রাজধানীর শাহজাহানপুরে ওয়াসার পানির পাইপে পড়ে তিন বছরের শিশু জিহাদের মৃত্যু মামলায় বিচারিক আদালতে দন্ডপ্রাপ্ত আসামিদের খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট। গতকাল বুধবার বিচারপতি রূহুল কুদ্দুস এবং বিচারপতি এ এস এম আব্দুল মোবিনের বেঞ্চ সাজাপ্রাপ্ত চার আসামিকে খালাস দেন। খালাসপ্রাপ্তরা হলেন, শাহজাহানপুর রেল কলোনিতে পানির পাম্প বসানোর প্রকল্প পরিচালক রেলওয়ের সিনিয়র উপ-সহকারী প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলম এবং ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জেএসআরের মালিক প্রকৌশলী আব্দুস সালাম ওরফে শফিকুল ইসলাম, কমলাপুর রেলওয়ের সহকারী প্রকৌশলী নাসির উদ্দিন ও ইলেকট্রিক ইঞ্জিনিয়ার জাফর আহমেদ শাকি।
২০১৭ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকার পঞ্চম বিশেষ জজ আদালত এক রায়ে এ মামলার চার আসামিকে ১০ বছর করে সশ্রম কারাদন্ড দেন। তাদের দুই লাখ টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও দুই বছর করে কারাদন্ডাদেশও দেয়া হয়। ওইদিন বাকি দুই আসামি খালাস পান। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় ওইদিন খালাস পেয়েছিলেন কমলাপুর রেলওয়ের সহকারী প্রকৌশলী দিপক কুমারের ভৌমিক ও সহকারী প্রকৌশলী সাইফুল ইসলাম। পরে দন্ডিত চারজন হাইকোর্টে আপিল করেন। এদিন আদালতে আসামিপক্ষে ছিলেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট মনসুরুল হক চৌধুরী, আইনজীবী এসএম শাহজাহান। সরকারপক্ষে ছিলেন ডেপুটি এটর্নি জেনারেল মো. আমিনুল ইসলাম। ২০১৪ সালের ২৬ ডিসেম্বর বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে শাহজাহানপুরে বাসার কাছে রেলওয়ে মাঠের পাম্পের পাইপে পরে যায় জিহাদ। ২৩ ঘণ্টা শ্বাসরুদ্ধকর অভিযানের পর ২৭ ডিসেম্বর বিকেলে জিহাদকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করে। এ ঘটনায় নিহত জিহাদের বাবা নাসির ফকির ফৌজদারি আইনের ৩০৪/ক ধারায় ‘দায়িত্বে অবহেলায়’ জিহাদের মৃত্যুর অভিযোগে শাহজাহানপুর থানায় মামলা করেন। এ মামলায় ২০১৬ সালের ৪ অক্টোবর ৬ আসামির বিরুদ্ধে চার্জ (অভিযোগ) গঠন করেন আদালত। ২০১৪ সালের ২৮ ডিসেম্বর জিহাদের পরিবারের জন্য ৩০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেয়ার নির্দেশনা চেয়ে ‘চিল্ড্রেন চ্যারিটি বাংলাদেশ’ ফাউন্ডেশনের পক্ষে সুপ্রিমকোর্ট বারের অ্যাডভোকেট ব্যারিস্টার আব্দুল হালিম রিট করেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন