শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

মহানগর

ভ্যালেন্টাইন দিবস নামে বেলেল্লাপনা দিবস নিষিদ্ধ করতে হবে- ওলামা লীগ নেতৃবৃন্দ

মসজিদ ভাঙ্গার সিদ্ধান্ত বাতিল করতে হবে

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ৪:২৮ পিএম

১৪ ফেব্রুয়ারি তথাকথিত ভ্যালেন্টাইন দিবস নামে বেলেল্লাপনা দিবস নিষিদ্ধ, ৭৭টি মসজিদ ভাঙ্গার সিদ্ধান্ত বাতিল, হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ব্যঙ্গচিত্র ও অংকনকারীদের ফাঁসিসহ ৯টি দাবীতে পৃথক ৩টি স্থানে মানববন্ধন করেছে বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামা লীগ। গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবে, রিপোর্টার্স ইউনিটির সামনে এবং পল্টন মোড়ে অনুষ্ঠিত মানববন্ধন কর্মসূচিতে নেতৃবৃন্দ এ দাবী জানান। মানববন্ধনে আগামী পবিত্র রমজান মাসে ইবাদতের সুবিধার জন্য সকল স্কুল, কলেজ এবং পরীক্ষা বন্ধ রাখার দাবী করা হয়।

নেতৃবৃন্দ বলেন, শফিক রেহমান ১৯৯৩ সালে এদেশে ভ্যালেন্টাইন দিবসের নামে বেলেল্লাপনা দিবসের আমদানী করেছে। ইসলামে নিজের স্ত্রী ছাড়া অন্যকোন মহিলার দিকে তাকানোও নিষিদ্ধ করা আছে। ৯৫ ভাগ মুসলমানের দেশ বাংলাদেশে ভ্যালেন্টাইন ডে’র নামে পর্দা প্রথাকে পদদলিত করে অন্য মেয়েদের সাথে এবং যুবক-যুবতীদের মাঝে বেহায়াপনা চালু কোনভাবেই মেনে নেয়া যায় না। শফিক রেহমান ভ্যালেন্টাইন ডে’র নামে বেহায়া সাজগোজ, ও বিজাতীয় আচার-অনুষ্ঠান, প্রকাশ্যে চুমু খাওয়া ইত্যাদি চালুর মাধ্যমে ইসলামের উপর চরম আঘাত হেনেছে। তার সম্পাদনায় প্রকাশিত মৌচাকে ঢিল পত্রিকার মাধ্যমে এসকল উলঙ্গপনাকে উৎসাহিত করা হয়েছে। এ কারণে সারাদেশে বেহায়া-বেপর্দা, নারী টিজিং, পরকিয়া, ধর্ষণ ইত্যাদি ছড়িয়ে পরছে এবং যুব সমাজ অশ্লিলতায় নিমজ্জিত হচ্ছে। তাই এসব অপসংস্কৃতি বন্ধে শফিক রেহমান কর্তৃক প্রবর্তিত ভ্যালেন্টাইন ডে নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে হবে।

মানববন্ধনে ঢাকার ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনার ঘোষণা দেয়ায় নবনির্বাচিত মেয়রদেরকে অভিনন্দন জানিয়ে তাদেরকে “মসজিদের শহর ঢাকা”র ঐতিহ্য পুনরায় ফিরিয়ে আনার দাবী করা হয়। মানববন্ধনে বলা হয়, পবিত্র কুরআন-হাদিসে মসজিদ ভাঙ্গা বা স্থানান্তর করা জায়িয নয়। বরং সংরক্ষণের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। নেতৃবৃন্দ বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সমুদ্রের তীরে যেখানে মনোমুগ্ধকর মসজিদ তৈরী করা হচ্ছে। যেমন, সৌদি আরব লোহিত সাগরের তীরে ভাসমান আল-রাহমা মসজিদ, মালয়েশিয়া মালাক্কা প্রণালী মসজিদ, ব্রুনেই সুলতান ওমর আলি সাইফুদ্দিন মসজিদ, তুরস্ক ওরতাকয় মসজিদ, মরক্কো হাসান আল-থানি মসজিদ ইত্যাদি

বক্তারা বলেন, সম্প্রতি ঢাকা টঙ্গী নারায়নগঞ্জ-এলাকার বুড়িগঙ্গা, তুরাগ, বালু, শীতলক্ষা ও ধলেশ্বরী নদীর তীরভূমিতে দীর্ঘদিন পূর্বে গড়ে ওঠা ৭৭টি মসজিদ ও মাদরাসা স্থানান্তর এর নামে ভেঙ্গে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানা গেছে। যা সরকারকে বিপদে ফেলার ভয়াবহ ষড়যন্ত্র। এই ন্যাক্কারজনক ঘটনার সাথে জড়িত নেপথ্য নায়কদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে এবং মসজিদ মাদরাসা স্থানান্তরের নামে ভাঙ্গার সিদ্ধান্ত অবিলম্বে বাতিল করতে হবে।

মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামা লীগের সভাপতি- বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্জ মাওলানা মুহম্মদ আখতার হুসাইন বুখারী, সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্জ কাজী মাওলানা মুহম্মদ আবুল হাসান শেখ শরীয়তপুরী, কার্যকরি সভাপতি- আলহাজ্জ হাফেজ মাওলানা মুহম্মদ আব্দুস সাত্তার, মাওলানা মুহম্মদ শওকত আলী শেখ ছিলিমপুরী, লায়ন আলহাজ্জ মাওলানা মুহম্মদ আবু বকর সিদ্দিক, মাওলানা মুহম্মদ শোয়েব আহমেদ গোপালগঞ্জী, হাফেজ মাওলানা মুহাম্মদ আব্দুল জলিল প্রমূখ।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
তামিম ইসলাম ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ৯:৪৯ পিএম says : 0
its Better Disition . we with Awami Olama Lig
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন