সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ সরকারি সফরে গত ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে গত মঙ্গলবার পর্যন্ত নেপাল সফর করেন। সফরকালে তিনি নেপালের প্রেসিডেন্ট বিদ্যা দেবী ভান্ডারী, প্রধানমন্ত্রী খড়গ প্রসাদ শর্মা অলি, প্রতিরক্ষামন্ত্রী ঈশ্বর পোখারেল এবং সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল পুর্না চন্দ্র থাপার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। সাক্ষাৎকালে সেনাবাহিনী প্রধান ১৯৭২ সালে বাংলাদেশকে স্বাধীন দেশ হিসেবে রাজনৈতিক স্বীকৃতি দেয়ায় নেপাল সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। একইসঙ্গে তিনি স্বাধীনতা পরবর্তী খাদ্য সংকট মোকাবেলায় নেপালের সহায়তার কথা অত্যন্ত শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন। সনা প্রধানের নেপাল সফর বাংলাদেশ নেপালের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের নতুন অগ্রগতি হয়েছে।
আইএসপিআরের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, নেপাল সরকারের নেতৃবৃন্দও বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশ সরকারের সহায়তা বিশেষ করে ২০১৫ সালে নেপালে ঘটে যাওয়া ভয়াবহ ভূমিকম্পের সময় বাংলাদেশ সরকারের সাহায্যের কথা উল্লেখ করেন। সেনাবাহিনী প্রধান বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পররাষ্ট্র নীতি সম্পর্কে আলোকপাতসহ বঙ্গবন্ধুর শততম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বিশ্বব্যাপী মুজিব বর্ষ উদ্যাপন এর বিষয়টিও তুলে ধরেন।
ওই সূত্র জানায়, তিনি আরো উল্লেখ করেন, স¤প্রতি বাংলাদেশের প্রেসিডেস্ট ও প্রধানমন্ত্রীর নেপাল সফর দু’দেশের মধ্যকার সম্পর্ককে আরও নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে। নেপালের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও উভয় দেশের উচ্চ পর্যায়ের নেতৃবৃন্দের এই দ্বিপাক্ষিক সফরের গুরুত্ব তুলে ধরেন। উভয় দেশের নেতৃবৃন্দ এই দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরো নতুন ভাবে এগিয়ে নিতে দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। নেপালের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ বাংলাদেশের সাথে দ্বিপাক্ষিক যোগাযোগ, হাইড্রোপাওয়ার এবং দুই দেশের জনগণের মধ্যে বন্ধনকে দৃঢ় করার ব্যাপারে গুরুত্ব আরোপ করেন। নেপালের সেনাপ্রধানের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে উভয় দেশের সেনাবাহিনী প্রধান দুই দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সামরিক সহযোগিতাকে আরো এগিয়ে নিতে যৌথ সামরিক প্রশিক্ষণ, প্রশিক্ষণ বিনিময়, বিশেষজ্ঞ প্রশিক্ষক বিনিময়সহ অন্যান্য সহযোগিতামূলক বিষয়গুলোকে এগিয়ে নেয়ার ব্যাপারে একমত পোষণ করেন।
উল্লেখ্য, সেনাবাহিনী প্রধানের সফরকালে নেপালের নেতৃবৃন্দ বাংলাদেশী সংস্কৃতি এবং ভাষার প্রতি তাদের গভীর মমত্ববোধের পরিচয় দেন। এমনকি অভিবাদন জানানোসহ কিছু কিছু ক্ষেত্রে তারা বাংলাতেও কথা বার্তা বলেন। নেপালের নেতৃবৃন্দ বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রধানের এই সফরকে বিশেষভাবে সাধুবাদ জানান এবং উভয় দেশের সেনাবাহিনী তথা দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্ককে আরও এগিয়ে নেয়ার ব্যাপারে সহযোগিতার জন্য সেনাবাহিনী প্রধানকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন