শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

দ্বিতীয়ার্ধের বইমেলা লোকে লোকারণ্য

নুর হোসেন ইমন : | প্রকাশের সময় : ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১২:০১ এএম

শুরুর দিকে লোক সমাগম কম হলেও দ্বিতীয়ার্ধে এসে লোকে লোকারণ্য বাঙালীর প্রাণের আয়োজন অমর একুশে গ্রন্থমেলা। ফাল্গুণের পড়ন্ত বেলার উষ্ণতায় প্রতিদিনই বাড়ছে ক্রেতার সংখ্যা। ফলে স্টলে স্টলে ব্যস্ত বিক্রয়কর্মীরা, উষ্ণতা ছুঁয়েছে লেখক-প্রকাশকদের মনেও। গতকাল শনিবার ছুটির দিন ছিলো মেলার ১৪তম দিন। এদিন সকাল থেকেই অসংখ্য বইপ্রেমীর আনাগোনায় মুখরিত ছিলো মেলা প্রাঙ্গণ। মাঝামাঝি সময়ে এসে ক্রেতার সংখ্যা আশানুরূপভাবে বেড়ে যাওয়ায় সন্তুষ্ট প্রকাশকেরাও।

শনিবার সকালে বইমেলা শিশু প্রহরে গিয়ে দেখা যায়, ছোট্ট ছোট্ট শিশুরা বাবা-মায়ের সঙ্গে বই কিনছেন। শিশু চত্বরের স্টেজে চলছে গাড়ি সিসিমপুরে গানে আপন মনে নাচতে দেখা যায় তাদের। শিশু চত্বরে শিশুদের জন্য বিনোদনের পাশাপাশি ছিল ৩০টি স্টলে হরেকরকমের বই। বই পড়ার জন্য চত্বরে আলাদা জায়গা রয়েছে। বিকেল ৩টায় শুরু হয় মেলার মূল আয়োজন। সন্ধ্যা গড়াতে গড়াতে বইপ্রেমীরা পছন্দের বই কিনে বাড়ি ফিরছেন। কেউবা আরও কয়েকটি বই কেনার জন্য স্টলে স্টলে ঘুরছেন। ঢাবি ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের মাস্টর্সের শিক্ষার্থী ওয়ালী খান রাজু বলেন, এতদিন অনেক নতুন বই বের না হাওয়ায় এসে ফিরে গেছি। আজকে এসে অনেক বই কিনলাম। সারা বছর ধরে অপেক্ষা ছিল এই বইগুলোর। বরাবরই নতুন বইয়ের প্রতি আগ্রহ থাকে। এবারও নতুন লেখকদের কয়েকটা বই কিনেছি।
আশানুরূপভাবে বিক্রি বাড়ায় সন্তুষ্ট প্রকাশকেরা। ইত্যাদি প্রকাশনীর প্রকাশক আদিত্য অন্তর বলেন, প্রতিদিনই ক্রেতার সংখ্যা বাড়ছে। যারাই আসছেন কেউ-না-কেউ একটি বই কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। ঝিঙেফুল প্রকাশনীর প্রকাশক গিয়াস উদ্দিন খান বলেন, আশানুরূপ ক্রেতা পাচ্ছি। ক্রেতার সংখ্যা বাড়ছে। এই ধারা অব্যাহত থাকলে ভালো কিছু আশা করা যায়।
বসন্তের দ্বিতীয় দিনে এখনও প্রকৃতিতে বসন্ত স্পষ্টভাবে ধরা না দিলেও এমন দিনে কী করে ঘরে বসে থাকতে পারে বইপ্রেমীরা। তাই তো মেলার গেট খুলতে না খুলতেই তরুণ-তরুণী, যুবক-যুবতিসহ নানা বয়সীদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে ওঠে বইমেলা প্রাঙ্গণ। গতকাল বিকেল ৪টার পর মেলা প্রাঙ্গণে জনতার ঢল নামে। স্রোতের মতো মেলা প্রাঙ্গণে আসতে থাকেন রাজধানী ও আশপাশের বাসিন্দারা। নানা বয়সের নারী-পুরুষের সেই স্রোত দেখতে দেখতে জনসমুদ্রে পরিণত হয়। এমনকি একদিকে শাহবাগ মোড়, অন্যদিকে দোয়েল চত্বর পর্যন্ত সম্পূর্ণ রাস্তা লোকে লোকারণ্য হয়ে পড়ে।
এদিন বিনোদন আর বইপ্রেমীদের ভিড় এতটাই বেশি ছিল যে, মেলা প্রাঙ্গণের পাশাপাশি রাস্তাতেও মানুষের স্বাভাবিক চলাচল বিঘœ ঘটছিল। অনেক ক্ষেত্রেই একজনের সঙ্গে আর একজনের ধাক্কাধাক্কি করে চলতে হচ্ছিল। মেলায় অংশগ্রহণকারীদের মতে, এবারের মেলায় এ কয়েকদিনেই সব থেকে বেশি মানুষের সমাগম ঘটেছে। তাদের হিসাবে বিকেল ৫টার মধ্যেই মেলা প্রাঙ্গণে লক্ষাধিক মানুষের সমাগম ঘটে। মেলা প্রাঙ্গণে এমন ঢল নামায় বিক্রিও বেড়েছে স্টলগুলোর।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন