ্রমিকদের স্পন্সরশিপ ব্যবস্থা বাতিল করছে সউদী আরব

যুবরাজ মুহাম্মদ বিন সালমানের নেতৃত্বে এটি হবে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক সংস্কার

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১২:০১ এএম

সউদী আরব শ্রমিকদের স্পন্সরশিপ ব্যবস্থা বাতিল করার উদ্যোগ নিয়েছে। অভিবাসী শ্রমিকদের অধিকার লঙ্ঘন নিয়ে অনেক বছরের বিতর্কের কারণে এ ব্যবস্থা নিচ্ছে সউদী সরকার।

ইংরেজি দৈনিক সউদী গেজেট অজ্ঞাত সূত্রকে উদ্ধৃত করে ওই খবর প্রকাশ করেছে। কয়েক দশক পুরানো স্পন্সরশিপ ব্যবস্থায় বিদেশি শ্রমিকদের নিয়োগ দেওয়া হয়। এসব শ্রমিকদের অধিকাংশই দক্ষিণ এশিয়ার বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানের নাগরিক। সউদী গেজেট বলছে, সউদী নিয়োগকর্তাদের হাতে শ্রমিকদের পুরো দায়িত্ব ন্যস্ত থাকে। কিন্তু এর সুযোগ নিয়ে সউদী আরবে শ্রমিকদের নির্যাতনের অভিযোগ আছে তাদের নিয়োগকর্তাদের বিরুদ্ধে।

১৯৫০-এর দশকে প্রবর্তিত এই ব্যবস্থায় প্রবাসী শ্রমিকদের তাদের নিয়োগকর্তা ও স্পন্সরের নির্দেশে চলতে হয়। এমনকি তাদের অনুমতি ছাড়া সউদী আরবে আসা-যাওয়া করা যায় না। এক কথায়, নিয়োগকর্তারা শ্রমিকদের ভিসা ও আইনি অবস্থান নিয়ন্ত্রণ করেন। এই ব্যবস্থা শুধু সউদী আরব নয়, পুরো উপসাগরীয় দেশগুলোতে প্রচলিত রয়েছে। মধ্যপ্রাচ্য-বিষয়ক সংবাদমাধ্যম মিডল ইস্ট মনিটর’র খবরে বলা হয়েছে, শ্রমিকদের মূলত নির্মাণ ও গৃহকর্মে নিযুক্ত করা হয়। কাজের সময় তাদের বড় ধরনের নির্যাতনের সম্মুখীন হতে হয়। মজুরি না পাওয়া, কম মজুরি প্রদানসহ শারীরিক মারধরের মতো অভিযোগ নিয়মিত করছেন শ্রমিকরা। দুই বছর আগে কুয়েতে একটি ফ্রিজ থেকে ফিলিপাইনের এক শ্রমিকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছিল।

সউদী গেজেটের খবরে বলা হয়েছে, স্পন্সরশিপ ব্যবস্থা বাতিলের যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে তাতে করে শ্রমিকদের সউদী আরবে যাওয়া ও সেখান থেকে চলে আসার স্বাধীনতা থাকবে। এতে তাদের নিয়োগকর্তা বা স্পন্সরের অনুমোদন লাগবে না। এছাড়া সরকারি অনুমোদন ছাড়াই কাজে যোগ দিতে পারবেন শ্রমিকরা।

মিডল ইস্ট মনিটর’র খবরে আরও বলা হয়েছে, যদি এই উদ্যোগ বাস্তবায়িত হয় তাহলে সউদী আরবের প্রভাবশালী যুবরাজ মুহাম্মদ বিন সালমানের নেতৃত্বে এটি হবে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক সংস্কার। যুবরাজের ভিশন ২০৩০ উদ্যোগে তেল সউদী অর্থনীতিতে তেল নির্ভরতা কমিয়ে আনার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।

উপসাগরীয় দেশগুলোতে স্পন্সরশিপ ব্যবস্থা বাতিল নিয়ে দীর্ঘদিনে ধরেই আলোচনা হচ্ছে। এর মধ্যে কাতার এই ব্যবস্থায় কিছুটা সংস্কার এনেছে। দেশটিতে কর্মরত বিদেশি শ্রমিকরা নিয়োগকর্তার অনুমোদন ছাড়াই দেশত্যাগ করতে পারেন।

এর আগে ২০১৭ সালেও সউদী আরব এই ব্যবস্থা বাতিলের উদ্যোগ নিচ্ছে বলে খবর প্রকাশিত হয়েছিল। কিন্তু কর্তৃপক্ষ তা অস্বীকার করেছিল। সূত্র : মিডল ইস্ট মনিটর।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (9)
Anowar Hussain ৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১২:৪১ এএম says : 0
ঘুরেফিরে সৌদিআরব আইয়্যামে জাহেলিয়াতের দিকে অগ্রসর হচ্ছে
Total Reply(0)
Anwar Hossain ৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১২:৪১ এএম says : 0
আলহামদুলিল্লাহ
Total Reply(0)
Md Joynal Abedin ৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১২:৪১ এএম says : 0
বরাবর অভিনন্দন
Total Reply(0)
Shaheed Islam ৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১২:৪১ এএম says : 0
Thank s Saudi Government
Total Reply(0)
Anwarul Islam Anwar ৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১২:৪২ এএম says : 0
এখন কোন সিস্টেমে একামা বা ওয়ার্ক পারমিট হবে বুঝতে পারছি না । কে হবে শ্রমিকের দেখবালকারী ।
Total Reply(0)
Afif Ahamed ৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১২:৪২ এএম says : 0
অনেক ভালো উদ্যোগ
Total Reply(0)
Murshadur Rahman Shohag ৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১২:৪২ এএম says : 0
কেউ কি বলবেন,এখন আমি যে মালিকের আন্ডারে আছি তার থেকে কফালা নিয়ে অন্য যায়গায় চলে যায়তে চায়, বর্তমান মালিকের অনুমতিক্রমে, কিন্ত ভাল কফিল না পাওয়ায় সম্ভব হচ্ছে না,চেষ্টা অব্যহত আছে।কিন্তু সমস্যা হচ্ছে কফিল বার বার তাগাদা দিচ্ছে তারাতারি কফালা নিতে না হলে হুরুব দিবে এমতাবস্থায় আমার কি করনিয়।ধন্যবাদ
Total Reply(0)
DH Didarul Islam Nabir ৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১২:৪৩ এএম says : 0
খবর পড়ে ভালো লাগছে। ইনশাআল্লাহ যদি হয় তবে আমাদের জন্য খুব ভালো সময় আসবে।
Total Reply(0)
S Mishal ৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১২:৪৩ এএম says : 0
আগে কার্যকর হোক আইনটা তারপর বলিয়েন এবং প্রতিটা শ্রমিক যদি সরকারের আন্ডারে চলে যায় তাহলে হয়তো আইডির খরচ কিবা মেডিকেল ইন্সুরেন্স এর খরচ বেশি করে দিতে পারে সরকার বলা যায় না
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন