এ বছরের জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারিতে পর পর দুই মাসে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) দুই শিক্ষার্থী নিখোঁজ হলেও মিলছে না খোঁজ । এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ময়মনসিংহ কোতোয়ালি থানায় দুটি আলাদা ডায়েরি করলেও নিখোঁজদের এখনও কোন সন্ধান মেলেনি বলে শিক্ষার্থীদের পরিবার ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নিশ্চিত করেছে।
বিশ্ববিদ্যালয় এবং নিখোঁজদের পরিবারিক সূত্রে জানা যায়, গত ৭ ফেব্রুয়ারি (শুক্রবার) বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদের শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী আহসান হাবীব হামজা (২৪) নিখোঁজ হন । তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক শহীদ নাজমুল আহসান হলে থাকতেন। জানা যায়, নিখোঁজের দিন সকালে নিজ বাড়িতে যাবেন বলে তার বাবাকে জানয়েছিলেন হামজা । এরপর ওই দিন সকাল থেকেই হামজার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। এদিকে হলের সিসিটিভি ক্যামেরায় দেখা যায় তিনি বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে শপিং ব্যাগ হাতে হল থেকে বের হন। এরপর তিনি আর হলে ফিরে আসেননি। এদিকে গত তিন দিনেও হামজার কোন খোঁজ মেলেনি বলে নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও তার পরিবার। তবে এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে ময়মনসিংহ কোতয়ালি থানায় ৮ ফেব্রুয়ারি একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে।
নিখোঁজ আহসান হাবিব হামজার ভগ্নিপতি জামিলুর রহমান বলেন, আমাদের জানা মতে হামজা কোন সংগঠনের সাথে জড়িত না। তবে, কি কারণে সে এভাবে কাউকে কিছু না বলে চলে গেল বিষয়টি আমাদের জানা নাই। এদিকে, গত ৯ জানুয়ারি (বৃহস্পতিবার) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেরিনারি অনুষদের ২০১৪-২০১৫ সেশনের ইফতেখারুল ইসলাম নামের এক শিক্ষার্থী নিখোঁজ হন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ শামসুল হক হলের বি-ব্লকের ৪১৬ নম্বর কক্ষে থাকতেন। জানা যায়, ওই শিক্ষার্থী গত ৯ জানুয়ারি সকাল ৬ টার দিকে ঢাকার উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন। এরপর থেকেই তার মোবাইল সংযোগটি বন্ধ পাওয়া যায়। এরপর ৩০ দিন পেরিয়ে গেলেও ইফতেখারের কোন খোঁজ পাওয়া যায়নি বলে নিশ্চিত করেছেন তার বড় ভাই সাইফুল ইসলাম।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. আজহারুল হক বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে ময়মনসিংহ কোতয়ালি থানায় নিখোঁজদের বিষয়ে জিডি করা হয়েছে। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ে গঠিত টাস্কফোর্সের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের কাউন্সিলিংয়ের বিষয়টি এখন থেকে জোড়দার করা হবে।
এ বিষয়ে কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি মাহমুদুল ইসলাম বলেন, নিখোঁজ হওয়া দুই শিক্ষার্থীকে খুঁজে বের করতে সর্বাত্বক চেষ্টা চলছে। আমরা সারাদেশে তাদের খোঁজ করার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি।