শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

নাসিরনগরে দাখিল পরীক্ষা কেন্দ্রের হল সুপার ও শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা, আহত ৮

নাসিরনগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১:৩৭ পিএম

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরের দাঁতমন্ডল এরফানিয়া আলিম সিনিয়র মাদ্রাসা কেন্দ্রের হল সুপার ও শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। শনিবার(৮ ফেব্রুয়ারি) রাত ৮টার দিকে উপজেলার দাঁতমন্ডল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।পরে পুলিশের সহযোগিতায় আহত শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। এ নিয়ে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতংক বিরাজ করছে।
পুলিশ ও আহত হল সুপার জহিরুল ইসলাম জানান, বোর্ড কর্তৃক নিয়ম অনুযায়ী পরীক্ষার্থীদের আসন বিন্যাস করার কথা। কিন্তু সে নিয়ম না মেনে বাংলা ১ম পত্র,২য় পত্র ও ইংরেজি ১ম পত্রের পরীক্ষা নেয়া হয়।পরে আসন পূন:বিন্যাসের অনিয়মটি হলের ভারপ্রাপ্ত কর্মকতার্র দৃষ্টিতে আসলে শনিবার বোর্ড কর্তৃক নিয়ম অনুযায়ী পুনরায় আসন পূন:বিন্যাস করা হয়। এই বিষয়টি জানতে পেরে দাঁতমন্ডল মাদ্রাসার দাখিল পরীক্ষার্থী শেখ তানভির মিয়াসহ ৬/৭ জন শনিবার রাত ৮টার সময় দাঁতমন্ডল গ্রামের দরজ মিয়ার বাড়িতে সুপার অবস্থান করা খান্দুরা ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার পরীক্ষার্থীসহ হল সুপার জহিরুল ইসলামের কক্ষে প্রবেশ করে আসন পরিবর্তনের বিষয়টি জানতে চায়। তখন তিনি বলেন,পূর্বের আসন বিন্যাসে অনিয়ম হয়েছে। তাই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নির্দেশে নতুন করে আসন বিন্যাস করা হয়েছে।এ কথা বলার সাথে সাথেই তানভিরসহ কয়েকজন যুবক তাঁর ওপর হামলা করে এলোপাতাড়ি চড়-থাপ্পড় দিতে থাকেন। তাঁর চিৎকারে পাশের রুমে থাকা শিক্ষার্থীরা এগিয়ে আসলে শিক্ষার্থীদের উপরও হামলা চালায়।এসময় স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে তারা পালিয়ে যায়। সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে আহত শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের উদ্ধার করে নাসিরনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এনে চিকিৎসা দেয়া হয়।সংবাদ পেয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ সাজেদুর রহমান,উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আজহারুল ইসলাম ভুইয়া হাসপাতালে আসেন। চিকিৎসা শেষে আহত শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা দাতঁমন্ডল গ্রামে ফিরে যেতে চায়নি। রাতে উপজেলা সদরে উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম-আহবায়ক শরীফুজ্জামান চৌধুরী সুমনের বাসায় রাত্রিযাপন করেন।আহত শাহরিয়ার কামাল(১৬),আয়েত আলী(১৭),মফিজুল ইসলাম(১৫),রাজু মিয়া(১৭),মিনারা বেগম(১৫),লাখী আক্তার(১৬)হেপী আক্তার (১৬)। এরা সবাই খান্দুরা ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার পরীক্ষার্থী এবং হল সুপার জহিরুল ইসলাম খান্দুরা ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপারেনটেনডেন্ট।
আহত শিক্ষক মো. জহিরুল ইসলাম জানান,এ ঘটনায় জড়িতদের সুষ্ঠু বিচারের ও তাঁর এবং পরীক্ষার্থীদের নিরাপত্তার দাবি জানান।
নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজেদুর রহমান জানান ‘অনৈতিক সুবিধা না পেয়ে একজন শিক্ষকের ওপর হামলা চালানোর ঘটনা দুঃখজনক। আমরা তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা নাজমা আশরাফী জানান,শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা ঘটনার খুবই দুঃখজনক। আইন আইনের গতিতেই চলবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন