কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে প্রবাসীর স্ত্রীর গোসলের দৃশ্যের ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়ানোর ভয় দেখিয়ে টানা পাঁচ দিন ধর্ষণ করেছে মামুন নামের এক যুবক। সে উপজেলার শ্রীপুর ইউনিয়নের নারচর গ্রামের ওহাব ডাক্তারের বাড়ির মকবুল আহাম্মদের ছেলে। ধর্ষক মামুনসহ তিনজনকে আসামি করে আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেছেন ভুক্তভোগী প্রবাসীর স্ত্রী। অপর দুই আসামিরা হলেন মামুনের বাবা মকবুল আহাম্মদ ও সহযোগী একই ইউনিয়নের বারৈয়া গ্রামের রুবেল।
জানা গেছে, ভুক্তভোগী নারীর স্বামী প্রবাসী। ফলে তিনি জমজ সন্তাসহ পিতার বাড়ি নারচর গ্রামে বসবাস করেন। আসামিরা প্রতিবেশী হওয়ার সুবাদে তাদের ঘরে নিয়মিত যাতায়াত করতো। দেড় বছর আগে প্রবাসীর স্ত্রী বাথরুমে গোসল করা অবস্থায় গোপনে অভিযুক্ত মামুন মোবাইলে গোসলের চিত্র ও ভিডিও ধারণ করে। মামুন ওই চিত্র ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়ানোর ভয় দেখিয়ে বিভিন্ন সময়ে পাঁচ লাখ টাকা আদায় করে। গত ৩১ জানুয়ারি মোবাইল ফোনের মাধ্যমে মামুন প্রবাসীর স্ত্রীকে ভয়ভীতি দেখিয়ে স্বর্ণালঙ্কার ও টাকা নিয়ে কাশিনগর বাজারে যেতে বলে। প্রবাসীর স্ত্রী আট ভরি স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ চল্লিশ হাজার টাকা নিয়ে কাশিনগর বাজারে যায়। সেখানে মামুন তার সহযোগি রুবেলের সহায়তায় জোরপূর্বক স্বর্ণালঙ্কার ও টাকা লুটে অপহরণ করে চট্টগ্রাম নিয়ে যায়। এরপর প্রবাসীর স্ত্রীকে রুবেলের নানার বাড়িতে নিয়ে ধর্ষণ করে।
২ ফেব্রুয়ারি প্রবাসীর স্ত্রীকে ঢাকায় একটি বাসায় নিয়েও ধর্ষণ করে। ৪ ফেব্রুয়ারি বিকেলে প্রবাসীর স্ত্রী কৌশলে বাসা থেকে বের হয়ে বাড়িতে চলে আসে। ঘটনাটি পরিবারের লোকজনকে অবহিত করলে তারা মামুনের বাবাকে বিষয়টি জানালে তিনি উল্টো হুমকি দিতে থাকেন। এ ঘটনায় ১০ ফেব্রুয়ারি কুমিল্লা আদালতে অভিযুক্ত মামুন, তার পিতা মকবুল আহাম্মদ ও সহযোগি রুবেলকে আসামি করে মামলা করেন।
এ ব্যাপারে বাদিনীর অ্যাডভোকেট সোনিয়া জানান, আদালতের নির্দেশে মামলাটি পিবিআই তদন্ত করছে।
পিবিআই কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ওসমান গণি পিপিএম এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি একটি মিটিংয়ে আছি। মামলার নথি দেখে পরে বিস্তারিত জানাব।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন