মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৩ বৈশাখ ১৪৩১, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

কাশ্মীর প্রশ্নে সউদী সমর্থন পুনর্ব্যক্ত

পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে ফোন

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১২:০২ এএম

কাশ্মীর প্রশ্নে সমর্থনের আশ্বাস দিতে সউদী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফয়সাল বিন ফারহান আল-সঊদ গত শনিবার ফোন করেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কোরেশিকে।

পররাষ্ট্র দফতরের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘সউদী আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফয়সাল বিন ফারহান আল-সউদ শনিবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মখদুম শাহ মেহমুদ কুরেশিকে টেলিফোন করেছিলেন’।

অধিকৃত কাশ্মীরকে ভারতের অঙ্গীভূত করে নেয়া, নিরাপত্তার অজুহাতে অবরোধ, ইন্টারনেটসহ সব ধরনের যোগাযোগে বিচ্ছিন্নের বিরুদ্ধে একটি অভিন্ন অবস্থান নিতে ইসলামী সম্মেলন সংস্থা ওআইসির পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠক ডাকার ব্যাপারে ক্রমবর্দ্ধমান সউদী অনিচ্ছা এবং এর ফলে ইসলামাবাদের ক্ষোভের মধ্যেই সউদী মন্ত্রী এ ফোন করলেন। ১৯০তম দিনে পড়া অবরোধ অধিকৃত কাশ্মীরে একটি মানবিক সঙ্কট তৈরি করেছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী কুরেশি জম্মু ও কাশ্মীর বিষয়ক ওআইসি যোগাযোগ গ্রুপের এক গুরুত্বপূর্ণ সদস্য সউদী আরবের কাশ্মীরের পক্ষে অবিচল সমর্থনের প্রশংসা করেন। পররাষ্ট্র দফতর জানায় যে, আলোচনার মূল ছিল কাশ্মীরই।

ডন এর আগে কাশ্মীরের বিষয়ে ওআইসির পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কাউন্সিলের (সিএফএম) বৈঠকের জন্য পাকিস্তানের অনুরোধ সমর্থন করতে সউদী আরবের অনিচ্ছার কথা জানিয়েছিল। ২০১৯ সালের আগস্ট থেকে পাকিস্তান বৈঠকের জন্য চাপ দিচ্ছে, যখন ভারত জম্মু ও কাশ্মীরের অধিকৃত অঞ্চলটি অন্তর্ভুক্ত করে নিয়েছিল। রিয়াদ প্রস্তাবিত সিএফএম-এর পক্ষে অনুমোদন দিতে দ্বিধা বোধ করে এবং পরিবর্তে সংসদীয়/ স্পিকার সম্মেলন বা ফিলিস্তিন ও কাশ্মীরের বিষয়ে একটি যৌথ বৈঠকসহ বিকল্প প্রস্তাব উত্থাপন করে। ৫৭ জাতির সংস্থাটিতে যে কোনও পদক্ষেপের জন্য আরব মিত্রসহ দেশটির সমর্থন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ইসলামাবাদ অবশ্য কাশ্মীর নিয়ে অধিবেশন আহ্বান করার ব্যাপারে দৃঢ় থেকেছে এবং বিভিন্ন স্তরে রিয়াদের জড়িত থাকার দাবি পুনর্ব্যক্ত করেছে।
একটি কূটনৈতিক সূত্র প্রকাশ করেছে যে, পাকিস্তান সরকার এক পর্যায়ে সউদী নেতাদের সাবধান করে দিয়েছিল যে, রিয়াদ থেকে কাশ্মীরের প্রতি দ্ব্যর্থহীন সমর্থনের অভাব পাকিস্তানের জনগণের ধারণাকে প্রভাবিত করতে পারে।

মালয়েশিয়ায় তার সা¤প্রতিক সফরকালে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান কাশ্মীর প্রশ্নে সমর্থন করতে ওআইসির ব্যর্থতার জন্য হতাশার কথা বলেছিলেন। গত ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত কুয়ালালামপুর শীর্ষ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী খানের সর্বশেষ অবস্থানও সউদীদের চিন্তিত করেছিল।
প্রধানমন্ত্রী, যিনি প্রথমে কেএল শীর্ষ সম্মেলনের জন্য মালয়েশিয়ার আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছিলেন, পরে তিনি সউদী অসন্তোষের কারণে তার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করেছিলেন। যাইহোক, সামিটের ছয় সপ্তাহ পরে কুয়ালালামপুরে তার সা¤প্রতিক সফরের সময়, জনাব খান তার আগের সিদ্ধান্তের জন্য আফসোস করেছিলেন এবং কেএল শীর্ষ সম্মেলনের পরবর্তী সংস্করণে অংশ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে মনের পরিবর্তন দেখিয়েছিলেন। আয়োজক প্রধানমন্ত্রী ড. মাহাথির মোহাম্মদের সাথে এক সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেওয়ার সময় জনাব খান বলেছিলেন, ‘আমি বলতে চাই যে, আমি কতটা দুঃখ পেয়েছিলাম ডিসেম্বরের মাঝামাঝি আমি কুয়ালালামপুরে সম্মেলনে অংশ নিতে না পারায়। দুর্ভাগ্যক্রমে, আমাদের বন্ধুরা, যারা পাকিস্তানের খুব নিকটবর্তীও, তারা অনুভব করেছিল যে, সম্মেলনটি উম্মাহকে বিভক্ত করতে চলেছে। এটি স্পষ্টতই একটি ভুল ধারণা ছিল।

জেদ্দায় গতকাল থেকে শুরু ওআইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বৈঠকের আগে এফএম ফয়সালের ফোন আসে। কর্মকর্তাদের বৈঠক এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে নাইজারে অনুষ্ঠিতব্য নিয়মিত সিএফএমের এজেন্ডা তৈরি করবে। আশা করা হচ্ছে যে, কাশ্মীরের বিষয়ে সাধারণ প্রস্তাব পরের সিএফএম-এ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দ্বারা গৃহীত হওয়ার জন্য অনুমোদিত হবে।

পররাষ্ট্র দফতরের বিবৃতি অনুসারে দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রী তাদের টেলিফোন কথোপকথনে আঞ্চলিক ঘটনাবলির বিষয়ে মতামতও বিনিময় করেন এবং ঘনিষ্ঠ যোগাযোগে থাকতে রাজি হন। সূত্র : ডন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন