বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৪ বৈশাখ ১৪৩১, ০৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

নজরুল-কাব্যে ঈদুল ফিতর

প্রকাশের সময় : ৪ জুলাই, ২০১৬, ১২:০০ এএম

অধ্যাপক হাসান আবদুল কাইয়ূম
নজরুল ইসলাম এমন এক অনন্য কবি-প্রতিভা যার হৃদয় গভীরে ইসলামের ‘সাম্য আবেদন সজীব’ ছিল। সেই সজীবতা সাগরের বিশালতায় মুখরিত। ইসলামের শাশ্বত মৌলিকত্ব তিনি অনুভবে গেঁথে নিয়েছিলেন বলেই তার লেখনীর বিরাট অংশ জুড়ে মূর্ত হয়ে উঠেছে সাম্য ও ভ্রাতৃত্বের অপরূপ ছন্দ মাধুর্য। কবিতার অবয়বে তিনি বোধিসত্তার চূড়ান্ত মঞ্জিলে উপনীত হয়েছেন। অলৌকিক স্পর্শ মেখে ফলে নজরুল ইসলামের তুলনা তার স্বকীয় অস্তিত্বের আবর্তে বিকশিত হয়েছে সঠিক মূল্যবোধের সৌকর্যে, সেখানে কোনো বিকল্প চিন্তার কিংবা ভাবের অনুপ্রবেশ ঘটেনি। তিনি লিখেছেন অগণন বিষয়ে। তার চলার পথ আপাত দৃষ্টিতে বিভিন্নমুখী রূপে প্রতিভাত হলেও আমরা লক্ষ্য করি তিনি কিন্তু আদর্শচ্যুত হননি। আপন আদর্শ উপস্থাপনে তিনি কোনো অবস্থাতেই পিছু হটে যাননি কিংবা আপসে পথও ধরেননি। এখানেই নজরুল ইসলামের কাব্য প্রতিভার সার্থকতা, এখানে তার কাব্য চর্চার সফলতা।
নজরুল ইসলামের কাব্য ও গানের অধিকাংশই ইসলামী। ঈদুল ফিতর মুসলিম চেতনার যে জাগরণের উদ্বোধন করে নজরুল ইসলাম তাকে উজ্জীবিত করেছে পথ চলার নির্দেশনামা হিসেবে। এক মাস সিয়াম সাধনার মধ্য দিয়ে সিয়াম সাধক আত্মশুদ্ধি ও আত্ম-সংযমের প্রত্যক্ষ প্রশিক্ষণ লাভ করে তার মূল সূর হচ্ছে আল্লাহর জমিন আল্লাহর জমিন আল্লাহর সার্বভৌমত্বের অধীন সবাই সমান মর্যাদার অধিকারী। কেউ খাবে আর কেউ খাবে নাÑ এই অবস্থার অবসান কল্পে এবং মানবতাকে সমুন্নত করার দৃঢ় প্রত্যয় সৃষ্টির চেতনা যে রমজান মাসের সিয়াম সাধনা প্রদান করে তা যদি সিয়াম উত্তরকালে বিস্মৃতির অতলে ডুবে না যায় সেজন্য শপথের দিন হিসেবে এবং গরিব, সর্বহারা ও অবহেলিত মানুষকে কাছে টেনে নেয়ার প্রত্যক্ষ প্রশিক্ষণের দিন হচ্ছে ঈদুল ফিতর। নজরুল ইসলামের কবিতায় ঈদুল ফিতরে মূল সুর ঝংকৃত হয়েছে এক কালজয়ী ছন্দের ব্যঞ্জনায়; জীবনে জিজ্ঞাসার পরতে পরতে বিদ্রোহের আগুন ঝরা বাণীর উচ্চারণে তিনি ঈদের চাঁদ শীর্ষক কবিতায় বলেন : সিঁড়িওয়ালাদের দুয়ারে এসেছে আজ চাষা মজুর ও বিড়িওয়ালা/ মোদের হিস্সা আদায় করিতে ঈদে দিলে হুকুম আল্লা তা‘আলা। ... আনিয়াছে নবযুগের বারতা নতুন ঈদের চাঁদ/ শুনেছি খোদার হুকুম, ভাঙ্গিয়া গিয়াছে ভয়ের বাঁধ। ওই একই কবিতায় বিদ্রোহের মাত্রা তুঙ্গে তুলে কবি জোরালো শব্দ বিন্যাসে মুর্দে মুমিনের দৃঢ়তার মাথা উঁচু করে আপন অভিব্যক্তি ব্যক্ত করেছেন এভাবে : আমার ঋণ শোধ কর, যদি বাঁচিবার থাকে সাধ, আমারে বাঁকা ছুরি আঁকা দেখ আকাশে ঈদের চাঁদ। ঈদের চাঁদকে কবি বিপ্লবের প্রতীক, বিদ্রোহের প্রতীক, দাবি আদায়ের মোক্ষম হাতিয়ার এবং খালেদের তলোয়ার ইত্যাদি নানা আখ্যায় আখ্যায়িত করেছেন যুক্তির দৃঢ় গাঁথুনি দ্বারা এবং ছন্দের উচ্ছল ঝংকারে তা হয়েছে সর্বজনগ্রাহী। কবি বলেন : ভেবো না ভিক্ষা চাহি মোরা, নহে শিক্ষা এ আল্লার, মোরা প্রতিষ্ঠা করতে এসেছি আল্লাহ অধিকার এসেছে ঈদের চাঁদ বরাবর দিতে আমাদের ভয়ে, আবার খালেদ এসেছে আকাশে বাঁকা তলোয়ার লয়ে। আসলে নজরুল ইসলাম ইসলামের প্রকৃত মানবিক মূল্যবোধের প্রেরণায় উদ্ভাসিত ছিলেন। তিনি আলোর সন্ধান লাভ করেছিলেন হৃদয়ের গভীর কন্দরে লুক্কায়িত অনুভবের স্পন্দন দ্বারা। যে কারণে গরিবের কথা সর্বহারার কথা, খেটে খাওয়া মেহনতী মানুষের কথা, বঞ্চিত ও লাঞ্ছিত মানুষের কথা তিনি তাদের হয়ে, তাদের পক্ষে তাদের ভাষায় কথা বলেছেন। কবি তাদের সঙ্গে মিশে গেছেন, শামিল হয়েছেন সর্বহারার কাতারে, মিছিলে। তিনি সর্বত্র ইসলামী চেতনা দিয়ে জাগাতে চেয়েছিলেন মানুষকে। অধিকারহীন অধিকার আদায়ের জন্য, বঞ্চিতদের বঞ্চনার মূলে কুঠারাঘাত হানার জন্য তিনি শব্দের ঋজুতায় আহ্বান জানিয়েছেন। ঈদের চাঁদকে তিনি তাই অধিকার আদায়ের ক্ষেত্রে আল্লাহ কর্তৃক নির্ধারিত ব্যবস্থা যাকাত আদায়ের বাণী বাহক হিসেবে তুলে ধরেছেন তার একাধিক কবিতায়। ঈদের চাঁদ কবিতায় কবি কলেন : ‘ডাকাত এসেছে যাকাত লইতে, খোলো বাক্সের চাবি, আমাদের নহে, আল্লার দেওয়া ইহা মানুষের দাবী।’
আবার যাকাত লইতে এসেছে ডাকাত চাঁদ শীর্ষক কবিতায় তিনি আরও দৃঢ়তার সঙ্গে বলেছেন : যাকাত লইতে আসমানে এলো আবার ডাকাত চাঁদ গরিব কাঙাল হাত পাত, ধনী রইস মরাই বাঁধ। এই কবিতায় কবি ঈদের চাঁদকে আলীর জুলফিকার বেলালের রাঙা হাসি, খালেদ, মুসা, তারেকের তেগ ইত্যাদি নানা রূপক আমেজ মেখে জাতি উজ্জীবিত করার প্রয়াস পেয়েছেন। আবার তাকে হৃদয়ের উষ্ণতায় উত্তপ্ত করে অন্যভাবেই উপস্থাপন করেছেন :
এইবার বুঝি ধুলির ধরার তুমি বুলাইয়া তার আনিবে রুপালি বিভব, সোনালি শস্যের সম্ভার উপোসী চিত্তে কোন রূপসীর লাগিবে এবার ছোঁয়া কার সুরমার পরশে হইবে বিলীন চোখের ধোঁয়া। চাঁদ নয় ও যে কমলা লেবুর কোয়া তুষিতের তরে একটি নিমেষ, তবুও বসনা উঠিবে ও রসে ভরে।
ক্ষণিক আনন্দের বারতা নিয়ে তো ঈদের চাঁদের আগমনের কথা নয়। কিন্তু অনুষ্ঠানসর্বস্ব হয়ে ওঠে ঈদের আনন্দ। ঈদের চাঁদ যে সর্বাধুনিক সুখ ও সমৃদ্ধির, সাম্য ও সৌহার্দ্যরে, ভ্রাতৃত্ব ও বন্ধুত্বের বারতা নিয়ে আছে তা ঈদের দিনের শেষে যেন সবাই ভুলে যায়। কবি বলেন :
তারপর সেই চিরচেনা দুঃখ শোক দরিদ্র ব্যাধি, উননে শূন্য হাঁড়ি ক্ষুধাতুর ছেলে-মেয়ে ওঠে কাঁদি কবি এই আনন্দ অভিনয়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছেন। তিনি জানতে চেয়েছেন ঈদের চাঁদের কাছেই সেকি গরিব দূর করার কোনো কার্যকরী কৌশল বয়ে নিয়ে এসেছে। নইলে তো তার মহামিলনের আহ্বান ব্যর্থতায় পর্যবসিত হবে। কবি বলেন :
যাকাত লইতে ডাকাতি করিতে এসেছে ঈদের চাঁদ? এনেছে কি সখা হাতে হিক্মতী লুট করিবার ফাঁদ? কবি অন্যত্র অধিকার আদায়ের জন্য উচ্চ-গ্রাম-কণ্ঠে সোচ্চার হয়ে বলেছেন :
প্রজারাই রোজ রোজা রাখিয়াছে আজীবন উপবাসী,/ তাহাদেরই তার এই রহমত, ঈদের চাঁদের হাসি। শুধু প্রজাদের জমায়েত হবে আজিকার ঈদগাহে, কাহার সাধ্য, কোন ভোগী রাক্ষস সেথা যেতে চাহে? (ঈদের চাঁদ)
কবি ঈদকে আপন বৈভবম-িত, সৌরভম-িত সৌকর্যে দেখেছেন। সেখানে ঈদের সর্বজনীন আনন্দ স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। পরিস্ফুটিত হয়েছে ঈদের আনন্দের প্রকৃত সুরভী যা নজরুল ইসলামের দ্বারাই কেবল সম্ভব হয়েছে। ঈদের বেদনামাখা আকুতিও তিনি যেমন তুলে ধরেছেন একই সঙ্গে ঈদের সর্বজনীন খুশির প্রতিধ্বনি ধ্বনিত হচ্ছে এক অপরূপ অনুভবের সুর ও ঝংকারে : ও মন রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ/
তুই আপনাকে আজ বিলিয়ে দে শোন আসমানি তাকিদ।/
তোর সোনাদানা বালাখানা সব রাহে লিল্লাহ্,/
যে যাকাত, মুর্দ্দা মুসলিমের আজ ভাঙাইতে নিদ। (জুলফিকার) নজরুল ইসলামের ওই বাণীর সুর যেন ঈদের চিরকালীন আমেজ মেখে এক সার্বকালীন বৈশিষ্ট্যম-িত করেছি। ঈদুল ফিতর নিয়েই কবির কবিতা ও গানের সংখ্যা ষোলটিরও বেশি। অধিকাংশের আবেদন ও অভিব্যক্তি মানবিক মূল্য-রোধের উৎকর্ষ সাধন। আর যে কারণে নিরঙ্কুশ বিদ্রোহ ও সত্য কথনের সৌন্দর্য এবং সুষমা লালিত্যে ম-িত হয়ে নজরুল ইসলামের কাব্য ঈদুল ফিতর এসেছে। মুসলিমের তৌহিদী চেতনা সেখানে আরও বুলন্দ হয়েছে এবং তার আকিদা আরও দুরস্ত হয়েছে।
রোজা রাখার ফল ফলেছে, দেখরে ঈদের চাঁদ,/ সেহ্রী খেয়ে কাটল রোযা, আজ সেহেরা বাঁধ,/ও রে বাঁধ আমামা বাঁধ, এ প্রমাশ্রুতে ওজু করে চল্ ঈদগাহ মসজিদ। কিম্বা এলো আবার ঈদ ফিরে এল আবার ঈদ, চল ঈদে গাহে। যাহার আশায় চোখে মোদের ছিল নারে নিদ, চল ঈদ্ গাহে...
এসবের মধ্যেই ঈদের সজীবতায় প্রস্ফুটিত আনন্দের অন্তর্নিহিত দিন ফুটে উঠেছে। ঈদ হচ্ছে মুসলমানদের জাতীয় উৎসব। এটাকে সর্ববৃহৎ সর্বজনীন উৎসবও বলা হয়। কারণ এর পটভূমিতে রমজানের এক মাস কৃচ্ছ্রতা সাধনার এক মহাপরীক্ষায় সিয়াম সাধককে উত্তীর্ণ হতে হয়েছে। আর সেই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার জাগতিক পুরস্কার ঈদুল ফিতর।
ঈদুল ফিতরের অর্থও হচ্ছে রোজা ভাঙার উৎসব। আর এর সাথে জড়িয়ে রয়েছে জান্নাতী সুখের আমেজ। কবি বলেন : ঈদ এনেছে শিরণী বেহেশতী দুশ্মনে আজ গলায় ধরে পাতাব ভাই দোস্তী যাকাত দেব ভোগ-বিলাস আজ গোস্সা বদমাস্তী, প্রাণের তশ্তরীতে ভরে বিলাব তৌহীদ চল ঈদগাহে। অন্যত্র কবি বলেন :
ঈদের চাঁদের তশতরীতে জান্নাত হতে আনন্দেই শিরণী এল আসমানী পথে (সেই) শিরণী নিয়ে নতুন আশায় জাগবে না উম্মিদ।
কবি নজরুল ইসলাম মূলত বাংলা কাব্যাঙ্গনে এক অনন্য শব্দসৈনিক। তার মধ্যে বৈপ্লবিক ধারার যে চরম বিকাশ ঘটেছে তা সম্ভব হয়েছে তার আল্লাহর প্রতি অটুট বিশ্বাসের ফলেই। ইসলামের শাশ্বত শিক্ষা তাকে সর্বক্ষণ সজাগ করে দিয়েছে মানুষকে ভালোবাসতে। ইসলামের ইতিহাসের বিশাল সোনালি ঐতিহ্য তাকে সর্বক্ষণ স্বকীয় সত্তা বিকাশে অনুপ্রাণিত করেছে। তিনি রাসূলে করীমের আদর্শ দ্বারা চালিত হয়েছেন। যে কারণে তার ঈদ বিষয়ক প্রতিটি কবিতা কিম্বা গানে সাম্যের সমাজ গড়ে তোলার একমাত্র কার্যকর অবস্থা যাকাত বার বার উচ্চারিত হয়েছে। ইসলাম বলে : তোমাদের ধন-সম্পদে গরিব ও বঞ্চিতদের অধিকার রয়েছে (আল-কোরআন)। নজরুল সেই গরিব ও বঞ্চিতদের অধিকার সুনিশ্চিত করার জিহাদি প্রেরণায় ভাস্বর ছিলেন বলেই তার পক্ষে কেবল বলা সম্ভব হয়েছে : আজ ভুলে গিয়ে দোস্ত দুশ্মন্ হাত মিলাও হাতে তোর প্রেম দিয়ে কর বিশ্ব নিখিল ইসলামে মুরিদ॥ যারা জীবনভরে রাখছে রোযা নিত্ উপবাসী সে গরীব এতিম মিস্ কিনে দেয়া কিছু মফিদ॥ ঢাল হৃদয়ের তোর তশ্তরীতে শিরণী তৌহিদের, তোর দাওত্ কবুল করবেন হজরত, হয় মনে উমীদ... অন্যত্র কবি ঈদের চাঁদকে খোশ আমদেদ জানিয়েছেন এভাবে : খোদার আদেশ তুমি জান, স্মরণ করাও এসে যাকাত দিত দৌলত সব দরিদ্ররে হেসে, শত্রুরে আজি ধরিতে বুকে, শেখাও ভালোবেসে, তোমায় দেখে টুটে গেছে অসীম প্রেমের বাঁধ॥
নজরুল ইসলামের ঈদবিষয়ক কবিতাগুলোর প্রধান বৈশিষ্ট্য হচ্ছে কবিতাগুলোর প্রতিটি ছত্রে ঈদের আমেজ ও শিল্প প্রস্ফুটিত হয়েছে।
কবির বাক্যবিন্যাসে ও শব্দচয়নে যেন অনত্র লোক থেকে বয়ে আনা এক বিশেষ আবেগ জড়িত অনুভবে আজুব। কবি তার জীবনের সবটুকু অনুভব দিয়ে কবিতা সাজিয়েছেন, গান চয়ন করেছেন। আর সেখানে সুর ও ছন্দের লালিত আপন বৈভবে ভাস্বর হয়ে উঠেছে। আর এ কারণেই কবিতা ও গানগুলো সর্বকালীন বৈশিষ্ট্যম-িত। কবির মনোরাজ্যে ইসলামের সার্বক্ষণিক উপস্থিতি কবি মানসকে আধ্যাত্মিক অনুপ্রেরণায় উজ্জীবিত করেছে। তার কবিচতা ও গানে সত্য ও সুন্দরের মোহনীয় রূপ প্রস্ফুটিত হয়েছে। চঞ্চলতার মধ্যে দিয়েই অবলম্তি জীবনের শ্রুততায় তিনি মানুষের দুঃখ ও দুর্দশার নিকটতম অভিজ্ঞতা আপন সত্তার নিরিখে ব্যক্ত করেছেন। তিনি নব জীবনের পথে বিপ্লবী এবং বিদ্রাহী পথে নির্যাতিত মানবতার মুক্তির স্বপ্ন দেখেছেন। সর্বহারা শীর্ষক কবিতায় হৃদয়ের গভীর অতলাস্ত থেকে তাঁর সেই মুক্তির বাণী উচ্চারিত হয়েছে এভাবে :
আমি আল্লার ঈদের চাঁদের আনিয়াছে ফরমান, সঞ্চিত দৌলত নিয়ে ইফতার হবে রমজান সবাই খোরাক পাইবে ক্ষুধার আসিবে ঈদের খুশি, লুট করে নেবে আল্লার দান কেউ হবে নারে দুঃখী।
নজরুল ইসলামের কাব্যে যে ঈদের উপস্থিতি ভাস্বর হয়ে উঠে সেই ঈদ আমাদের সবার জীবনে সবুজ সমারোহে আসুক। ঈদ হয়ে উঠুক সাম্যের, সৌহার্দ্যরে এবং ভ্রাতৃত্বের। গাছতলা আর পাঁচতলার ব্যবধান দূর করে ঈদ আসুক এক সমান্তরালে যা মানুষের উপস্থিতির বারতা নিয়ে। ঈদ হোক মানবতার, ঈদ হোক মুক্তির এবং কল্যাণের।
লেখক : মুফাসসিরে কোরআন, গবেষক, সাবেক পরিচালক, ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
Abdus Salam ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ১০:৩৫ এএম says : 0
খুব সুন্দর এবং মনোগ্রাহী আলোচনা
Total Reply(0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন