পেপ গার্দিওলা। ম্যানচেস্টার সিটিকে লিগ শিরোপা তো জিতিয়েছেন, কিন্তু অধরা চ্যাম্পিয়নস লিগ এখনও এনে দিতে পারেননি। আক্ষেপ দ‚র করতে হলে যা করার এবারের মৌসুমেই করতে হবে কাতালান কোচকে। কারণ সামনের দুই মৌসুমে তিনি সুযোগই পাবেন না! ইউরোপিয়ান ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রণ সংস্থা উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগে দুই বছর নিষিদ্ধ করেছে ম্যানসিটিকে।
ফিন্যান্সিয়াল ফেয়ার প্লে’তে ‘ফেঁসে’ গেছে ইংলিশ ক্লাবটি। আয়ের চেয়ে ব্যয় বেশি করায় ২০২০-২১ ও ২০২১-২২ দুই মৌসুম চ্যাম্পিয়নস লিগে নিষিদ্ধ থাকবে ইংল্যান্ডের বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। পরশু এক বিবৃতিতে বিষয়টি জানিয়েছে উয়েফা। এই শাস্তির সঙ্গে তাদের জরিমানা গুনতে হচ্ছে ৩০ মিলিয়ন ইউরো। এই নিষেধাজ্ঞার কারণে বাইলজ অনুযায়ী জরিমানা হিসেবে প্রিমিয়ার লিগেও একটি পয়েন্ট খোয়াতে হচ্ছে বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের।
ম্যানসিটির উয়েফার বেঁধে দেওয়া আর্থিক নিয়ম ভঙ্গ করার অভিযোগ শোনা যাচ্ছে অনেকদিন থেকেই। বড় শাস্তির মুখে পড়তে পারেন, বাতাসে সেই গুঞ্জনও উড়ছিল। শেষ পর্যন্ত তাদের কঠিন শাস্তিই দিয়েছে ইউরোপিয়ান ফুটবলের অভিভাবক। তদন্ত শেষে উয়েফার আর্থিক নিয়ন্ত্রণ কমিটি তাদের ‘নিয়ম ভাঙার সত্যতা খুঁজে পেয়েছে’। উয়েফা জানিয়েছে, ২০১২ থেকে ২০১৬ সালে স্পন্সর থেকে আসা আয়ের চেয়ে বেশি খরচ করেছে ম্যানসিটি। ক্লাব কর্তৃপক্ষ অর্থের অঙ্ক ‘বাড়িয়ে’ বলেছে। পাশাপাশি দলটির বিরুদ্ধে তদন্ত কাজে ‘সহায়তা না করার’ অভিযোগও এনেছে উয়েফা। ম্যান সিটি অবশ্য এসব অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করেছে।
তবে উয়েফার শাস্তিতে ইংলিশ ক্লাবটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, শাস্তি পেয়ে তারা ‘হতাশ হলেও বিস্মিত নয়’। উয়েফার এই রায়কে ‘অপরিণত’ বলেও উল্লেখ করেছে তারা। ক্লাব কর্তৃপক্ষ আরও জানিয়েছে, তারা শাস্তির বিরুদ্ধে আপিল করবে। নিজেদের ওয়েবসাইটে দেওয়া এক বিবৃতিতে ম্যানসিটি জানিয়েছে, তারা কোনও ভুল করেনি, ‘উয়েফার বিচারক পরিষদ যে শাস্তি শুনিয়েছে, এতে আমরা হতাশ হলেও অবাক হইনি। উয়েফা তাদের কাজ করেছে, এখন আমরা আমাদের পথে এগোবো। সবার প্রথমে আমরা কোর্ট অব আরবিট্রেশন ফর স্পোর্টে (আন্তর্জাতিক ক্রীড়া আদালত) যাব।’
অবশ্য উয়েফার নীতি ভাঙার দায়ে এর আগেও শাস্তি পেয়েছিল ম্যানচেস্টার সিটি। ২০১৪ সালে ক্লাবটিকে চার কোটি ৯০ লাখ পাউন্ড জরিমানা করা হয়েছিল। আর আর্থিক অনিয়মের দায়ে এবারে আরও কঠিন সাজা পেয়েছে তারা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন