সদর উপজেলার ধর্মপুর ইউনিয়নে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আগুনে অন্তত ১৪টি দোকানের মালামাল পুড়ে ছাই হয়েছে। এতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমান ৩৫ লাখ টাকা বলে দাবি করেছে ব্যবসায়ীরা। মাইজদী কোর্ট, চৌমুহনী ও সুবর্ণচর ফায়ার স্টেশনের ৫টি ইউনিট আগুন নেভাতে কাজ করে। গতকাল বৃহস্পতিবার ভোর ৪টার দিকে ভাটিরটেক চৌমুহনী বাজারে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ভোরে বাজারের পূর্ব অংশের একটি দোকানে প্রথমে আগুনের সূত্রপাত হয়। এসময় আগুনের লেলিহান দেখে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে এবং ফায়ার সার্ভিসে খবর দেয়। কিন্তু মুহুর্ত্বের মধ্যে আগুন চারপাশে দ্রæত ছড়িয়ে পড়ায় তা নিয়ন্ত্রণের বাহিরে চলে যায়। খবর পেয়ে মাইজদী, চৌমুহনী ও সুবর্ণচর ফায়ার স্টেশনের সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে স্থানীয়দের সহযোগিতায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।
কিন্তু তার আগে আগুনে নুর উদ্দিন সাইকেল মার্ট, নাহিদ লাইব্রেরি, আফসার হার্ডওয়ার, হাজী আবদুল কাইয়ুম ইলেকট্রনিক্স, আবদুর রব স্টোর, সহিদ ভেটেরিনারি হাউজ, মিলন হোটেল, পিতু সাহা স্টোর, জামাল ফার্মেসি, মনির স্টোর, মহি উদ্দিন স্টোর, আবুল কাশেম পান বিতান, কালাম টেইলার্স ও হাজী মোতাহের স্টোর পুড়ে যায়।
এতে দোকানগুলোতে থাকা মূল্যবান মালামাল পুড়ে প্রায় ৩৫লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ক্ষতিগ্রস্থদের দাবী।
সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আরিফুল ইসলাম সরদার জানান, খবর পেয়ে উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভ‚মি) কে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্থদের তালিকা প্রস্তুত করার জন্য বলা হয়েছে। পরবর্তীতে ক্ষতিগ্রস্থদের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মাইজদী ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার আজিজুল হক জানান, খবর পেয়ে মাইজদী ৩টি, চৌমুহনীর ১টি ও সুবর্ণচর ফায়ার স্টেশনের ১টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রায় ২ঘন্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছে। আাগুনে ৯টি দোকান পুড়ে অন্তত ১২ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। কিছু দোকান থেকে মুল্যবান মালামাল উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে এ আগুনের সূত্রপাত ঘটেছে।