বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি ফিলিস্তিনির পক্ষে কিন্তু ডোনাল্ড ট্রাম্পের পরিকল্পনার পরেও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নীরবতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন। তিনি বলেছেন, ট্রাম্পপ্রীতির কারণে কি পররাষ্ট্র মন্ত্রী নিশ্চুপ? ট্রাম্পের ভয়ে কি এটা করা হচ্ছে? গতকাল জাতীয় সংসদ অধিবেশনে পয়েন্ট অব অর্ডারে ফ্লোর নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় সংসদে সভাপতিত্ব করছিলেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।
রাশেদ খান মেনন বলেন, ফিলিস্তিনি সমস্যা দীর্ঘদিনের এবং ফিলিস্তিনি সমস্যা সমাধানের ব্যাপারে বাংলাদেশের নীতি হচ্ছে ফিলিস্তিনিদের সংগ্রামে সমর্থন করা। স¤প্রতি দেখলাম মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোলান্ড ট্রাম্প, তিনি যেদিন তার অভিসংশনের প্রক্রিয়া চলছে সেই দিনই তিনি নেতানিয়াহুকে (ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী) সামনে নিয়ে এবং আরেকজন বিরোধী নেতাকে সামনে নিয়ে একটি পরিকল্পনা প্রকাশ করলেন ফিলিস্তিন সম্পর্কে যেখানে ফিলিস্তিন সম্পর্কে দুই রাষ্ট্রের সমাধান যেটা জাতিসংঘ এবং আন্তর্জাতিক বিশ্ব কর্তৃক স্বীকৃত। সেই সামাধান চুক্তি সম্প‚র্ণভাবে নস্যাৎ করে পুরো ফিলিস্তিনকে ইসরায়েলের হাতে তুলে দেয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, এই ফিলিস্তিনের পক্ষে বাংলাদেশ সবসময় দাঁড়িয়েছে। বঙ্গবন্ধুর কাছে যারা ছিলেন, তখন জোট নিরপেক্ষ আন্দোলন ছিল তখন ছিলেন ইয়াসির আরাফাত। প্রধানমন্ত্রী যখন দেশের রজতজয়ন্তী উৎসব পালন করার জন্য ব্যবস্থা করেন তখন যে তিনজনকে ডেকেছিলেন তার মধ্যে একজন ছিলেন ইয়াসির আরাফাত। কিন্তু অবাক হচ্ছি ইসরায়েলের এই পরিকল্পনার ব্যাপারে একদম কোনো শব্দ, একটি শব্দও তারা (আওয়ামী লীগ) উচ্চারণ করে নাই।
মেননের বক্তব্যের পর পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন ফ্লোর নিয়ে বলেন, ফিলিস্তিন সম্পর্কে আমাদের নীতি আজও বলবৎ। সেদিন ওআইসির সভায় আবারও বলেছি। সুতরাং, এ নিয়ে সন্দেহের কোনো কারণ নেই।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন