শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

দানবাক্সে দেড় কোটি টাকা স্বর্ণালঙ্কার-বৈদেশিক মুদ্রা

কিশোরগঞ্জের পাগলা মসজিদ

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১২:০০ এএম

কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দানবাক্স থেকে এবার ১ কোটি ৫০ লাখ ১৮ হাজার ৪৯৮ টাকা পাওয়া গেছে। গতকাল বিকেলে গণনা শেষে এই টাকার হিসাব পাওয়া যায়।
টাকা ছাড়াও দান হিসেবে অনেক স্বর্ণালঙ্কার পাওয়া গেছে। তবে আগের বারের তুলনায় এবার ৬৬ হাজার ১০০ টাকা কম পাওয়া গেছে। তিন মাস আগে ১০৩ দিনে মসজিদের দানবাক্সে পড়েছিল ১ কোটি ৫০ লাখ টাকা। তিন মাস ২০ দিন অর্থাৎ ১১০ দিন পর এবার মসজিদের দানবাক্স খোলা হয়েছে। এর আগে গত ২৬ অক্টোবর দানবাক্স খোলা হয়েছিল।
স্থানীয় সূত্র জানায়, গতকাল সকাল ৯টার দিকে জেলা প্রশাসনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে মসজিদের আটটি দানবাক্স খোলা হয়। পরে দানবাক্সের টাকাগুলো বস্তায় ভরা হয়। এরপর মসজিদের দোতলার মেঝেতে রেখে শুরু হয় গণনার কাজ। বিকেল ৪টায় গণনা শেষে দানের টাকার হিসাব পাওয়া যায়। টাকার পাশাপাশি দানবাক্সে পাওয়া গেছে স্বর্ণালঙ্কার এবং বৈদেশিক মুদ্রা।
টাকা গণনার কাজ তদারকি করেছেন কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা, পাগলা মসজিদ কমিটির সম্পাদক, পৌর মেয়র মাহমুদ পারভেজ, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফজলে রাব্বি, মাহমুদুল হাসান, উবাইদুর রহমান সাহেল, পাগলা মসজিদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. শওকত উদ্দীন ভ‚ঞা ও রূপালী ব্যংকের কিশোরগঞ্জ শাখার কর্মকর্তারা।
কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা বলেন, দেড় কোটি নগদ টাকা ছাড়াও পাওয়া গেছে বিভিন্ন দেশের মুদ্রা ও স্বর্ণালঙ্কার। দানে পাওয়া ছাগল, হাঁস-মুরগি প্রতি সপ্তাহে নিলামে বিক্রি করা হয়।
প্রসঙ্গত, কিশোরগঞ্জ শহরের হারুয়া এলাকায় নরসুন্দা নদীর তীরে ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের অবস্থান। এখানে ইবাদত বন্দেগি করলে বেশি সওয়াব পাওয়া যায় বলে মানুষের বিশ্বাস। রোগ-শোক বা বিপদে মসজিদে মানত করলে মনের বাসনা পূর্ণ হয়। এসব বিশ্বাস থেকে এখানে প্রতিনিয়ত দান খয়রাত করে মানুষ। তিন মাস পর পর খোলা হয় মসজিদের দানবাক্স।
প্রতিবারই টাকার পরিমাণ ছাড়িয়ে যায় কোটি টাকা। নানা শ্রেণি-পেশা আর ধর্মের লোকজন এখানে আসেন মানত আদায় করতে। নগদ টাকা ছাড়াও তারা নিয়ে আসেন চাল-ডাল-গবাদি পশুসহ বিভিন্ন সামগ্রী। দিন শেষে এসব পণ্য নিলামে বিক্রি করে ব্যাংকে টাকা জমা রাখা হয়। দানের টাকায় পাগলা মসজিদ ও ইসলামী কমপ্লেক্সের খরচ চালিয়ে অবশিষ্ট টাকা জমা রাখা হয় ব্যাংকে। দানের টাকা থেকে জেলার বিভিন্ন মসজিদ, মাদরাসা ও এতিমখানায় অনুদান দেয়া হয়।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (6)
নাদিয়া আক্তার ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ২:২০ এএম says : 0
খুব ভালো
Total Reply(0)
হাসিব ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ২:২০ এএম says : 0
যারাই এসব দান করেছে, আল্লাহ যেন তাদেরকে উত্তম পুরস্কার দান করেন।
Total Reply(0)
পারভেজ ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ২:২১ এএম says : 0
এই টাকাগুলোর যেন সঠিক ব্যবহার হয়
Total Reply(0)
Anwarul Hoque ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ৫:৩৩ এএম says : 0
Myfti must have to investigate it give the opinion. It may possibly has SHAREK. People may think mosque could do something for them other than Allah
Total Reply(0)
Mohammed Kowaj Ali khan ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ৯:৩১ এএম says : 0
আমার ও আশা কিশোরগঞ্জ মসজিদের মতো একটি মসজিদ করার। আল্লাহ তা'আলা আমার আশা পূর্ণ করিতেন। ইনশাআল্লাহ। মসজিদের টাকার এবং মালের জাকাত যেন দেওয়া হয়। জাকাত না দিলে যাহারা দায়িত্বে আছেন তাহাদেরকে মৃত্যুর পরে সাপ বিচ্চু কামড়াবে মনে রাখিবেন।
Total Reply(0)
Ali ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ৯:৪৫ এএম says : 0
Yes, Ofcourse. Everything can only be bestowed by Allah (SWT) only no-one or nothing can do else.
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন