বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

দাবানল-বন্যার পর সাপের কবলে অস্ট্রেলিয়ানরা

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১২:০০ এএম

ভয়াবহ দাবানল, ভারী বৃষ্টিপাত জনিত প্রবল বন্যার পর অস্ট্রেলিয়ানরা এখন সাপের সাথে যুদ্ধ করছে। এ উপদ্রব উঁচু ভ‚মিতে দীর্ঘ সময় ধরে থাকতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। গোল্ড কোস্টের বাড়িগুলোর নিকটে অনেক সংখ্যায় সাপের অস্তিত্ব লক্ষ্য করা গেছে। কুইন্সল্যান্ড পুলিশ লম্বা ঘাসের ওপর বা আশপাশ দিয়ে জনগণকে না হাঁটতে সকর্ত করে দিয়েছে এবং সাপ ধরায় পারদর্শী টনি হ্যারিসন বন্যাকবলিত এলাকার মানুষদের সতর্ক হয়ে চলাফেরার পরামর্শ দিয়েছেন।
সতর্কতামূলক টুইটগুলোতে লেখা হয়েছে, ‘বর্তমানে সাপগুলি চলাচল করছে। ফলে দীর্ঘ ঘাসের মধ্যে দিয়ে হাঁটা এড়াবেন, শক্ত ঘেরযুক্ত জুতা পরুন এবং নিশ্চিত করুন যে দ্রæত মানসম্পন্ন ব্যান্ডেজ পাবার সুযোগ আপনার আছে’।
সাপ ক্যাচার টনি হ্যারিসন সতর্ক করে দিয়েছেন, বন্যার জায়গাগুলিতে বসবাসকারীদের সতর্ক হওয়া উচিত যে, আরও বেশি সাপ কাছাকাছি থাকতে পারে।
গোল্ড কোস্ট বুলেটিনকে তিনি বলেন, ‘কোনও সাপ পাথরের নিচে বা একটি ফাঁকা লগ বা সø্যাবের নিচে বাস করুক না কেন, এটি এখন দুই মিটার পানির নিচে, সেখানে স্পষ্টভাবে দেখা যাবে না’।
মিঃ হ্যারিসন বলেন, ‘আপনার বাড়ি যদি চারপাশে বন্যাকবলিত কোন স্থানের মাঝে পাহাড়ে থাকে তবে নিশ্চয়তার গ্যারান্টি নিতে পারেন যে, আপনার বাড়ির আশপাশে সাপ আছে’।
সাপ ক্যাচারকে গ্রাহকদের কল ফিরিয়ে দিতে হয়েছে, কারণ বর্তমান বন্যার পরিস্থিতিতে তাদের কাছে বেরোনোর কোনো উপায় নেই। একজন মহিলা কানুনগ্রা থেকে তার বাড়িতে একটি সাপ আছে জানিয়ে ধরতে ডেকেছিলেন, তবে তাকে চাকরিটি প্রত্যাখ্যান করতে হয়েছিল, কারণ তার কাছে যাওয়ার একমাত্র উপায় ছিল নৌকায় করে।
মেরিম্যাকের অপর এক মহিলা ফোন করে বলেছিলেন যে, তিনি তিন দিন একটি সাপ দেখেছেন, কিন্তু কোথায় আছে তা জানেন না।
মিঃ হ্যারিসন বলেন, ‘আমি বলেছি, ‘গোল্ড কোস্টে ২০০টি রাস্তা প্লাবিত হয়েছে। ইয়াতালা থেকে লোগান গ্রামে পৌঁছতে আমার এক ঘণ্টাা ২৫ মিনিট লেগেছে। যখন আপনি জানতে পারবেন যে এটি কোথায় আছে তখন আমাকে কল দিবেন।
আবহাওয়াবিদদের মতে উত্তর নিউ সাউথ ওয়েলস এবং দক্ষিণ কুইন্সল্যান্ড ‘দশকের মধ্যে সবচেয়ে আর্দ্রতম সপ্তাহ’ অনুভব করেছে।
দ্বিতীয় শ্রেণির ক্রান্তীয় ঘূর্ণিঝড় উয়েসির বন্য আবহাওয়ায় ডুবেছে কুইন্সল্যান্ডসহ বহু অঞ্চল। গোল্ড কোস্টে মাসের প্রথম দুই সপ্তাহে মাসিক প্রায় ৫৬৬ মিমি বৃষ্টিপাতের রেকর্ড হয়েছে। মাসিক সর্বোচ্চ ৪৯০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাতের পূর্বের রেকর্ডটি ছিল ২০১০ সালের ডিসেম্বর মাসের। সূত্র : ডেইলি মেইল।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (9)
Md Akash Nur ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ২:১০ এএম says : 3
বিনাদোষে উট হত্যা। অথচ এগুলা মুসলিম দেশে দিয়েও তারা বানিজ্য করতে পারতো। কিন্তু এরা এতটাই নিচু জাত বা মনের যে, এরা মেরে ফেললো তবুও দিলোনা।।এক চীন আর অস্ট্রেলিয়া। 2 টাই এখন খোদায়ী গজবে আছে
Total Reply(1)
gil ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ৬:১৪ পিএম says : 4
এই আজাব উট মারার জন্য না। এই আজাব মুসলিমদের অপর অত্যাচার করার জন্য।
রুবেল ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ২:১১ এএম says : 3
এসব ঘটনা থেকে আমাদের শিক্ষা গ্রহণ করা উচিত
Total Reply(0)
ফাহিম ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ২:১২ এএম says : 1
হে আল্লাহ তুমি তোমার আজাব ও গজব থেকে আমাদেরকে রক্ষা করো।
Total Reply(0)
Sagor Rusdi ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ২:১২ এএম says : 2
এরা খু্বই খারাপ জাতি।।
Total Reply(0)
ডালিম ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ২:১৩ এএম says : 1
সীমালঙ্গনকারীদের অবস্থা এমনই হয়
Total Reply(0)
মোঃ আনোয়ার আলী ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১০:১৯ এএম says : 1
হে আল্লাহ! এ গজবের উছিলায় তাঁরা যেন হেদায়েত পায়।
Total Reply(0)
Md Redwan ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১০:৫২ এএম says : 1
আল্লাহ তাআলা যেমন ভাবে বনী ইসরায়েলকে একটার পর একটা গজব দিতো তাদের বাড়াবাড়ির কারণে ঠিক তেমনিভাবে এদেরকেও আল্লাহ তাআলা গজব দিচ্ছে।মনে হচ্ছে এগুলো কিয়ামতের আলামত।এজন্য আমরা আল্লাহর দরবারে বেশি বেশি দোয়া করবো যেন আল্লাহ তাআলা মুসলিম জাতিকে তার আজাব গজব থেকে হেফাজত করেন।আমিন
Total Reply(0)
gil ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ৬:২২ পিএম says : 1
অনেক বাঙ্গালিরা না বুঝে বলতাসে অস্ট্রেলিয়ানরা উট মারার জন্য এই গজব ভোগ করতাসে।এই আজাব উট মারার জন্য না। এই আজাব মুসলিমদের অপর অত্যাচার করার জন্য। এরা কতটা খারাপ চিন্তাও করতে পারবেননা। এরা ইরাক সিরিয়া তে মুসলিম দের অপর চরম অত্তাচার করসে।অদের দেশে সি আই এর গোপন জেলখানায় মুসলিম দের জঙ্গি সন্দেহে ঢুকায় তার পর চরম অত্যাচার করে। নেংটা করে মুসলিম বন্দিদের অপর নিরজাতন চালায়।মেয়েদের পালাক্রমে ধর্ষণ করে।
Total Reply(0)
Shabbir Khilogramy ১১ জুন, ২০২০, ৩:২০ এএম says : 0
Only allah knows why its happening.
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন